ট্রেনভর্তি যাত্রী। ট্রেনটাও চলছিল ভালই। হঠাৎ কি হল, ট্রেন লাইন থেকে নেমে গেল। আছাড়ি পিছাড়ি করে এবড়ো থেবড়ো ক্ষেত দিয়ে চলার পর, আবার লাইনে উঠে গেল। এরমধ্যে বেশ কিছু যাত্রী আহত হল।
পরের স্টেশনে থামার পর সবাই মিলে ড্রাইভারকে ধরে মার দেওয়ার উপক্রম করল।
ড্রাইভার বলল, আগে আমার কথাটা শুনেন। লাইনের মধ্যে এক লোক দাড়িয়েছিল সুইসাইড করার জন্য।
যাত্রীরা আরো ক্ষেপা, আরে উজবুক, একটা লোককে বাঁচানোর জন্য এত লোকের লাইফ রিস্ক নেওয়া! যে মরতে চায় তাকে বাঁচানোর কি দরকার? তোর তো উচিত ছিল ভাল করে তাকে পিষে যাওয়া।
আমি তো তাই চেয়েছিলাম। কিন্তু লোকটা লাইন ছেড়ে দৌড় দিল যে।
২.
দুই জাপানি এসেছে শান্তিনিকেতনে পড়তে। কিন্তু তারা সেইভাবে ঠিক adjust করতে পারছে না। লোকজন তাদের থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলে। যাকে বলে ফর্মাল।
তো তারা একদিন মন খারাপ করে বসে আছে। শান্তিনিকেতনের এক ছাত্র ব্যাপারটা দেখে জিজ্ঞেস করল, কি ব্যাপার। মন খারাপ কেন আপনাদের?
আর বলবেন না, কলকাতার কোন লোক আমাদের সাথে ভাল করে মেশে না। তারা সবাই একজন আরেক জন কে দাদা দাদা বলে ডাকে। কমলদা, মনো দা এইসব। আমাদের কিছুই ডাকে না।
কোন সমস্যা নাই। আমি দাদা বলে ডাকব এখন থেকে। আপনাদের নামটা একটু বলেন ভাল করে।
আচু আর বোকাচু।