বেশ কয়েকদিন ধরে অফিসে কথা হচ্ছিল কে জিতবে আর কে হারবে?? আমরা যারা বিদেশী অর্থাৎ আমেরিকাতে ভোটের অধিকার নাই তারা স্বপ্নের জগতে বাস করি। অনেকটা আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর রাখার মত অবস্থা। আমরা ভাবি আমাদের দেশের জনগণরাই পৃথিবীর জগন্ন জাতি। বিদেশী (সাদা) হলেই শিক্ষিত আর ভদ্র।
গত এক বছর ধরে মিস্টার ট্রাম্প বহিরাগতদের নানাভাবে অপমান করে আসছে। কথাগুলো শুনে মনে হয়েছিল এই অভদ্র লোক কোনভাবেই নমিনেসন পাবে না। মজার ব্যাপার জনগণের ভোটেই প্রার্থী নির্বাচিত হয় আমেরিকাতে দলীয় নেতাদের ভোটে নয়। বাজে বাজে কথা বলে বাঘা বাঘা দলীয় নেতাদের অপমান করে রিপাব্লিকদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হয়েছেন। ট্রাম্প যদি ভোটারদের মনের কথা না বলতেন তবে এতদুর আস্তে পারতেন না।
আমেরিকানদের মনের কথা বলতে একটা কথাই খুব স্পষ্ট "হেইট ফরেনারস"। যদিও "অবৈধ" "ল্যাটিন" ও " মুসলিম" নিয়েই কথা হয়েছে বেশী। আমেরিকানদের জাতি ভাই ব্রিটিশরাও কিছুদিন পূর্বে একিভাবে "ব্রেক্সিট" করে নিজেদের জাতিকে "হেইট ফরনারস" এর সাথে একমত করেছে। ভোটের পূর্বে অনেক ব্রিটিশ জনগণ বিশ্বাস করেনি এইরকম কিছু হতে পারে। ব্রিটিশরা অবশ্য এই কয়েক মাসেই বুঝে গেছে কি ভুল হয়েছে।
অন্যদের কথা যেমন তেমন তবে আমেরিকার ব্যাপার পুরো আলাদা। আমেরিকার গবেষণা প্রতিষ্ঠাণগুলো আগামি কয়েক বছরে সম্পূর্ণ ভেংগে পরবে যদি না বিদেশী গবেশকরা অংশগ্রহন করে। এই কথা খোদ মিচিও কাকু ( বিশিষ্ট বিজ্ঞানী) বলেছেন। বিদেশী মেধার জন্যই আজ আমেরিকা টিকে আছে। এমনকি ট্রাম্পের বড় দাদাও এসেছেন ইউরোপ থেকে ( বাবা জার্মান - মা স্কটিশ)।
https://youtu.be/NK0Y9j_CGgM
আমেরিকার সকল ক্ষেত্রে বিদেশীরা ভূমিকা রাখছে। গ্যাস স্টেসন থেকে শুরু করে গুগলের উঁচু স্তর পর্যন্ত বিদেশিদের অবদান রয়েছে।
আজ মিস্টার ট্রাম্প যতদূর আস্তে পেরেছে তা থেকে স্পস্ট আমেরিকার সাদা জাতি আজও মনে প্রানে কাল/ব্রাউন জাতিদের নিজেদের মত করে মেনে নিতে পারে নাই। তারা মুখে রাখে ভালবাসা আর মনে রাখে ঘৃণা। ব্যাপারটা বিদেশী সবাই অনুভব করে কেউ বলে কেউ বলে না।
আজ ট্রাম্প জিতুক আর হারুক- আমেরিকানদের মনের কথা বলে এতদুর আস্তে পেরেছেন তাতেই শুভেছা ট্রাম্পকে। আমেরিকানদের আসল চেহারা সারা দুনিয়ার সামনে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এখন কেবল খোদা নিজেই পারেন আমেরিকাকে বাঁচাতে।
GOD BLESS AMERICA!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৭