somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমাদের এই নগরে

২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১.....
আমার চাকরি করার শখ মিটে গেছে। কাজ করতে ইচ্ছে করে না। কোর্টে হেয়ারিং করে আসি আমি আর আমার ডিপার্টমেন্টাল বস সব ক্রেডিট নিয়ে যায়। চেয়ারম্যানের কাছে আমার আগেই গিয়ে ভুলভাল আপডেট দিতে থাকে। অথচ আমি আমার যখন কোর্টে হেয়ারিং করছিলাম, তখন তিনি বাসায় ছিলেন। আমাকেই কোর্ট চালিয়ে নিতে বললেন। অবশ্য তিনি এলেও লাভ নেই, তিনি এডভোকেট হননি। তাই কোর্টে হেয়ারিং করতে পারবেন না।
আরও যন্ত্রণা আছে! সে চেয়ারম্যান স্যারকে গিয়ে বিচিং করে, "স্যার, মেহরাব তো উকিল হয়ে গেছে। শুনছি, এই অফিসে আর থাকবো না।"
নোংরা অফিস পলিটিক্স দেখার দূর্ভাগ্যও হয়ে গেল।

আমার রুমের বাইরে দু'চারজন মানুষের জটলা। সবাই তাদের জমি বিষয়ক মামলার আপডেট জানতে এসেছেন। আমি ব্যস্ত ব্যস্ত বলে সময় পার করছি। কাজে আমার মন নেই। কাল কোর্টে কষ্ট করলাম আমি, আর ৫০০০ বখশিশ পেল অনিক ভাইয়া।

আর্মির পোশাক পড়া একজন রুমে ঢুকলো।
:আসসালামু আলাইকুম, এডভোকেট সাহেব। কালকে আমার মামলাটার ডেট আছে।
: ১৪৮/২১ তো? বসুন বসুন।
আমি ফাইল খুলে বসলাম। পৈত্রিক সম্পত্তি পাবার মোকদ্দমা। উনার বাবা মারা গেছেন, উনার ভাইয়েরা তাকে সম্পত্তি না দিয়ে নিজেদের নামে দলিল করে জমি নামজারী করে নিয়েছেন। তিনি নিজের অংশ পাবার জন্য মামলা করেছেন।

:শুনুন, কালকে আপনাকে কোর্ট কিছু প্রশ্ন করবে। সেগুলোর উত্তরসহ আপনাকে দেয়া হয়েছিল। মুখস্থ করে এসেছেন?
:জ্বী, আমার একটা কথা ছিল।

:সেটা পরে শুনছি। আসুন, আগে প্রশ্নোত্তরগুলো রিহার্সাল করি। আমি প্রশ্ন করবো, আপনি উত্তর দিবেন।
:আচ্ছা।

:আপনার পরিচয় দিন।
:আমি মোস্তফা মনোয়ার, কমান্ডিং অফিসার, বাংলাদেশ আর্মি, পিতা: মৃত আইনাল মনোয়ার, ঠিকানা.....

:আপনি এই মোকদ্দমা কেন করেছেন?
:আমার ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত জমির জন্য মোকদ্দমা করেছি।

:জমির মালিকানা সম্পর্কে বলুন।
: জমির প্রকৃত মালিক আমার দাদা মৃত ওহেদ মনোয়ার। আমার পিতা মৃত আইনাল মনোয়ার উনার কাছ থেকে পান ৩৩ শতাংশ জমি। যা আমার ভাইয়েরা আমার বঞ্চিত করে নিজেদের নামে লিখে নিয়েছে।

:জমির পরিচয় বলুন।
: জমির সিটি জরিপ খতিয়ান নং ১০০৬, দাগ নং ১০৪৫৭, জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ, চৌহদ্দি........জমিতে চারটি বহুতল ভবন আছে।

:বাহ, আপনার মেমোরি তো ভালো।
:জ্বী, ধন্যবাদ। ভাইয়া, আমার একটা কথা ছিল।

:আরেহ, চিন্তা করবেন না। জমি আপনি পেয়ে যাবেন। ওয়ারিশ কোনদিন মারা যায় না। আপনি নিশ্চিন্তে কাল আদালতে চলে আসুন।

প্রায় ছ'ফুট লম্বা, গোল মুখ, গায়ের রঙ মেটে, শরীরের গরণ আর্মিদের যেমন হয় তেমনি আরকি। তবে আমার চেয়ে চার'পাঁচ গুণ বড় আরকি। আমিতো উনার তুলনায় হাফ টিকিট!

