বিশ্বকাপ ফুটবলে কি বিশ্বের সেরা ৩২টি দল খেলে?
উত্তর হচ্ছে না
কারন বিশ্বকাপকে বিশ্বময় করার জন্য বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক কোটা আছে। ফলে এশিয়া আফ্রিকার এমন অনেক দেশ বিশ্বকাপে খেলে যারা ইউরোপ বা দক্ষিন আমেরিকার বাদ পড়া অনেক দলের তুলনায় খুবই দুর্বল।
কিন্তু বিশ্বকাপকে বিশ্বময় করার এই প্রচেস্টা কি সফল হয়েছে? হয়নি। কারণ কোন বিশ্বকাপই পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার অধিকাংশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপে যে ৩২টি দল খেলছে তাদের মোট জনসংখ্যা মাত্র ১৫৭ কোটি। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৬৮৩ কোটির মাত্র ২২.৯%। তাহলে বিশ্বকাপকে বিশ্বময় করার উপায় কি?
উপায় হচ্ছে আঞ্চলিক কোটারমত জনসংখ্যা ভিত্তিক একটা কোটা প্রবর্তন করা। এটা এভাবে হতে পারে - ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটির অধিক জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে যারা আঞ্চলিক কোটায় বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে না তাদের নিয়ে একটি বাছাই টুর্নামেন্ট হবে এবং ৬টি দলকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ দেয়া হবে।
বিশ্বে ১০০ মিলিয়নের বেশী জনসংখ্যার দেশ আছে ১১টি।
China 1345
India 1198
USA 314
Indonesia 229
Brazil 193
Pakistan 180
Bangladesh 162
Nigeria 154
Russia 140
Japan 127
Mexico 109
এদের মধ্যে ইউ.এস.এ, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, জাপান এবং মেক্সিকো আঞ্চলিক কোটায় বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে। বাকি আছে ছয়টি দেশ চিন, ইনডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং রাশিয়া। এই ছয়টি দেশ নিয়ে বাছাই পর্ব হবে এবং তার থেকে ছয়টি দেশই বিশ্বকাপে সুযোগ পাবে। ফলে বিশ্বকাপে অংশগ্রহনকারী দেশের জনসংখ্যা হবে ৪৮০ কোটি যা মোট জনসংখ্যার ৭০% এর উপরে। তখন একদিকে বিশ্বকাপ হবে বিশ্বময় এবং আমাদের বিশ্বকাপ খেলা হবে সুনিশ্চিত।
এর সাথে উপরি হিসেবে পাওয়া যাবে গোলের হার বৃদ্ধি। বর্তমানে বিশ্বকাপে গোলের আকাল চলছে। গতবার খেলাপ্রতি গোলের হার ছিল বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বিনম্ন ২.৩। এবারের প্রথম ৮ খেলায় গোল হয়েছে মাত্র ১৩টি বা খেলা প্রতি ১.৬ যা গতবারের চেয়েও কম। অথচ নতুন ফরমেটে বাংলাদেশ পাকিস্তান ইন্ডিয়া ইন্দোনেশিয়ার মত দেশগুলোকে সুযোগ দিলে গোলের সংখ্যা বহুগুন বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরী হবে। চিন্তা করুন ইন্ডিয়া-আর্জেন্টিনা বা পাকিস্তান-ব্রাজিল খেলা হলে কতটি গোল হবে? আমার ধারনা কোন খেলাই দুই ডজন গোলের কমে শেষ হবে না।
আসুন বিশ্বকাপকে বিশ্বময় এবং গোলের খেলায় গোলের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ফিফার কাছে এই প্রস্তাবনা মেনে নেয়ার দাবি জানাই।