সেদিন লাস্টগাড়ি চলে যাবার পর গনি স্টেশনে বহুৎ বাওয়াল করেছিল । বিকেলের মধ্যে হাপ মাল শেষ । টুপিদা সন্ধ্যে নাগাদ ভোগে । গনি আর আমি ননীদার দোকান থেকে টাংরির ঝোল আনিয়ে চুক চক মেরে যাচ্ছি । টুপিদার ঝাঁপ হাপ বন্ধ । গেছো বাপি তিন চারবার ঘুরে গ্যাছে । হারামীটা মালের গন্ধ পায় শকুনের মত । শালা এসে দাঁত ক্যালাবে , বারে বারে ! মাল খাচ্চিস বা রে দে না বারা একটু দিলে কি হয়?
গনিকে ততক্ষণে মোটামুটি হিসেব করে নিয়েছি । বেচুদার ঠেকে দেখেছি আগে । তবে শুধু ঐ থোবরটাই চেনা । টুপিদা মাল খেতে খেতে হাঁসফাঁস করছিল , 'গনি , মিচকে কিন্তু লাইনের ছেলে ইংলিস-ফিংলিস জানে ..' । গনি খপ করে বলে বসে , ' ... হ্যাঁ হ্যাঁ জানি জানি বারা আর ইংলিস মারাতে হবে না ।' আমার হালকা খাঁরে লাগে , 'হ্যাঁ.. মারালে তখন বারার ইংলিশ জানার দরকার হবে না ।' গনি চুপ করে যায় । টুপিদা বলে গেলাস দে! গেলাস দে ! গনি গেলাস দিতে দিতে হেসে ফ্যালে । আমার দিকে একটুটাল্লিখেয়ে বলে ' তুমি কিন্তু গুরু সিল্পি মাল আছো ! হ্যাঃ হ্যাঃ হ্যাঃ...।
গনির সঙ্গে এরপর থেকেই আমার বেশ জমে গ্যালো আর গনিও দিনে দিনে বহুমুখী প্রতিভার চাঁদমালা দেখিয়ে চমকে দিতে লাগল আমাকে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫৯