আমি বরাবরই দারুন বিনোদন প্রিয়। টেলিভিশন থেকে শুরু করে সব কমেডি প্রোগ্রামগুলো দেখি। জোকস তো বাদ যায়না। মাঝে মাঝে এগুলো প্রয়োগ ও করি বন্ধুবান্ধব মহলে। আমরা অন্যতম একটি সুখী জাতি। নানা সমস্যার মধ্যেও আমরা সুখী। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীও একজন বিনোদন প্রিয় সুখী মানুষ। মাঝে মাঝে তিনিও আমাদের বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেন। আজ প্রথম আলোতে তার বিনোদন মূলক নিউজ পড়লাম। আপনারাও পড়েন ।
তিনি বলেছেন-‘গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আমি জীবনবাজি রেখে দেশে ফিরে গিয়ে কারাবরণ না করলে আপনারা গণতন্ত্র ফিরে পেতেন না।’
গনতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা। এটা তার উপাধি। সুতরাং তিনি না আসলে আমরা অবশ্যই গনতন্ত্র পেতামনা। এই জন্য উনি তত্বাবধায়ক সরকারের সময় গনতন্ত্র আনতে দীর্ঘদিন আমেরিকায় ছিলেন। আমেরিকার গনতন্ত্র কারখানায় গনতন্ত্র তৈরি করছিলেন। তারপর দেশে এসে জেলে বসে সেটা জনগনের উপযোগী করে আবার বিদেশ গিয়ে গনতন্ত্রের আপডেট এনে তারপর নির্বাচন করেন। এবং এতেই দেশে গনতন্ত্র ফেরে। সেইজন্য উনার আন্দোলনের ফসল তত্বাবধায়ক সরকার উনিই বাতিল করেছেন। উনি না থাকলে আমরা গনতন্ত্র বিহীন পাথর যুগে ফেরত যেতাম। উনার নিজ দেশে বিরোধীদল-পুলিশ ঠেঙ্গাঠেঙ্গি, সংখ্যালঘু নির্যাতন, গুম, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, শেয়ারবাজার লুটপাট, ব্যাংকিং কেলেংকারি ইত্যাদি ভরপুর আর উনি বিশ্ববাসীকে শান্তির পথ দেখিয়ে বেড়ান। উনি স্বউদ্যোগে “বিশ্বশান্তির পায়রা” পদে আসীন হয়েছেন। কারন উনার একটা নোবেল দরকার। কারন এই জিনিস বাদে উনি সব পেয়েছেন (একগাদা সম্মানসূচক ডিগ্রী)। সুতরাং আসুন সামনের উনার পন্থায় অনুষ্টিতব্য নির্বাচনে আমরা উনাকে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করে দেশকে ”আগাপাশতলা” বিহীন ঝুড়ির দেশে পরিনত করতে শামিল হই।
অফটপিক-সমালোচনা গ্রহনযোগ্য তবে ভদ্র ভাষায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




