মাথা ব্যথার জন্য পুরা মাথা ফেলে দেওয়া কি ঠিক.....( প্রশ্ন রইলো সবার কাছে )
সাকিব আল হাসান এর ব্যাপারে কিছু কথা না বলে থাকতে পারসিনা ......
সাকিব আল হাসান দেশে ফিরে যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, তা শোনার পরও তাকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার
করতে হলে লোটাস-পাপন, এবং 'প্রথম আলো'কে বাংলাদেশের ক্রিকেট ধ্বংশ করার দায়ে ফায়ারিং
স্কোয়াডে পাঠানো উচিত। সাধারণ মানুষ কেবল বিষফল দেখে, বিষবৃক্ষ দেখে না। বিষবৃক্ষের গোড়া না কেটে
বিষফলকে গালিগালাজ করে কোন লাভ নেই। আরো বিষফল আসবে, কারণ বিষবৃক্ষ এখনো সুফলা।
আমি বলছিনা সাকিব অন্যায় করেনি, অন্যায়ের শাস্তিরও একটা সীমা থাকে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষতিটা
যত না সাকিবের হলো তারচেয়েও বেশী তো হলো দেশের।
সাকিব আল হাসানকে শাস্তি দেয়ার জন্য বোর্ড যেন জন্য ওঁত পেতে ছিল। শেষ পর্যন্ত তাকে শাস্তি দিল।
সেটা লঘু পাপে গুরুদণ্ড নয়, একেবারে মৃত্যুদণ্ড। একটা প্লেয়ারকে দেড় বছর আটকে রাখার মানে
পাপন সাহেবেরা জানেন? তার পুরো ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এটাই যথেষ্ট। দেড় বছর বিদেশে
খেলতে পারবেন না সাকিব। জনাব পাপনরা কি এমন সুপুত্র প্রসব করেছেন যে আগামী
দেড় বছরের মধ্যে বাইরের ক্লাবগুলো খেলার জন্য ডাকবে? আছে কেউ? আছেন সাকিবই। বাংলাদেশ
বলতে বাইরের ক্রিকেট দুনিয়া তাকেই চেনে। তিনিই দেশকে যা কিছু তুলে ধরেছেন। সাকিবই একমাত্র
বাংলাদেশি ব্র্যান্ড। তাকেই মি. পাপন আগামী দের বছর দেশের বাইরে খেলতে অনাপত্তি দিতে নিষেধাজ্ঞা
দিয়েছেন।
রাখালদের কাজ গরু-ছাগল চড়ানো, তাদেরকে টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব দিলে তো...
তারা সবাইকে গরু-ছাগলের মত ট্রিট করবেই.... পাপন সাহেব হয়তো ভেবেছিলেন, "দুষ্ট গরুর চেয়ে শুন্য
গোয়াল ভাল"। কিন্তু তার এটাও ভাবা উচিত ছিল, গরু যখন একটাই, তখন শুন্য গোয়ালের চেয়ে দুষ্ট গরু
রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। বাকিরা তো সব ডানো খাওয়া নিয়ে ব্যস্ত।
ক্রিকেটার রা দেশের জন্যই খেলে, শাস্তি দিতে হবে যাতে সাপ ও মরে লাঠিও ভাঙেনা......
পাপন ছিলেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের এমডি, ক্রিকেট না খেলেই ক্রিকেটের বিশাল
স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত তিনি, বোর্ড সভাপতি যেকোনো কেউ না হয়ে যদি ক্রিকেটার হতো তাহলে খেলার স্বার্থটা
সবার উপরে থাকতো। এ যেন জন্মদাতা যে কেউ হয়ে যেতে পারে কিন্তু প্রকৃত বাবা সবাই হতে পারে না,
যারা সাকিবের বিচার করেছে তারা কি মোটেও বিতর্কের উর্দ্ধে??? মোটেও না! বরং তারা আরো
বেশি বিতর্কিত প্রত্যেকটা মহলেই.. গোয়াল ঘরের প্রেসিডেন্ট যদি কুত্তা হয় তবে সে ভালো গরু খারাপ
গরু ক্যামনে চিনবে?সে চিনবে হাড্ডি!
" আমাদের ক্রিকেট কোচ "
হাথুরাসিংহ এর ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ার'টা জেনে নিন :
টেস্ট খেলেছেন ২৬ টা, রান করেছেন ১২৭৪। ওয়ান-ডে খেলেছেন ৩৫ টা, রান করেছেন ৬৬৯।
(কোন সেঞ্চুরির দেখা পাননি এই মহান খেলোয়াড়।)
বোলিং এ টেস্ট এবং ওয়ান-ডে তে যথাক্রমে ১৭ এবং ১৪ উইকেট পেয়েছেন।
কোচিং ক্যারিয়ারে ন্যাশনাল টিমের কোচ ছিলেন শুধু আরব আমিরাতের, তাও মাত্র ১ বছর।
২০১০ সালে ডিসিপ্লিনারি কারণে শ্রীলংকান ন্যাশনাল টিমের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টের পদ থেকে নিজ দেশেই
তাকে বহিষ্কার করা হয়।
"নতুন পাচায় বাল উঠিছে আব্বা চিরুনি কিনে দাও"...... এই হল আমাদের ক্রিকেট কোচ এর অবস্থা ।
সাকিবকে দেখেই যদি সবাই নিজেকে হিরো ভাবে তাহলে সাকিব কে দেখে কেন সাকিবের মতো মাস্টার
প্লেয়ার সবাই হয় না ?নেগেটীভ দিক গ্রহণ করে নেগেটিভ চিন্তার মানুষ সাকিবের পজেটিভ দিক হাজার...
সেগুলো গ্রহন করুক...তাহলেই তো হয় !
আজ যারা সাকিব এর বিপক্ষে কথা বলছেন তারা টিক ই মনে মনে বলবেন ( যদি কোন ম্যাচ হারে )
......সাকিব খেলে নাই তাই হেরেছি , না হলে দেখাই দিতাম...হাইরে বাঙালি
সংখ্যালঘু কিছু ব্যাক্তির কাছে ক্রিকেটটা ব্যাবসা মনে হলেও আমাদের কাছে ক্রিকেটটা অক্সিজেনের মতোই।
ব্যক্তি সাকিবকে অনেকে ঘৃণা করলেও ক্রিকেটার সাকিবকে ভালোবাসে গোটা বাংলাদেশ।
বিশ্ব যেমন বেআদব ম্যারাডোনাকে ভালোবাসে,বাংলাদেশও বেআদব সাকিবকে ভালোবাসে
(দয়া করে এখানে কেও রাজনীতির প্রসঙ্গে কথা বলবেন না এটা ক্রিকেট নিয়ে আমার বাক্তি মতামত কোন
রাজনৈতিক স্বার্থে আঘাতের জন্য নয় )