এখন একটি ব্যাপার খুব একটা খেয়াল করা যায় না। কিন্তু আগে সেটা হতো। মডারেটরদের বিরুদ্ধে একটা মজার আন্দোলন হতো। তবে বেশ উপভোগ্য ছিল। রাজাকারদের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের কথা তো সবারই মনে আছে। তখন মনে হতো একেকজন ব্লগারের একেকটি মন্তব্য একেকটি বুলেট। মনে পড়ে সেই আলী আর ঢালীর পোষ্ট দেয়ার কম্পিটিশন। আগে অবশ্য একটা প্যানেল ছিল সাইটের বাম দিকে কে কতটা পোষ্ট দিয়েছে এই জন্য। সেখানে ওদের নামটাই উপরে দেখা যেত। তবে কিছু কিছু নিক নিয়ে অনেক মজা করা হতো। যেমন, নুরে আলম (নূড়ে এলার্ম), মেহদী (মাইকেল মেহেদী), স্বাধীনতা তুমি (স্বাতু) সহ অনেক (জাষ্ট এই মুহুর্তে সবার নাম মনে পড়ছে না)। অনেকের নিরবে প্রস্থান কষ্ট দেয়, যেমন এই মুহুর্তে মনে পড়ছে, নওরীন, অতিথি, প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব এর কথা, সাইমুম এর হঠাৎ প্রস্থানের কারণ জানিনা। সে বাংলা শব্দ অভিধানের উপর লিখতো বেশ।
আবার নিজেকে এক নিক থেকে অন্য নিকে কনর্ভাট করা। যেমন আমি করেছি, কৌশিক করেছে, আরো অনেকেই হয়ত করেছে। আরো একটা মজার ব্যাপার হলো, বহু নিকের ব্যাপারটা। অর্থাৎ একজন ব্লগারেরই অনেক নিকে কমেন্ট করা। ব্যাপারটা তখনই মজার হয়ে উঠে আরো বেশী যখন কেউ বুঝে ফেলে যে এটা ওমুকের নিক। এছাড়াও বেশ কিছু ফানি নিক আছেন যারা রীতিমত তাদের মন্তব্য দিয়ে আমাদের মজা দিয়ে যাচ্ছেন (যেমন: চিকনমিয়া, রাজামশাই [ডক্টরেট অব বোটানী] আরো অনেকে)। এছাড়া পছন্দের ব্লগার লিষ্ট অনেক অনেক লম্বা।
ফ্লাডিং ও ব্যানের বিষয়টি এসেছে বিশেষ পরিস্থিতিতে। কাউকে কাউকে দেখা যেত যেকোন কারণেই একই পোষ্ট কয়েকবার দিয়ে ফ্রন্ট পেইজ ভরে ফেলতো। আমি লাষ্ট ফ্লাডিং দেখেছি, শাশ্বত বিষয়ক একটি পোষ্ট ফ্রন্ট পেইজে ষ্টিকি করার দাবী নিয়ে অনেককে ফ্লাডিং করেছে। লাষ্টলি অবশ্য ওটা ষ্টিকি হয়েছিল। কারণ ইস্যুটা ছিল মানবিক। আবার ব্যানের বিষয়টি এসেছে, যখন কিছু ব্লগার নিয়মনীতি চরম ভাবে ভঙ্গ করা শুরু করলো তখন থেকে।
ইউনিটি যে কি জিনিস তা প্রমান করেছে এখানকার ব্লগা বন্ধুরা। এটার ব্যাপারে বেশী কিছু বললাম না। আপনারা সবাই জানেন । প্রাপ্তি ও শাশ্বতই তার বড় উদাহরন।
আমার কথা বলি, আমি আগে লিখতাম না। শুধু ব্লগ আর মন্তব্য পড়তাম। খুব মজা পেতাম। ব্লগার হয়েও লগড ইন না হয়েই অনেক দিন ব্লগ পড়েই কাটিয়েছি। কিছুদিন যাওয়ার পর মনে করলাম একটু লিখিই না। তারপর শুধু কমেন্ট করতাম। তবুও পোষ্ট দেইনি। এরপর আস্তে আস্তে লিখলাম। সবার সাথে পরিচয় হলো। কথা হলো, আড্ডা হলো।
একটা জিনিস খুব খারাপ লাগে, কিছু ব্লগ বন্ধুরা আছেন যারা ব্যাক্তিগত আক্রমন করেন, যেটা একটা সময় পর বাবা-মায়ের উপর যেয়ে পড়ে। এটা কেমন ধরনের ফান সেটা তারাই বলতে পারবেন। সবকিছুর মধ্যে শালীনতা বজায় রাখা উচিত। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে সবাইকে আমার বন্ধু ভাবি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ২:১২