ঘুম থেকে উঠে সাজিদ কে ফোন দিলাম, আজ কয়টায় ক্লাস রে?
আজকে তো ক্লাস নাই।
ভালো। তাহলে কি করা যায়? নাস্তা করে কিছুক্ষন ঝিম ধরে বসে রইলাম। ক্লাস নাই তো আমি কি করব? ব্লগে বসা যায়। অনেকদিন কিছু লেখা হয় না। দিনের বেলা এমন সুযোগ সাধারনত পাওয়া যায় না। এক দিক দিয়ে ভাল, আজকে যা মন চাইবে তাই লিখব। যেহেতু আমি এলিট ব্লগার না, আমার যা খুশি তাই লিখতে কোন সমস্যা নেই।
কিন্তু সমস্যা হল লিখতে গেলেই খালি সমস্যার কথা লিখতে হয়, আর কি নিয়ে লিখব, আশাবাদী হওয়ার মত কিছু পাই না যে। আর এদিকে সমস্যার শেষ নেই। জনসংখ্যা, বেকার, দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি, যানজট ইত্যাদি ইত্যাদি। যাই হোক লিখবনা। লিখে তেমন কিছু হয়না। এই দেশে এইসব সবাই জানে। কিন্তু যাদের কিছু করার কথা তারা কিছুই করে না, জেনেও না জানার ভান করে থাকে।
সবচেয়ে ভাল হচ্ছে নিজে কে নিয়ে ভাবা। আমি কে, কোথায় আছি, কোথায় যাব, কি করব? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে বের করা। আপাতত স্পিরিচুয়াল কিছু নিয়ে যেহেতু ভাবছি না, সুতরাং পার্থিব দৃষ্টিকোন থেকে দেখাই ভাল (যদিও আমি নাস্তিক নই, পুরো বস্তুবাদীও নই)।
আমি কে?
আমি মানুষ, বাংলাদেশের। অতি দরিদ্র দেশ, সুযোগ সুবিধা অপ্রতুল। কিন্তু ৭০০ বিলিয়ন এর মধ্যে আমি একজন।
কোথায় আছি?
আমার এই মুহূর্তে কোন অবস্থান নেই। অর্থাৎ আমি যদি নাও থাকি এই সমাজ বা পৃথিবীর কিছু যায় আসে না। শুধু পরিবার (বাবা, মা) এর কাছে দায়বদ্ধ।
কোথায় যাব?
আমি ঠিক করেছিলাম, আমি এই এই জায়গাগুলোতে যাব। অবস্থান পরিস্কার করে নেই- অবশ্যই সৎভাবে। কিন্তু আমি জানি না যেতে পারব কি না। দিন দিন পরিস্থিতি প্রতিকূল হয়ে আসছে?
কি করব?
এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যদি এমন হয় যে করার কিছু নেই, তাহলেও কিছু না কিছু করতে থাকা উচিৎ। এভাবেই জীবন পার হয়ে যাবে। পাওয়া না পাওয়ার হিসেব গুলো করতে বসাটা অনেক পেইনফুল।
সবশেষে জীবনানন্দের একটা লাইন দিয়ে জীবন কে বোঝাই,
যে জীবন ফড়িঙ এর দোয়েলের মানুষের সাথে তার হয়নাকো দেখা...
আমি কি এই জীবন যাপন করে চলেছি?