somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আওয়ামী লীগের সোয়া ৩ বছরে গুম ও গুপ্তহত্যার 'পোস্টমর্টেম'

২২ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গুপ্তহত্যা : ২০১২ সালের প্রথম ৩ মাসে মোট ২১৪টি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে। জানুয়ারি মাসে ৩১টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯০টি এবং মার্চ মাসে ৯৩টি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১০ ও ২০১১ সালের ৭ মাসে গুপ্তহত্যা শিকার হয় ৬২৫ জন।


২০১১ এর মে মাসে দেশে গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটেছে ৮৩টি, এপ্রিল মাসে দেশে গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটে ৯০টি, ফেব্রুয়ারিতে ৭১টি, জানুয়ারিতে ৮৭টি। ২০১০ এর ডিসেম্বরে ১০৫টি, নভেম্বরে ৯৬টি ও অক্টোবর মাসে ৯৩টি গুপ্তহত্যার ঘটনা ঘটে।

গুপ্তহত্যা ও গুমের তালিকা ধীরে ধীরে দীর্ঘ হচ্ছে। সর্বশেষ গুমের শিকার ইলিয়াস আলী। প্রকৌশলী, ছাত্র, ব্যবসায়ীর পর আবারো রাজনীতিবিদ অপহরণের ঘটনা ঘটল। এর আগে বিএনপি নেতা ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলমের গুমের কোনো কূল-কিনারা হয়নি। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সাবেক এ সংসদ সদস্যের ব্যবহৃত গাড়িটি রাজধানীর মহাখালীর আমতলী ক্রসিং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই গাড়ির চালক আনসারেরও কোনো হদিস মিলছে না।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, অপহরণ ও গুমের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে অপহরণের ঘটনাও কম নয়। অপহৃত অনেকেরই কোনো খোঁজ মিলছে না বছরের পর বছর। অপহৃতদের ছবি নিয়ে থানায় থানায়, হাসপাতালে ঘুরছেন স্বজনেরা। আবার কারো কারো লাশও পাওয়া যাচ্ছে। ২০১০ সালের ২৬ জুন রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে অপহৃত হন ঢাকার নির্বাচিত ওয়ার্ড কমিশনার চৌধুরী আলম। তার হদিস এখনো পাওয়া যায়নি। ২০০৮ সালে লালমাটিয়ার বাসা থেকে অপহৃত হন যুবলীগের সাবেক নেতা লিয়াকত। দীর্ঘ চার বছরেও তার খোঁজ মেলেনি।

পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সারা দেশে অপহরণের ঘটনা ঘটে ৬৬টি। ফেব্রুয়ারি মাসে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। গত বছরের জানুয়ারি মাসে অপহরণ হয় ৪৫, ফেব্রুয়ারি মাসে ৬৩, মার্চ মাসে ৭৪, এপ্রিলে ৮২, মে মাসে ৬৫, জুন মাসে ৪৮, জুলাইয়ে ৮০, আগস্ট মাসে ৬৯, সেপ্টেম্বরে ৭১, অক্টোবরে ৮০, নভেম্বরে ৬৯ ও ডিসেম্বরে ৬৭টি।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কখনো দুর্বৃত্ত আবার কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে এসব ঘটনা ঘটছে। অপহরণের পর কারো লাশ মিলছে, আবার কেউ কেউ বছরের পর বছর ধরে নিখোঁজ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও উদ্ধার হচ্ছে না অপহৃতরা।

বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৭ মাস ১৯ দিনে সারা দেশে ১০০ ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ এবং ১৩টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে এ তথ্য বের করা হয়েছে। এই ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৬ জনের কোনো খোঁজ নেই।


বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড ৩৯৬ জন
আওয়ামী লীগ সরকারের ৩৯ মাসে ৩৯৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে।
২০০৯ সালে ১৫৪ জন,
২০১০ সালে ১২৭ জন,
২০১১ সালে ৮৪ জন,
২০১২ সালের প্রথম ৩ মাসে ৩১ জন।


