somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিছুটা ছাড় সম্পর্ক দৃঢ় করে: ত্রিপুরায় দীপু মন"""""""" হে হে হে হে

১২ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগরতলা: প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোনও কোনও ইস্যুতে কিছু ছাড় দিলে দেশপ্রেম কমে না। বরং এর মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার দক্ষিণে বিলোনিয়া সীমান্ত সংলগ্ন চোত্তাখলায় ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উদ্যানে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বৃহত্তর স্বার্থে দু’টি দেশকে ছাড় দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে ভারত আমাদের নিরাশ করবে না বলেই আমরা আশা করি।’

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে পার্কটি নির্মাণ করছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ কাজে ২ কোটি ৩০ লাখ ভারতীয় রুপি বরাদ্দ দিয়েছে।

পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বুধবার দুপুরে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় পৌঁছান।

বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় তিনি হেলিকপ্টারযোগে আগরতলা থেকে ১৩২ কিলোমিটার দূরে চোত্তাখলায় আসেন। তাকে স্বাগত জানাতে সেখানে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর বাইরেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান দেখতে হাজির হন কয়েক হাজার মানুষ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী দু’টি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের সম্পর্কোন্নয়নে যে রাজনৈতিক ইচ্ছার প্রয়োজন হয়, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সে ইচ্ছা আছে।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ ইশতেহারের উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘দু’ দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ইচ্ছা ও সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দু’ দেশের প্রশাসনে যারা আছেন তাদেরও সক্রিয় হতে হবে।’

স্মৃতিস্মারক স্থাপনের জন্য ত্রিপুরা সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দু’ দেশের সংস্কৃতি ও ভাষা অভিন্ন।’

ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী বলেন, ‘এ উদ্যানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জন্য আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পেয়েছি। এর নির্মাণ কাজ শেষ হলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে আমরা এর উদ্বোধন করাতে চাই।’

অনুষ্ঠানে আরও মধ্যে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরার অর্থমন্ত্রী বাদল চৌধুরী, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী জীতেন্দ্র চৌধুরী, রাজ্যের মুখ্যসচিব এস কে পান্ডা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহমেদ করিম, ঢাকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রজিত মিত্র প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় দু’দেশের মধ্যে ৫০ দফা সংবলিত যৌথ ইশতেহার স্বাক্ষরের পর রাজ্য সরকার পার্কটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় তারা। আগরতলা থেকে ১৩২ কিলোমিটার দূরে বিলোনিয়া মহকুমায় চিত্তখোলায় স্থানে পার্কটি গড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।

এখানে ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রামে নিহত অসংখ্য বীর সেনানীকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পও ছিল এখানে।

এত দিন ঘন জঙ্গল আর আগাছায় পরিপূর্ণ থাকলেও ত্রিপুরা সরকারের উদ্যোগে বনভূমিটি পরিষ্কার করা হয়েছে।

এ উদ্যান নির্মাণের উদ্যোক্তা ত্রিপুরার মন্ত্রী জীতেন্দ্র চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ২০ হেক্টর জমিতে সাতটি টিলা ও একটি প্রাকৃতিক হ্রদ নিয়ে পার্কটি গড়ে তোলা হবে।

সাতটি টিলার একটিতে স্থাপন করা হবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য। অন্য ছয়টি টিলা এবং সমতল ভূমিতে স্থাপন করা হবে শিশুদের বিনোদন কেন্দ্র।

তিনি জানান, শুধু পার্ক কিংবা বিনোদন কেন্দ্র নয়, থাকবে একটি জাদুঘরও। সেখানে থাকবে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত নানা ধরনের অস্ত্র-শস্ত্রের পাশাপাশি কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রও ।

জীতেন্দ্র চৌধুরী জানান, পার্কে থাকবে একটি পাঠাগারও। মুক্তিযুদ্ধের ওপর প্রকাশিত বই পুস্তক থাকবে এখানে।

পাঠাগারটিকে ডিজিটাল পাঠাগার করার চিন্তা-ভাবনা করছে ত্রিপুরা রাজ্যসরকার। রাস্তার উল্টোদিকে থাকবে পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য আধুনিক ব্যবস্থা।

মূল পার্কের ২০ হেক্টর জমির পর আছে কাজু বাদামের বাগান। এর ভেতর তিন কিলোমিটার বনের পথ থাকবে।

মোঘল আমলে নির্মিত ছোট একটি মসজিদের সামনে গিয়ে এই পথ শেষ হবে। পার্ক থেকে অন্য আরেকটি পথ যাবে বাইসন অভয়ারণ্যে।

তাই পর্যটকরা শুধু পার্ক নয়, এর বাইরে নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

তিনি জানান, পার্কের নকশা সর্ম্পকে মতামত নেওয়ার জন্য গত আগস্ট মাসে ত্রিপুরা সরকারের আমন্ত্রণে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা শিল্পী এবং বুদ্বিজীবী আগতলা সফর করেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রায় ১৬ লাখ শরণার্থী সে সময় ত্রিপুরায় আশ্রয় নিয়েছিল।
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৬

পানির অপচয় রোধ: ইসলামের চিরন্তন শিক্ষা এবং সমকালীন বিশ্বের গভীর সংকট



পানি জীবনের মূল উৎস। এটি ছাড়া কোনো প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব নয়। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন:

وَجَعَلۡنَا... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×