জীবন শেষ হয়ে আসে দ্রুতবেগে, কিন্তু তাতে কি? সূর্য আলো দিয়ে যাচ্ছে তার নিয়মে। আমি ভাবনায় পড়ে যাই, সব প্রিয় মূহুর্ত গুলো কি হারিয়ে যাচ্ছে? যখন ক্ষুদ্র পাওয়ায়, কিংবা ক্ষীন প্রাপ্তির আলোক রেখাতেও উল্লসিত হতাম।
এখন অনুভূতি হয়ে যাচ্ছে মোটা দাগের। জানিনা কোথায় গিয়ে ঠেকবে এইটা। সবশেষে একটা রসকষহীন কাগজের পাতার মত হয়ে যায় কিনা সবটা ভেবেই চিন্তিত।
আমার কলেজ জীবনের শুরুটা ছিল আনন্দ দিয়ে। ভার্সিটি জীবনেরও। আমার শুরু গুলো সবসময় ভালো হয়। এখন ভাবছি এমন একটা দিন কাটাব কোন একদিন যেই দিনটাতে কোন কিছুতেই মনে খারাপ লাগাবো না। সবকিছুতেই জুড়ে থাকবে আনন্দ।
যাই হোক, কিছুদিন আগে কলেজে গিয়েছিলাম, শেষবারের মত। সার্টিফিকেট তুলতে। অনেক স্মৃতি ভুলে গিয়েছিলাম, মনে পড়ল। ভাল লাগল। হয়ত ওখানে আর যাওয়া হবে না। মতিঝিলে প্রায়ই যাওয়া হয়, কলেজের সামনে দিয়ে যাই, কিন্তু ভেতরে আর ঢুকবনা। মানুষ তার অতীত ফেলে এইভাবেই চলে যায়।
কলেজে নবীনবরনের দিন আমাদের বরন করে নেওয়ার অনুষ্ঠানে এই গানটা গেয়েছিল, আমাদের সিনিয়ররা। মনে পড়ল।
গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুতবেগে
করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে।।
ধরণী’পর ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা
ফুলপল্লব-গীতগন্ধ-সুন্দর-বরনে।।
বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা,
করুণা তব অবিশ্রাম জমে মরণে।।
আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ’,
সত্যসুন্দর।
রবীন্দ্রনাথের গানটা ব্যবহার হয়েছে নৌকাডুবি মুভিতে।
তার কিছু অংশ....