এই ফাঁড়ার গপ্পো দিয়েই ভদি শালা আমাকে কাৎ করেছিলো । বলেছিলো, এক টিপে ফ্যাতাড়ু হয়ে যা ! সব ফাঁড়া দেখবি একেবারে উইন্ড মানে হাওয়া হয়ে গ্যাচে । ফ্যাতাড়ুদের নো ফাঁড়া । একবারে সিম্পিল লাইক কর্পোরেশন ওয়াটার লাইফ । শুধু টেনিঙের সময়ে যা একটু ঝককি ! সেটুকু পারবি নে?
গণি আমার কানের কাছে মুখ এনে জিগ্যেস করেছিলো, কর্পোরেশনের কথা কি বললো র্যা? গণি করপোরেশনের ফ্রী ইশকুলে পড়েছিলো ফোর অবদি । তারপর সরকারি টিপিনের পাঁউরুটি কালো টিনের ট্রাংক থেকে গুপি হয়ে গেলে গণি বেচুদার ঠেকে কাজ নেয় । বেচুদা তখন পেলাসটিক পেতে চোলাই বেচে রেলগেটের ধারে । গণির বহুৎ কাজ ছিলো । গেলাস ধুতো , বোতল সাজাতো , ব্লাডারে ছেঁড়া গ্যাঁদা ফুল দিতো , লেলনাইনের ধারে দাঁড়িয়ে দেখতো খোঁচর আসছে কিনা? একটু কিছু বিলা দেখলেই গান গাইতো , 'আ জা না , দিল কে দিবানা ....। ওটা ছিলো বেছুর অ্যালার্ম ক্লক । গান শুনলেই দড়ি বাঁধা ব্লাডার পেছনের খালে , বোতল , গেলাস নারকেল পাতার ডাঁইয়ের তলে । খদ্দেরদের সামনে তাস , বেচুদা বলছে , ষোলো , আছিস ?
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৮:৪৫