৩৯ মাসে

কারাগারে মৃত্যু ২৩৬ জন
২০০৯ সালে ৫০ জন,
২০১০ সালে ৬০ জন,
২০১১ সালে ১০৫ জন,
২০১২ সালের প্রথম ৩ মাসে ২১ জন।


হেফাজতে নির্যাতন ২২০ জন
২০০৯ সালে ৮৯ জন,
২০১০ সালে ৬৭ জন,
২০১১ সালে ৪৬ জন,
২০১২ সালের প্রথম ৩ মাসে ১৮ জন।


৩৮ মাসে ২৬৮৫টি অপহরন
২০০৯ সালে ৮৫৮টি,
২০১০ সালে ৮৭০টি,
২০১১ সালে ৮২৬টি,
২০১২ সালের প্রথম ২ মাসে ১৩১ জন।



আলোচিত কয়েকটি ‘গুম’ ও ‘গুপ্তহত্যা’

# ২ অক্টোবর ২০১১ পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক ও ঝুট ব্যবসায়ী আবদুল করিম হাওলাদারকে (৫০) ‘প্রশাসনের লোক’ পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। এখনো তাঁর খোঁজ মেলেনি। করিমের স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, ‘বুঝতে পারছেন, কী পরিস্থিতিতে আছি আমরা। ছয়টা মাস বুকে পাথর বেঁধে বসে আছি। লোকটা বেঁচে আছে না মরে গেছে, তা-ও জানি না। বাচ্চাগুলাকে সান্ত্বনা দিতে পারি না।’ তিনি বলেন, মামলার তদন্তভার যখন থানা থেকে ডিবিতে গেল, তখন তাঁরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু ছয় মাস ধরে ডিবির কর্মকর্তারা বলেই যাচ্ছেন যে তাঁরা চেষ্টা করছেন।

# ২৮ নভেম্বর ২০১১ রাতে রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও সূর্যসেন হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও গবেষণা সম্পাদক শামীম হাসান সোহেল, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ইসমাইল হোসেন ওরফে আল আমিন ও মাসুম হোসেন নামে তিনজনকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর গত ৮ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী থেকে পুলিশ দুটি গলিত লাশ উদ্ধার করে। এর একটি লাশ ইসমাইলের বলে তাঁর স্বজনেরা বাসায় নিয়ে গেছে। বাকি দুজনের খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ শামীমের ভাই সাইমুন ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ, র্যাব, নেতা, মন্ত্রী, সাংবাদিক—সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। ভাইয়ের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি।

# ১৭ নভেম্বর ২০১১ মালিবাগ থেকে অপহূত হন একসঙ্গে সাতজন। এঁদের পাঁচজন ওই দিন সকালে ভোলার বোরহানউদ্দীন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। তাঁরা পরস্পরের আত্মীয়। ধরে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মো. মিরাজ ও শেখ সাদী নামের দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আর ১০ দিন পর আশুলিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার হয় এঁদের একজন জসীমউদ্দীনের লাশ। বাকিরা এখনো নিখোঁজ। জসীমউদ্দীনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভাইয়ের লাশ পাওয়ায় তাঁরা সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ।

অপহরণকারীদের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মিরাজ এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেছেন। এজাহারে মিরাজ উল্লেখ করেন, অপহরণকারীরা তাঁর মামাতো ভাই আকাশের ব্র্যাক ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যায়। ওই কার্ডের গোপন শনাক্তকরণ নম্বর নিয়ে মৌচাক-শান্তিনগর এলাকার যেকোনো একটি বুথ থেকে টাকা তুলে নেয়।

# ৮ ডিসেম্বর ২০১১ মিরপুর এলাকা থেকে নিখোঁজ হন চার ভাসমান ব্যবসায়ী কালাম শেখ (৪০), তাঁর মামাতো ভাই আবুল বাশার শেখ (৩২), আবদুর রহিম (৪০) ও যাত্রাবাড়ীর আতাউর রহমান ওরফে ইস্রাফিল। ইস্রাফিলের শ্যালক কামরুল হাসান বলেন, এই চারজনেরও খোঁজ মেলেনি।

# ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১১ সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টন লাইনে বাসার নিচ থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা কে এম শামীম আকতারকে মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। তাঁর পরিবারের শঙ্কা, শামীম গুপ্তহত্যার শিকার। শামীমের স্ত্রী ঝর্ণা খানম বলেন, ‘আমরা তো অনেক দৌড়ালাম। শামীম বেঁচে আছে না মরে গেছে, এখন আমরা শুধু সেই তথ্যটা জানতে চাই। কিন্তু আমাদের মামলার কোনো গুরুত্বই নেই।’

# নূর মোহাম্মদ : ১৯ অক্টোবর ২০১১ সাভার পৌর এলাকা থেকে রাজধানীর ৪১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদকে র্যাব পরিচয় দিয়ে একদল ব্যক্তি ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। নূর মোহাম্মদের জামাতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, যারা তার শ্বশুরকে ধরে নিয়ে গেছে, তাদের শরীরে র্যাব-পুলিশের কোনো পোশাক না থাকলেও বাইরে ছয়টি গাড়ির মধ্যে র্যাবের দুইটি গাড়ি ছিলো, যা স্থানীয়রা দেখেছেন। এরপর ৩ ডিসেম্বর শ্যামলী থেকে নিখোঁজ হন তাঁর জামাতা আবদুল মান্নান। মান্নানের সঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন ইকবাল নামের আরেকজন।

# ৩১ জুলাই ২০১১ গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয় দেওয়া সশস্ত্র ব্যক্তিরা দয়াগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায় জুয়েল সরদার, রাজীব সরদার ও মিজানুর হোসেন নামের তিন তরুণকে। জুয়েল ও রাজীব সম্পর্কে চাচাতো ভাই। এর পাঁচ দিন পর ঢাকা বাইপাসের পাশে গাজীপুরের পুবাইলে পাওয়া যায় জুয়েল আর মিজানের লাশ। রাজীবের লাশ মেলে ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশে সিরাজদীখানের নিমতলীতে। তিনজনেরই হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।

# ৪ জুলাই ২০১১ টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেটের সামনে থেকে সজল ও ইমরান নামে দুই তরুণকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাত সশস্ত্ররা। প্রায় আট দিন পর ১২ জুলাই সজলের লাশ পাওয়া যায় ঢাকা বাইপাস সড়কের পাশে সমর সিংহ গ্রামে। পরদিন ১৩ জুলাই ইমরানের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায় ঢাকা-মাওয়া সড়কের পাশে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়ার একটি ইটভাটায়।

# চৌধুরী আলম : ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলম। তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। ২০১০ সালের ২৫ জুন রাজধানীর ইন্দিরা রোডের এক আত্মীয়ের বাসা থেকে প্রাইভেটকারে ধানমণ্ডি যাওয়ার পথে সাদা পোশাকধারী ব্যক্তিদের হাতে আটক হন। পরিবারের অভিযোগ, গাড়ি থামিয়ে তাকে আটক করা হয়। আজো হদিস মেলেনি তার। পরবর্তীতে চৌধুরী আলমের ব্যবহূত প্রাইভেটকারটি কারওয়ান বাজারের ওয়াসা ভবনের বিপরীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ নিয়ে শেরেবাংলা থানায় একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। অনেক দেনদরবার চলেছে। ঢাকার মেয়র এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তার হদিস চেয়েছেন। বিএনপি চৌধুরী আলমকে পরিবারের কাছে জীবিত ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচিও দিয়েছে। কিন্তু এখনো লাপাত্তা চৌধুরী আলম। দীর্ঘ প্রায় ২ বছরেও তিনি মৃত না জীবিত এখনো তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা সরকারি নেতারা এই ঘটনাকে বিএনপির সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেছেন।

