
বহুস্তর বিপণন (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনির নামে থাকা বিপুল পরিমাণ স্থাবর-
অস্থাবর সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব এখন পুলিশের। কিন্তু দায়িত্বের বাইরে গিয়েও কাজ করছে পুলিশ। আবার অনেক জায়গায় রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বটুকুও পুলিশ পালন করছে না।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ডেসটিনির কিছু আয় পুলিশের নামে ব্যাংকে জমা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি সিনেমা হলের আয়। ডেসটিনির বাড়িভাড়াও নিচ্ছে পুলিশ। আদায় করা সেই ভাড়া পুলিশের কাছেই থাকছে। পুলিশ ডেসটিনির ৫০টি গাড়িও ব্যবহার করছে।
অবশ্য পুলিশের দাবি, ডেসটিনির আয় তারা ভোগ করছে না, বরং হিসাব রাখছে। তবে গাড়িগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে পুলিশ স্বীকার করেছে।
আদালতের নির্দেশে এক বছর চার মাস ধরে ডেসটিনির সম্পদের রিসিভার বা তত্ত্বাবধায়ক পুলিশ। রাজধানীতে থাকা ডেসটিনির সম্পদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং রাজধানীর বাইরের সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করছেন সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি)।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক যুগ ধরে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস ও ডেসটিনি ট্রি-প্লানট্রেশনের মাধ্যমে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার কোটির বেশি টাকা সংগ্রহ করে ডেসটিনি। এই টাকা দিয়ে ডেসটিনির কর্তাব্যক্তিরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানীর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ কিনেছেন। বাড়ি, গাড়ি, সিনেমা হল ছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে পাটকল, হিমাগার, টেলিভিশন চ্যানেল, বিপুল পরিমাণ ধানি জমি ও শপিং কমপ্লেক্স করার জমি।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ডেসটিনির সম্পদে বিনিয়োগকারীদের হক রয়েছে। আদালতের রায়ে পুলিশ যেহেতু এই সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাই এর অপব্যবহার হলে পুলিশই দায়ী থাকবে।
======================================
হে বিবেহীন সরকারের কর্তাব্যক্তিরা, হে বিবেকহীন সুশীল সমাজ, ওহে সাধারন জনগন
আজকে পত্রিকা হেড-লাইন করেছে ডেসটিনির সম্পতি পুলিশ খাচ্ছে, সারা দেশে ডেসটিনির বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে যার রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছেনা। হে বিবেকহীন বিবেকবান মানুষ নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখুন ডেসটিনির কর্তাব্যক্তিরা যদি অর্থ পাচার করতো যদি তারা অর্থ আত্ত্বসাৎ করতো তাহলে এই বিপুল পরিমান সম্পদ কোথা থেকে আসলো, প্রশ্ন করুন নিজেকে ১২ বছর এই কোম্পানী চালাতে কি কোন টাকা খরচ হয়নি ? ১২ বছর কর্মচারীদের বেতনবাতা ও অফিস খরচ দেওয়ার পরে এত সম্পদ কোথায় থেকে আসলো ? ৪৫ লক্ষ ক্রেতা পরিবেশকে ১২ বছরে প্রায় ১৫০০শ কোটি টাকা কমিশন দিয়েছে তার পরেও এত সম্পদ কোথায় থেকে আসলো ? ১২ বছরে সরকারকে ৫০০শ কোটি টাকা ট্যাক্স দিয়েছে তার পরেও এত সম্পদ কোথায় থেকে আসলো ? এই রকম অনেক প্রশ্ন নিজের বিবেকের কাছে করুন সব প্রশ্নের উত্তর হল ডেসটিনি কোন অর্থ আত্ত্বসাৎ করেনি ডেসটিনি কারো সাথে প্রতারণা করেনি। যার যার পাওনা দেওয়ার পরেও যে টাকা ছিল বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় এই বিপুল পরিমান সম্পদ ক্রয় করা হয়েছে, যা থেকে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবে।
-----------------------------
আপনারাই বলছেন অর্থ আত্ত্বসাৎ করেছে ডেসটিনি, আবার আপনারাই বলছেন বিপুল পরিমান সম্পদ রয়েছে ডেসটিনির।
বিষয়টি এমন নয়কি
গৃহকর্তা বলছে চোর সব কিছু চুরি করে নিয়েছে, আবার বলছে ঘরের মাল ঘরেই রয়েছে।
-----------------------
দয়া করে এই নাটক বন্ধ করুন, ডেসটিনিকে মুক্তি দিন ৪৫ লক্ষ মানুষকে মুক্তি দিন।
--MH Ran

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




