somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মোশারফ হোসেন ০০৭
বেলাশেষে ক্লান্ত-তৃষ্ণার্ত পথিকের ন্যায় আসলাম সামুর তীরে, রেখে যেতে চাই কিছু অবিস্মরণীয় কীর্তি । পারি না আর না পারি, চেষ্ঠার ত্রুটি রাখবো না, এই ওয়াদা করছি ।

নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়ায়? - পরোক্ষভাবে ভারতের দায় এড়ানোর চেষ্টা এক সমর্থকের, আমার জবাব সেখানে কি #:-S

২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ফেসবুকে আমার এক বন্ধু পোস্ট করেছেন, "নগর পুড়লে দেবালয় কি এড়ায়?" ঘটনাক্রমে তিনি আবার হিন্দু ধর্মাবলম্বী । এখানে আমার জবাব হচ্ছে, জী না এড়ায় না কিন্তু দেবালয়বাসী যদি আগে জানতে পারতো নগর পুড়তে যাচ্ছে, তাহলে হয়তো তারা আগে থেকেই আগুন নেভানোর জন্য পানি নিয়ে তৈরি থাকতো

এখানে প্রসঙ্গ হচ্ছে, অতিবৃষ্টির পাশাপাশি ভারতের খুলে দেওয়া বাধের কারণে ডাউনস্ট্রিমে থাকা আমাদের দেশের নদীগুলো অতিরিক্ত পরিপূর্ণ হয়ে দেশে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে । বিশেষ করে, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ইত্যাদি আরও জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখন এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছেন । এই মানুষগুলোর মধ্যে হিন্দু ধর্মাবলম্বী জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও কম নয় । সাথে ডুবে যাচ্ছে একের পর এক ধর্মীয় উপসানলায় । ভারতীয় মিডিয়া কি এখন একবারও এটা নিয়ে কোন সংবাদ পরিবেশন করছে ? তাদের মন্দিরও তো পানির নিচে, তাহলে কয়েকদিন আগে এই মন্দির নিয়ে মায়াকান্না কি ছিল তাদের কোন প্রোপাগান্ডা ?

আমি অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই - বোন দের দেখেছি, তারা এ দেশের নাগরিক হলেও তাদের ধর্মাবলম্বী সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ভারতকে অনেক পছন্দ করে, অনেকে আবার প্রায়ই মুখে না বললেও মনে মনে ভারতকে নিজের দেশই মনে করে। যেন আত্মার সম্পর্কে আত্মীয়। যেহেতু ভারতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, তাই এ দেশীয় অনেকের আত্মীয় ভারতে বাস করে, এমনকি আমি শুনেছি সেই সুবাদে অনেকে ভারতেও জমিও কিনে রাখেন এক প্রকার সিস্টেম করে।

আমার বলার উদ্দেশ্য এটা না যে আমি তাদের ভারতপ্রীতিকে অন্যায় বলছি। সেটা তারা করতেই পারে। কিন্তু ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের বাংলাদেশীদের প্রতি প্রীতি নেই। তারা বরাবরই সুযোগসন্ধানী, তারা স্বার্থের জন্য সবকিছু করবে, এটা আরও প্রতিফলিত হয় ভারতের শাসকগোষ্ঠীর বারংবার নেওয়া পদক্ষেপে। আমি কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া সকল ঘটনাসমূহকে আমলে নিয়েই বলছি।

এই তো গত কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিছু দাবী দাওয়া নিয়ে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি নেয় এ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। এ কথা অস্বীকার করার জো নেই যে তাদের অনেকের বাসাবাড়ি কিংবা মন্দির ইত্যাদি জায়গা সে সময় অনেক ভাংচুর করা হয়েছে কিন্তু সেগুলোর অনেকগুলো ছিল আওয়ামী লীগের প্রতি পুরাতন আক্রোশ কিংবা আওয়ামী লীগেরই নির্দেশে গোপন পরিকল্পনায় সংঘটিত হওয়া ঘটনার বহিঃপ্রকাশ। আর এতে ইন্ধন দান করে ভারত, বিশেষ করে ভারতীয় মিডিয়া। এ দেশীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাই বোন দের জন্য তাদের নাকিকান্না তখন রীতিমতো দৈনিক চর্চার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছিল।

অথচ সম্প্রতি এটা কি হলো, একের পর এক নদীর বাধ খুলে দিয়ে নির্বিচারে হিন্দু মুসলমান সব ভাসিয়ে দিচ্ছেন। ঘটনাপ্রবাহ হচ্ছে, ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত ডম্বুর হাইড্রইলেক্ট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বা ডম্বুর গেট খুলে দেয়া হয়েছে কারণ ত্রিপুরাতে ব্যাপক বর্ষণ হয়েছে ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে । ডম্বুর বাধ গেট খুলার পর এখন শুনছি তিস্তা বাধের গেট ও নাকি খুলে দিবে । আচ্ছা মানলাম, তাদের ওদিকে যেহেতু পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে যাচ্ছিল, তাই বাচার জন্য তারা বাধ খুলে দিয়েছে। কিন্তু বন্ধু দাবী করা রাস্ট্র কেন আগে থেকে এ দেশীয় মানুষকে সতর্ক করলো না? কমপক্ষে কয়েকদিন আগে তারা যাদের জন্য নাকিকান্না করলো, তাদের বাচানোর জন্য বা তাদের নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার জন্য তো সতর্ক করতে পারতো। কিন্তু না, এখন মন্দির মসজিদ দেখার টাইম নাই, নিজে বাচলে বাপের নাম।

এ থেকেই কি বুঝা যায় না, কতটা সুযোগসন্ধানী রাস্ট্র এই ভারত। মাওলানা ভাসানী তো এই কারণেই বলেছিলেন, " ভারত আমাদের জাত শত্রু, এই কথা যে প্রজন্ম বুঝতে পারবে, সে প্রজন্মই এই জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান"। এখন মাওলানা ভাসানীর কথা আবার অনেকের ভিতরে চুলকানির উদ্রেক ঘটায়, কি আর করার ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:১৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×