# লিয়াকত হোসেন : বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে পুলিশের পুরস্কার ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম লিয়াকত হোসেন। পাঁচ বছর জেলে বন্দি থাকার পর মুক্তি পান ২০০৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচনের জন্য এলাকায় জনসংযোগ চালান। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বর সড়কের ৪০৫ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাট থেকে ‘গুম’ করা হয় তাকে। তার স্ত্রীর ভাষ্যমতে, র্যাব পরিচয়ে ৫/৬ জনের একটি সশস্ত্র দল বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় তাকে। পরবর্তীতে থানায় মামলা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলন করেন। উচ্চ আদালতে রিট করেন। র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর প্রধান উচ্চ আদালতকে জানান, লিয়াকতকে তাদের বাহিনী আটক করেনি। সাবেক যুবলীগ নেতার সেই ‘গুম’ রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।

# আকবর আলী : ২০১০ সালের ১৯ মার্চ ঠাকুরগাঁওয়ের সদর থানার সানদার জামে মসজিদের পাশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আকবর আলী সর্দারকে র্যাব-৫ এর পরিচয় দিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা অপহরণ করে। এ নিয়ে ঠাকুরগাঁও আদালতে একটি মামলা হয়। মামলা করার পর বড় ভাই আয়ুব আলী সর্দার ও তার এক বন্ধু ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অজ্ঞাতনামাদের হাতে অপহূত হন। এক বছর হলেও তারা তিনজনই লাপাত্তা। গুমের শিকার মাদারীপুরের অধিবাসী এ তিনজনের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তারা অপহূত হয়েছেন।

# মোহাম্মদ ওয়াজি উল্লাহ : রাজধানীর বঙ্গবাজারের কাছে নির্মিত ঢাকা সুপার মার্কেটের মালিক ও ঐ মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ওয়াজি উল্লাহ ৮ মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি চক্র তাকে অপহরণ করে নিয়ে গুম করতে পারে। এ ব্যাপারে ওয়াজি উল্লাহর ছেলে ওহিদুর রহমান বাদি হয়ে দায়ের করা মামলাটি পর্যবেক্ষণ করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, ওয়াজি উল্লাহকে কারা এবং কি কারণে অপহরণ করেছে তার এখনো কোন কূল-কিনারা হয়নি।

# সারোয়ার জাহান বাবুল : ২৬ অক্টোবর ২০১১ রাত ৮টার দিকে ফকিরাপুলের হোটেল আসরের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একদল লোক ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার যুবলীগ নেতা সারোয়ার জাহান বাবুলকে (২৯) তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাবুলের বড় ভাই আবদুর রহিম মানিক বাদি হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেছেন।

# তারিক উদ্দিন আহম্মেদ রানা : ২০১১ সালের ৮ এপ্রিল সূত্রাপুরের লালকুঠি ফরাশগঞ্জ ক্লাব কমিউনিটি সেন্টারের সামনে থেকে সদরঘাট বেঙ্গল মার্কেটের কালারপাস গার্মেন্টসের মালিক তারিক উদ্দিন আহম্মেদ রানা অপহূত হন। এখানেও অপহরণকারীরা ব্যবহার করে একটি এলিট বাহিনীর নাম।

# সুমন ও তার স্ত্রী রানী : ২০১০ সালের ১৪ এপ্রিল সাভারের হেমায়েতপুরে ব্যবসায়ী সুমন ও তার স্ত্রী রানী অপহূত হন। পরে রানীকে ছেড়ে দেয়া হয়। লাশ মেলে সুমনের।

# জালাল ও মোহাম্মদ : ২০১০ সালের ১৭ মার্চ মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের বি ব্লকের ৬ নম্বর ওয়াপদা বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী সেলুন দোকানের কর্মচারী দুই ভাই জালাল ও মোহাম্মদ নিখোঁজ হন। তিন মাস পর তারা ফিরে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি এলিট ফোর্স তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল।

# তুষার ইসলাম টিটু : ২০০৮ সালের ২২ জুলাই সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়া বাজার থেকে যুবলীগ নেতা তুষার ইসলাম টিটুকে গ্রেফতার করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে একদল লোক। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় মামলা হয়নি। জিডি পর্যন্ত নেই। পরিবার জানে না সে কোথায়।

# জহির রায়হান হিরণ : ২০০৯ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার হাতিরপুল এলাকার নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ী জহির রায়হান হিরণকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপহরণ করা হয়। আজও তিনি লাপাত্তা।

# ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার গাজীপুর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রামের করলডেঙ্গার ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাচাকে সাদা পোশাকে অপহরণ করা হয়। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর বাচা চেয়ারম্যানকে র্যাব কার্যালয়ে আনা হয়েছে—এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে বোয়ালখালীর কয়েকশ’ নারী-পুরুষ র্যাব-৭-এর বহদ্দারহাট কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। নজরুলের স্ত্রী সামিন আরা সিদ্দিকী বলেন, ১৬ মাস ধরে আমরা পথ চেয়ে আছি। কিন্তু চট্টগ্রামের জনপ্রিয় এই বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান নজরুলের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না।

# এদিকে বরিশালের উজিরপুরের বিএনপি নেতা হুমায়ুন খান ঢাকার মলিবাগ থেকে সাদা পোশাকধারীদের হাতে আটকের পর এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ। ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর সকালে হুমায়ুন তার ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঢাকার সূত্রাপুরের ৪৫/ক, ঢালকানগর ফরিদাবাদের নিজ বাসা থেকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় মফিজুলের বাসায় যান। সেখান থেকে সাদা পোশাকের একদল লোক নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় হুমায়ুনের ছোট ভাই মঞ্জু খান বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকার ১১ জনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হুমায়ুনের ভাই মঞ্জু জানান, তার ভাইয়ের ব্যবহৃত মোবাইলের সিমটি দীর্ঘদিন পর সচল অবস্থায় এর ব্যবহারকারী বিপুল দাসকে খুলনা ডিবির সহযোগিতায় ৮ অক্টোবর খুলনা নগরীর নিরালা এলাকা থেকে আটক করা হলেও পরে ছেড়ে দেয় ডিবি।

# ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ র্যাব পরিচয়ে আটক করে নেয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই মেধাবী ছাত্র আল-মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহর খোঁজ মেলেনি ৩ মাসেও। ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজ শেষে হানিফ এন্টারপ্রাইজের গাড়িতে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন। রাত সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কল্যাণপুর বাস কাউন্টার থেকে ঝিনাইদহ-৩৭৫০ নম্বর গাড়ির সি-১ ও সি-২ সিটে বসে ক্যাম্পাসে আসার পথে রাত সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মাঝামাঝি সময়ে সাভারের নবীনগর পৌঁছালে র্যাব-৪-এর সদস্য পরিচয় দিয়ে গাড়িটি থামানো হয়। এসময় র্যাবের পোশাক ও সাদা পোশাকধারী ৮-১০ জন গাড়িতে উঠে আল-মোকাদ্দেস ও ওয়ালিউল্লাহকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায় বলে গাড়িতে অবস্থানকারী যাত্রী এবং সুপারভাইজার সুমন নিশ্চিত করেন। এরপর থেকে র্যাবের হাতে আটক দুই ছাত্রের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। র্যাব তাদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

# সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমদ দিনারকে র্যাব আটক করে গুম করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ৬ এপ্রিল স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ১৭ এপ্রিল গুম হওয়া কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা বিএনপি সভাপতি এম ইলিয়াস আলীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতারা এবং আটক দিনারের স্বজনরা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, একটি মামলার আসামি হওয়ায় গত ১ এপ্রিল ঢাকায় আসেন দিনার। রাজধানীর উত্তরায় তার এক আত্মীয়র বাসায় তিনি অবস্থান করছিলেন। ১ এপ্রিল র্যাব-১-এর একটি টিম দিনারকে ওই বাসার সামনে থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

# এদিকে অপহরণের পর গুপ্তহত্যার শিকার যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানা বিএনপি সভাপতি নাজমুল ইসলামের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটিও তদন্ত করছে না পুলিশ। গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকার বাংলামোটরে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেননি। পরে গাজীপুরে তার লাশ পাওয়া যায়। তার স্ত্রী সাবিরা সুলতানা জানান, এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা মামলা পুলিশ তদন্ত করে অপহরণকারীদের শনাক্ত করছে না। এছাড়াও অপহরণের পর র্যাব প্রধান কার্যালয়, র্যাব-২-এর কার্যালয়ে রাতভর অনুনয়-বিনয় করা হয়েছে। পরে গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা নামক স্থানে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশে লাশের সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। কারা তাকে অপহরণ করে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখেছে—এক মাসেও পুলিশ সে তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি।

# ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ গাইবান্ধার শ্যামপুর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে মাহফুজুর রহমান (৩০) নামে এক যুবককে ধরে আনা হয়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ মেলেনি।

# সম্প্রতি নিজ বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকেই শিশু তন্ময়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।

# মার্চ ২০১২ এর শেষ সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থেকে নিখোঁজ হন নূর হোসেন (৩০) নামে এক যুবক। পরে তার লাশ উদ্ধার হয় বন্দরের ঘাটসংলগ্ন আলামিননগর এলাকার একটি গাছ থেকে। তার স্ত্রীর দাবি, তাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয়েছে।

# পঞ্চগড় থেকে অপহৃত স্কুলছাত্র জুয়েলের লাশ সম্প্রতি রংপুর ক্যাডেট কলেজসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।



গুপ্ত হত্যা সর্ম্পকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য

‘গত ১০ বছরের তুলনায় ২০১১ সালে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো। সাহারা খাতুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রথম আলো ১৫-১২-২০১১

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে অপরাধীরা গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে: আইজিপি বার্তা২৪ ১৭ ডিসেম্বর ২০১১

“গুপ্তহত্যা হোক, আর অপহরণ হোক, পত্র-পত্রিকা দেখে তদন্ত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” সাহারা খাতুন-১৪ ডিসেম্বর ২০১১ বিডিনিউজ২৪.কম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন দাবি করেছেন, তিনি গুপ্তহত্যার খবর জানেন না। পত্রিকা পড়ে খবরটি শুনেছেন। ১৪ ডিসেম্বর প্রথম আলো

দেশে বিএনপিই গুপ্তহত্যা ও ঘুষ-দুর্নীতির সংস্কৃতি চালু করেছে- শেখ হাসিনা- প্রথম আলো- ১৯-০৪-২০১২

“গুমের রাজনীতি তারাই শুরু করেছে। আমরা গুমের রাজনীতি করি না। তারা নিজেরা নিজেদের লোক মেরে আমাদের ওপর দোষ চাপায়।” শেখ হাসিনা

ইলিয়াস আলীকে ‘র্যাবের লোকরা তুলে নিয়ে গেছে’ বলেও বুধবার এক অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া।

দৃশ্যতঃ এর জবাবে কোনো সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ না করে শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা তাদের ট্রেনিং দিয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। আমরা তাদের মানবাধিকার ট্রেনিং দিচ্ছি। আপনাদের সৃষ্টি আপনাদেরই খাবে।” বিডিনিউজ২৪.কম- ১৯-০৪-২০১২

নেত্রীর নির্দেশেই ইলিয়াস লুকিয়ে থাকতে পারে- শেখ হাসিনা- বাংলানিউজ২৪.কম- ১৯-০৪-২০১২

ইলিয়াসের স্ত্রীর রিট আবেদনের পর এক আলোচনা সভায় এই বিষয়টি নিয়ে বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের এক নেতা না কি হারিয়ে গেছেন। আরেক নেতা হারিছ চৌধুরী তো তত্ত্বাবধায়কের আমল থেকে হারিয়ে আছেন। তার তো খোঁজই পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিক এরকম, তাদের দলের নেতারা নিজেরাই নিজেদের গুম করে রেখেছেন কি না ?”

“হয়তো উনি (ইলিয়াস) নেত্রীর কথায় লুকিয়ে আছেন। আন্দোলনের ইস্যু পাওয়া যাচ্ছে না। সেজন্য ইস্যু তৈরি করতে উনি (খালেদা জিয়া) কী নতুন নতুন খেলা শুরু করেছেন, তা উনিই জানেন,” শেখ হাসিনা- বিডি নিউজ২৪.কম-১৯.০৪.১২
source
আওয়ামী লীগের সোয়া ৩ বছরে গুম ও গুপ্তহত্যার 'পোস্টমর্টেম'
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×