২.....
হেয়ারিং চলছে। জজ সাহেব সরু চোখে আমার মক্কেলের দিকে তাকিয়ে আছেন। অফিসার সাহেব সব প্রশ্নের উত্তর সাবলীলভাবেই দিয়ে গেলেন। এবার জেরারপালা। বহু শক্তসমর্থ লোককেও দেখেছি জেরায় কুপোকাত হতে। যদিও কাগজপত্র সব আমাদের পক্ষেই, জমি তিনি পাবেনই।আবার সরকার পরিপত্র জারি করেছে, দখলে থাকলেই জমির মালিক না সাথে কাগজপত্রও থাকা চাই। তবু একটু ভয় কাজ করছিল।

বিপক্ষের উকিল জেরা শুরু করলেন।

: জমির মালিক আপনার কি হয়?
:আমার পিতা।

:কিন্তু বাকি ওয়ারিশদের মা, আর আপনার মা তো আলাদা।
: আমার আম্মা উনার প্রথম স্ত্রী ছিলেন। উনি মারা গেছেন।

:আপনার মায়ের সাথেতো বিবাদীদের পিতার বিয়ে হয়নি। আপনি কেন ওয়ারিশসূত্রে জমি চাচ্ছেন?
:....(তিনি চুপ করে রইলেন)

:Your Honor, এভাবে যদি আজেবাজে লোক, জারজ সন্তানরা কোর্টে জমির মামলা করতে থাকে তবে কোর্ট চলবে কি করে?
আমি দাঁড়িয়ে গেলাম,"I object Your Honor. তিনি একজন কমান্ডিং অফিসার। উনার মায়ের বিয়ের নথি/কাবিননামা পাওয়া যায়নি, তবে বিয়ের ছবি আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। কোর্ট বললেন,"Objection sustained."

:আচ্ছা, আপনিতো পরিবাবের বড় ছেলে। নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন?
:জ্বী, করেছি।

:কিভাবে করেছেন? আপনার সাথেতো আপনার বাবার কোন যোগাযোগ ছিল না। আপনি আর্মিতে জয়েন করার পর থেকেই ছিল না।
: যোগাযোগ ছিল। আমি আব্বাকে টাকা পাঠাতাম ব্যাংক একাউন্টে। অসুস্থ হলে দেখতে আসতাম। আমার ভাইয়েরা আমাকে বাসায় ঢুকতে দিত না।

: আপনার বাবাইতো আপনাকে দেখতে চাইত না।
: না, তিনি আমার সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতেন। গল্প করতেন।

:মিথ্যা বলছেন কেন? আপনাকে উনি ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছিলেন না?
:......(তিনি আবার চুপ করে গেলেন। আমার দিকে তাকালেন)
আমি টেবিল চাপড়ে বললাম,"I object Your Honor. মুসলিম আইন অনুযায়ী ত্যাজ্যপুত্র করা যায় না। আমার মক্কেল একজন সম্মানিত ব্যক্তি উনাকে মানসিকভাবে হেয় করা হচ্ছে। And I apply for camera trial. এই শুনানি পাবলিকলি চলতে পারে না।"

:বারবার I object, I object বললেই সত্য লুকিয়ে ফেলা যায় না, বিজ্ঞ আইনজীবী!
আদালত বললেন,"Objection sustained and application for camera trial is granted."

৩.....
বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ আদালতের চেম্বারে আমি ও আমার ক্লাইন্ট, ৩ বিবাদী ও উনাদের উকিল বসে আছি। এসি চলছে, শনশন শব্দ ছাড়া আর কোন শব্দ নাই। জজ সাহেবের পেছনের সারিসারি সাজানো বই, বই দেখলেই আমার ঘুম পায়।

জজ সাহেব বললেন,"আমি প্রথমে বাদীর কথা শুনবো, তারপর বিবাদীর কথা শুনবো। উকিল সাহেবদের কথা বলার দরকার নেই।"

বাদীর বক্তব্য: আমার আম্মা ময়না বেগমের সাথে আমার আব্বার বিয়ে হয় ১৯৮০ সালে। আমার জন্মের দুইবছর পর ১৯৯০ এ আমার মা মারা যান। আমি আমার নানুর কাছে বড় হতে থাকি। নানুর কাছে শুনেছি আব্বা প্রতিদিনই আমাকে দেখতে নানুবাড়ি চলে আসতেন। সে-বছরই আব্বা বিয়ে করলেন এনাদের মাকে, বিয়ের একটা শর্ত ছিল যে আব্বাকে আমাকে দেখতে আসতে পারবেন না। আব্বা আসা বন্ধ করে দিলেন। তবে টাকা পাঠাতেন নিয়মিতই। আমার পড়াশোনা কখনো থেমে যায়নি।

