গনির এই নেশাটা-আশাটা করার অব্যেসটা নাকি ওর পেট থেকে পাওয়া । এটা অবিশ্যি গনির কথা । গনির মা ছিলো মালতী । বেচুর আগে মালতীর ঠেকই ছিলো এলাকার সব চোতাড়ু আর ফ্যাতাড়ুদের মস্তির ঠেক । মালতী নিজেকে বালবিধবা বলতো ফলে তার অনেকে থেকেও ছিলো না । আর থাকতো মাতন । মালতীর বাপ, কাম তার ঠেকের বাঁদা খদ্দের । এই বেচু বারা তখনো হাপপেন্টু পড়ে আর এদিকে সেদিকে নুকিয়ে ঝুকিয়ে বিড়িতে গাঁজা ভরে টানে ।
মালতীর ঠেকটাও ছিলো লেলনাইনের ধারে । এখন বেচুর ঠেক থেকে বেড়িয়ে যেখানটায় পাবলিক মোতে, ঠিক সেখানটায় । পেছনেই বাদাড় , পচা খাল । কুত্তাও যেতে চায় না, কাটিয়ে দেয় । ফলে বেচুর নুকিয়ে গাঁজা টানার জায়গা হয়ে গেছিলো সেটা । বেচুর তখন সবে লোম গজাচ্ছে । দিনে ধান্দা করে রাতে মালতীর ঠেকে দরমার বেড়া টেনে শোয় । বেচুর থাকার জায়গা নেই আর মালতীর ঠেকে আত্তিবেলা থাকার মতো একটা জোয়ান ব্যাটাছেলে নেই - এ সুবাদে দুয়ে দুয়ে চার করে বেচুরাত দেড়টা-দুটোর সময় যখন মালতীর শেষ খদ্দের মালতীর বাপ যখন ঢিপ করে পরে যেতো, তখন গুটি গুটি হাজির হতো রোজ । মালতীও অপেক্ষা করতো । আসা মাত্রই চিল্লিয়ে উঠতো, অ্যায় খাঙ্কিচ্ছেলে ! রাত দুটো অব্দি কোতায় মারাচ্ছিলে? গেলাসগুনো কি তোর বাবা ধোবে?? গেলাস টেলাস ধুয়ে ; মেঝে ঝেড়ে ; কেলিয়ে যাওয়া মাতনকে শান্টিং করে যখন বেচু দরমার ঝাঁপটা টানতো, তখন মালতীর নীল পেলাসটিক আর চাঁচের তৈরী চোলাইয়ের ঠেকটায় একটা চটচটে ঘন অন্ধকার নেমে আসতো । ফলে আর কিচ্ছু দেখা যেত না । শুধু বছর খানেক ঘুরতে না ঘুরতেই মালতীর বেধবা কোল আলো করে যখন গণি এলো, বেচু বেশ কয়েক বছরের জন্য হাওয়া হয়ে গেসলো ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:৪৩