গনি তদ্দিনে বেশ লায়েক হয়ে গ্যাচে আর খালপাড়ে বসে সুরুত সুরুত করে নলি টানছে দিনদুপুরে । পাতা আর চুল্লু বিষয়ে অগাধ জ্ঞান জমিয়ে ফেলেচে , তাই চুপ করে থাকতে পারে না বেশিক্ষণ । ৩-৪২এর ডাউন বনগাঁ লোকালের ভান্ডারিতে উঠে পরে কুঁচকি বৌদিদের সঙ্গে খেজুর করবে বলে । পাতা আর চুল্লু নিয়ে বক বক , বৌদিরা হাফগেরস্ত হলেও , বেশিক্ষণ নিতে পারে না , ফলে দুটো টেশন পার হতে না হতেই দুর্গানগরের রেল গেটে উড়তে থাকে গনির গামছা আর আলগা খিস্তি মেশানো চিৎকার । বৌদিরা গনির ঢ্যামনামি দেখে এর ওর গায়ে ঢলে পরে আর হাসে । খেমটি মাগীদের ঢলাঢলি দেখে গনির বিচি জ্বলে , রাত্তি বেলায় বেচুদার ঠেকে ব'সে আমাকে বলে, 'মিচকে, কিচু একটা কর বারা, নেকাপড়া শিকেচিস কি বাল ফালাতে? সীমাবৌদি বারা আজকেও বলেচে, পাতা নিয়ে বক বক করলে কালকেও ৭ নম্বর গেটের সামনে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবে,' বলতে বলতে গনির আমলকীর মতো ঘোলাটে চোখদুটো দিয়ে ফার্স্টকাট চোলাইয়ের মতো গরম গরম জল পড়তে থাকে ।
আমি বললাম, 'আবে! কাঁদিস না বালের মতো! আর কিচু নিয়ে কতা বলার ক্ষমতা নেই তো ধম্ম নিয়ে প্যাচাল পার । আমি সামহোয়ারেও দেকেচি, আবাল মানুষ যাদের আর কিচু নিয়ে কতা বলার ধক নেই , তারা সবার আগে পোঁদ বাগিয়ে ধম্ম নিয়ে হ্যাজাতে আসে । তুইও তাই কর! ধম্ম-টম্ম নিয়ে দু চারটে যুৎসই বাণী ছাড়লেই দেখবি, শুধু সীমাবৌদি ক্যানো , সীমার শাশুড়ি পজ্জন্ত তোর কতা শোনার জন্য হুতুলি-পুতুলি কচ্চে !'