এর আগে ..........
(২) ৩১ শে মার্চ , হোয়াইট হাউজে ইয়াহইয়া খানের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সন । জাতিসংঘের ২৫ বছর পূর্তিতে ইয়াহইয়া খান যুক্তরাষ্ট্র গেলে বাংলাদেশে শুরু হওয়া পাকিস্তানী সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক অবস্থানের ইংগিত দেয় ।
(৩)৫ নভেম্বর , হোয়াইট হাউজে গেলে ইন্দিরা গান্ধীর সাথে নিক্সনের বৈঠক । বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ভারতকে সহযোগিতা সমর্থন দেয়া বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক ততপরতা চালায় ।
(৪) ৫ নভেম্বর ,হোয়াইট হাউজ : ইন্দিরা-নিক্সন । পরবর্তীতে প্রকাশিত দলিলে জানা যায় , বৈঠকের পরের দিন নিক্সন মন্ত্রীসভার বৈঠকে ইন্দিরাকে বুড়ি ডাইনী আখ্যা দেন ।
(৫,৬) ১০ ডিসেম্বর ,নিউ ইয়র্ক : সাংবাদিক সম্মেলনে জাতিসংঘে মার্কিন ততকালীন মার্কিন দূত জর্জ বুশ সিনিয়র । জর্জ বুশ জানান নিরাপত্তা সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরোধিতার মুখে প্রেসিডেন্ট নিক্সন চাইছেন পূর্ব পাকিস্তানে দ্রুত যুদ্ধ বন্ধে সাধারণ পরিষদ ব্যবস্থা গ্রহন করুক।
(৭)১০ডিসেম্বর ,রোম , ইটালী : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং ৩রা ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা, এবং পশ্চিমা দেশগুলির যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব আলোচনার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং । রোমে যাত্রা বিরতি ।
(৮) ১২ ডিসেম্বর , নিউ ইয়র্ক : নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিংয়ের বক্তব্য শুনছেন পাকিস্তানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টো । এর পর পরই জর্জ বুশ নিরাপত্তা পরিষদে নতুন করে যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব আনেন ।
(৯) ১৬ ডিসেম্বর , নিরাপত্তা পরিষদের সর্বশেষ চেষ্টা : রাতভর অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন মার্কিন দূত জর্জ বুশের বক্তব্য শুনছেন সোভিয়েত দূত ইয়াকভ মালিক(বামে) এবং ব্রিটেনের দূত কলিন ক্রো(মাঝে) । একটানা ১২ ঘন্টার বিতর্ক কোন ফলাফল ছাড়াই শেষ হয় । এর মাঝেই অভ্যুদয় ঘটে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের , অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ
ছবি : করবিস
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:০৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