আমি যখন ৯ম শ্রেনিতে পড়ি তখন একবার আমি আর নানু আমাদের বাড়ি(আব্বা আম্মা যেখানে থাকতেন) গিয়েছিলাম। অনেকদিন পর দেখা, আব্বা আমাকে জড়িয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলেন। আমার ছোটবেলার জামাকাপড়, মায়ের জামাকাপড়, ব্যবহৃত জিনিস দেখছিলাম।

আমার নতুন মা বাসায় ছিলেন না। তিনি বাসায় ফিরে আমাদের দেখে খুব রেগে গেলেন। এটা নিয়েই আব্বার সাথে তুমুল ঝগড়া শুরু করলেন। এদের মধ্যে বড় দুইজন তখন ক্লাস সিক্সে, আর সেভেনে পড়ে। এরা দুজনে আব্বাকে মারার জন্য ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে তেড়ে এল। আমি আর নানু চলে এসেছিলাম। আর কখনো ওবাড়ি যাইনি।

বিবাদীগণের বক্তব্য: উনি সব মিথ্যা কথা বানিয়ে বানিয়ে বললেন। উনার মায়ের সাথে আমার আব্বার বিয়ে হয় নাই। আর হইলেও কি! আব্বা উনাকে ত্যাজ্যপুত্র করে গেছেন। লিখিত কাগজ আদালতে দিয়েছি।
আমরা আব্বাকে কখনো মারতে যাইনি। উনিও আমাদের বাড়িতে কখনো যাননি। আব্বা অসুস্থ হয়েছেন, মারা গেছেন। আমাদের মায়া লেগেছে আমরা উনাকে খবর দিয়েছি, উনি তবুও আসেননি। এখন সম্পত্তির লোভে এই মামলা করেছেন।

আব্বা নিজে সব সম্পত্তি আমাদের তিনভাইকে লিখে দিয়েছেন। আমাদের চতুর্থ ভাই আছে আমরা এটা জানতামই না! Your Honor, আপনি এই মিথ্যাবাদীর বিচার করুন, শাস্তি দিন।কিসের সম্পত্তি? একে জেলে দিন। আর্মি বলে ক্ষমা করে দিবেন না।


বাদী আবার বললেন: Your Honor, আব্বা অসুস্থ হয়েছেন আমাকে দেখতে চেয়েছেন।এরা আমাকে খবর দেয়নি। আমি আব্বাকে দেখতে এলে এরা আমাকে বাসায় ঢুকতে দিত না। আমি পুলিশ নিয়ে আব্বাকে দেখতে যেতাম। এরা গেটে তালা দিয়ে সব দরজা-জানালা বন্ধ করে রাখতো, আলো নিভিয়ে রাখতো, আমাকে আব্বার কাছে যেতে দিত না।

আব্বা যখন মারা গেলেন, আমি তখন শিপে বঙ্গোপসাগরে। আমার সিনিয়র মেজর হেলিকপ্টার দিয়ে আমাকে ঢাকা পাঠালেন। এরা আমাকে শেষবারের মতো আব্বাকে দেখতে দিল না!(ভদ্রলোক কেঁদে ফেললেন)

আমি থানায় গিয়ে পুলিশ আনতে আনতে এরা তাড়াতাড়ি কবর দিয়ে দিল। ছোটবেলায় মা মারা গেল আমার কিছুই মনে নেই। আব্বাকে দেখেছি আমার স্কুলের সামনে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে। রাতে চুপিচুপি আমাদের বাড়ি আসতেন, আমার মাথায় হাত বুলিয়ে একটা চুমু দিয়ে দ্রুত চলে যেতেন। কেউ আবার দেখে নতুন মাকে বলে দেয়, এই ভয়ে!

আমিতো সম্পত্তির জন্য মামলা করতে চাইনি। আমার মায়ের একটা ওড়না, আব্বার একটা শার্ট-পাঞ্জাবি চেয়েছি যা থেকে আম্মা-আব্বার শরীরের ঘ্রাণ পাওয়া যায়।
নানু সেদিন একটা ওড়না দেখিয়ে বলেছিল, দেখ এই ওড়নাটা তোর মায়ের খুব পছন্দের ছিল। সবসময় নামাজের সময় পড়তো। আমি ওড়নাটা ছুয়ে দেখেছি! মনে হয়েছে আম্মা.......
ওরা সেই ওড়নাটাও আমাকে দিল না!

ভদ্রলোক শব্দকরে কেঁদে ফেললেন।
সবার কি হলো কে জানে? জজ সাহেব দ্রুত ওয়াশরুমে চলে গেলেন। আমি দরজা টেনে বাইরে চলে এলাম। বিপক্ষের উকিল সাহেবও বাইরে এসে অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×