প্রতিদিন একটা করে লেখা লিখব কিন্তু তা হয় না, সারাদিনের কাজ শেষে ক্লান্ত শরীরে মগজ অলস হয়ে যায়, কি লেখা দরকার তাই নিয়ে হয়ত ভাবছি, কিন্তু কখন করব সেটা হয় না। অনেক লেখা অনেকর ই অাঘাত হতে পারে তাই সত্য জেনেও লিখি না, কিন্তু এটার অামার সাথে যায় না। পৃথিবীতে সবচেয়ে অাশ্চর্য রকমের প্রানী কিন্তু মানুষই সব কিছু সম্ভব হয়, অামার মনে হয় কি করছি কেন করছি সেটার গন্তব্য কি? প্রতিদিন না লিখলে হয়ত ভুলে যাবো তাই প্রতিদিন লেখার চেষ্ট করি এখন সেসব চিন্তা না করে। প্রতি সাপ্তাহ অন্তত্য একটা করে লেখা লিখব।যেমন প্রতি সাপ্তাহ ঘটনা নিয়ে ২ টা কিংবা তিনটা কলাম একটা নিজেকে নিয়ে অারেকটা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে কিংবা হাবজাবি নিয়ে।
১.
এই সাপ্তাহে ভার্চুয়াল জীবনে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি অনেক টা বলা যায় গুটিয়ে নিয়েছি অনেক গন্যমান্য ব্যাক্তিকে বিদায় করে দিয়েছি, ওরা অনেক বড়মাপের হাজার হাজার ফলোয়ার এরা সামাজিক মাধ্যামে এসেই সামাজিক কর্মকান্ড নিমিষেই করতে পারে। একডাকে হাজার হাজার জনতা লাইকের বন্যায় ভাসিয়ে দিতে পারে। অামাদের দেশের মানুষের এক অন্যরকম অনভূতি কাজ করে এরা সবকিছু সামাজিক মাধ্যামেই সেরে নেয়। যেমন ধরা যায় শীতে কম্বল বিতরন করল সেটা ছবি তুলে দিলো এই হয়ে গেলো জনদরদী কাজ। ব্যাস এই রকম ভাবে কর্মকান্ড করা লোকজন ত অার কম নেই হাজারে হাজারে সে হিসাবে অামি ত সকালে অফিসের কাজ শেষ করলাম কাজের মাঝে দুইটা কলাম লেখলাম কাজ সম্পর্কিত তাতে কিছু অবুঝ লোজ বলল সহমত ভাই, তাতেই অনেকেই খুশি এই টাইপের লোকের অভাব নেই।
তাই অনেকটা বিরক্ত হয়ে ই বিদায় দিলাম, এটা নিয়ে লিখলে অনেক হয়ে যাবে, কোন এক বিখ্যাত কবি ওনি গোসল সেরে এসেই ভেজা কাপড়ের ছবি তুলে শিল্পী কর্ম কাজ সারলেন, সেটা সাধারন মানুষ করলেই হয়ে যাবে খাটাস কিংবা অশ্লীল।
২. ভার্চুয়াল লাইফ অার লুইচ্ছা বেডার ভার্জিন কচি খোজার মতন চিন্তাধারা বাদ দিয়ে।
গতানুগতিক জীবনে ফিরে অাসা অনেক জরুরী,
অামার কাছে প্রিয় বন্ধু বলতেই একটাই সেটা হল বই সে সব কিছু সুখ হোক কিংবা দুঃখ।
অনেক দিনের পুরানো এক কলেজের বন্ধু কে ফোন করলাম ভাব খানা এমনযেনো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছি, কিছুক্ষন মনে মনে হাসলাম পরিশেষে ভাবলাম হুমম চার্জ ফুরিয়ে গেছে চার্জ দিতে হবে মুঠোফোনে সাথে নিজেকেও...
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১