ক্যালাকেলি হচ্ছে না জেনে বেচুদা চেপে গেলে পাবলিকও একটু নেতিয়ে যায় । গণি ফোঁৎ ফোঁৎ ক'রে নাক টেনে যাচ্চে , হাঁটু ছাড়ে নি , সাবধানে শিকনির জল মুচ্ছে নিজের জামার হাতায় , টার্কিতেও পুরন্দরের কথা কানে গ্যাচে শালার , মাথাটা থেকে থেকে নিচু হয়ে কিছুটা ঝুলে পুরন্দরের খয়েরি ক্যাম্বিসের জুতোর উপর নালের সুতো ফেলছে , হালকা একটা হেঁচকির মতো শব্দ করে যাচ্ছে আর তার দমকে পিঠের হাড়গুলো জামার তলায় ভোঁতা গিরগিটির পিঠের কাঁটার মতো উঠছে আর পড়ছে ।
আমি পুরন্দরকে মাপার চেষ্টা করছিলাম চাপনি সে । গণিকে ঝেড়ে একটা লাথি দেবে নাকি । চোখাচুখি হতে খচাং চোখ মেরে এখ ঢোঁকে গেলাসটা খালি করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললো, ভরে দে! আমি জল-বাংলা ঢালতে ঢালতে মাল হলদে ডিবে থেকে স্ট্রেইট এক টিপ গণির নাকে । গণি খোলা ম্যানহোলের মতো কিছুক্ষণ বসে থাকে । তারপর ঘিপ করে সোজা বেঞ্চে উঠে চোখ বুঁজে দুলতে থাকে । আমার হাত থেকে গেলাসটা নিতে নিতে পুরন্দর বলে , তোর কোটা রাতে পাবি ! ট্রেনিং শেষ হলে । ভদিদা বলে দিয়েচে , তোকে রাত দশটার মধ্যে নাইয়ে খাইয়ে শুকুতে দিতে হবে ! তোর নাকি কিসব ফাঁড়া টারা আচে নেক্সট অম্বুবাচী অব্দি!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১:৪৩