পুরন্দর ভাট যে শুধু ধু রন্ধর কবি ছিলেন তা নয় , তিনি ফ্যাতাড়ুগণের মধ্যমণিও ছিলেন । ইদিকে বাগবাজার থেকে শিমুলতলা উদিকে আটপাড়া থেকে শাজুমিয়ার হাট - সব ঘাটের সব ফ্যাতাড়ুএকডাকে পুরন্দরকে চিনতো আর সকলেই একবাক্যে স্বীকার করতো যে ভাটের মতো একপিস কবি সেই হার্বার্টসরকারের পরে আর মার্কেটে আসে নি ।
পুরন্দর কিন্তু আমাকে আর গণিকে বলেছিলো একবার ওর শুরুর সব লেখাই নাকি বাঁটপাখি হার্বার্টের খাতা ঝেড়ে লেখা । বেচুদার বাংলার ঠেকের লাল ঘুগনি , মাল , জল , বমি , ছোলার রস , মাছভাজার তেল লেগে কালো হয়ে যাওয়া টেবিলের উপর কনুই রেখে খুব দুকখু মুখ করে পুরন্দর গণিকে বলেছিলো তুই তো পার্টি করিস , কবির দুকখু তুইই বুঝবি ।
গণি আর আমি দুজনেই তখন সবে ফ্যাতাড়ু হয়েচি টালিগঞ্জের মাজারে । পুরন্দর সিনিয়র ফ্যাতাড়ু , মার্শাল ভদির কথায় আমাদের গাইড হতে রাজি হয়েচে । বলেচে , ভদিদা তুমি বলচো যকন এদের আমি দ্যাকো কেমন হাড় হারামি হাতলওলা তোয়ের করি । কিসসু লাগবে না শুধু সকাল বিকাল - দুবেলা দুটো পাঁইট । গণি তখনো পার্টটাইম পার্টি করে আর সন্ধ্যে হলেই উসখুস করে ; বলে , মাইরি বলছি , মিচকে পাতা-টাতা না , সীমাবৌদি দাঁড়িয়ে থাকবে মা কসম এই দ্যাক বিদ্যা ছুঁয়ে বলছি বলে সত্যি সত্যিই শসাকুচি রাখার ভিজে খবরের কাগজের টুকরোটা ছুঁয়ে দিলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২১