আজকে আমার লেখার মধে্ তুলে ধরবো কেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার কে গ্রেপ্তার করা হলো কেনইবা তার গ্রেপ্তার নিয়ে তথাকথিত কিছু সুশিল সমাজ এবং তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চ ( যারা ইতিমধে্ ৪ ভাগে বিভক্ত) কেন তাদের মাথা ব্যাথার কারণ। প্রথমে আসি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনের ধারায় বতর্মান তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে কোন ব্যক্তি যদি ওয়েবসাইটে বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ ও সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা, বানোয়াট ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষট বা অসৎ হইলে উদবুদধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইনশৃঙখলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সমভাবনা সৃষিট হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণন হয় বা ধমীর্য় অনুভুতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরণের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদে্ধ উসকানী প্রদান করা হয়, তাহা হইলে তাহার এই কাযর্ হইবে একটি অপরাধ। এই ধারায় অপরাধের শাসতি সবোর্চচ ১৪ বছর ও সবর্নিম্ন ৭ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকার অথর্দনড এই আইন টি এখনো বলাবৎ আছে।
এবার আসা যাক কেন গ্রেপ্তার হলেন সাংবাদিক প্রবীর শিকদার উনার F.B স্ট্যাটাসে উনি প্রথমে লিখেন নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে ইনি নিজেই লিখেছেন আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় জিডি করতে যাই ( অদ্য গিয়েছিল কিনা সন্দিহান) থানা নাকি তার জিডি গ্রহণ করেনি। পরে উনি F.B একটা পোষট দেন যেখানে তিনি প্রথমে নাম দেন বতর্মান সরকারের মাননীয় স্থানীয় সরকার পললী উননয়ন ও সববায় মন্ত্রী ইঃ খনদকার মোশাররফ হোসেনের নাম তাতে তার যদি প্রাণনাশ হয় তাহলে সে দায়ী থাকবে। এই স্ট্যাটাস দিয়ে ইনি ফরিদপুর মানুষের গবর্, ফরিদপুরবাসীর উননয়নের রুপকার, ফরিদপুরের কৃতি সন্ত্রান, দেশ- বিদেশে যার সুখ্যাতি রয়েছে তাহার নামে বিভিন্ন কুচক্রি মহলের প্ররোচণায়, ফরিদপুরের কুলাঙ্গার, ঘুষখোর, চাঁদাবাজ যার নামে ইতিমধে্ ২৪ মামলা রয়েছে পলাতক সত্যজিৎ ( মিথ্যাজিত) প্ররোচণায় আমাদের মাননীয় মন্ত্রীমহাদয়ের নামে অসত্য, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন কথা তার F.B স্ট্যাটাস এ দিয়ে যায় যা বাংলাদেশের বতর্মান তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় পড়ে। তাই তার গ্রেপ্তার যথাযথ আইন মেনে করা হয়েছিল। এবার আসি উনার প্রাণনাশের কথায় উনি উনার F.B.স্ট্যাটাসে প্রাণনাশের জন্য প্রথমে মন্ত্রী মহাদয়ের নাম লিখেছেন যেহেতু প্রবীর শিকদার একজন সাংবাদিক তাই তার লেখনির মাধ্যমে কোন কুচক্রি মহল বা কোন জঙ্গি গোষঠীর আক্রমনের শিকার হতে পারতেন।( পূবের্ প্রবীর শিকদার স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকাদের আক্রমনের শিকার হন ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেচে গেলেই সারাজিবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচেছ) , অথবা বিএনপি, জামাত জোট বতর্মান সরকার কে বেকায়দায় ফেলার জন্য তাকে হত্যা বা গুম করতে পারতো তাহলে কি এর সমপূণর্ দায়ভার আমাদের মন্ত্রী ও বতর্মান সরকারের উপর পড়তো কিনা? এটা আমি ফরিদপুরবাসী ও সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রশন রেখে দিলাম। তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি তাকে অনেকটা Save করতে সরকার কে গ্রেপ্তার করতে হয়েছে। এখন আসি কিছু সুবিধা বাদী মহলের কথায় সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া যে মুখরোচক বক্তব্য দিচ্ছেন আমার উপরে যুক্রিগুলো ও গ্রেপ্তার বতর্মান তথ্যপ্রযুক্তি যে আইন আছে তার ৫৭ ধারার যথাযথ প্রয়োগ হয়েছে কিনা একটু ভেবে দেখবেন। এখন আসা যাক শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কথায় আপনারা তো ঠিকই শাহবাগে সাংবাদিক প্রবীর শিকদার কে মাল্যদান করে বরণ করলেন। আপনারা কি পত্রিকায় ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে দেখেন নাই? প্রবীর শিকদারের যেদিন জামিন হয় সেই দিন জেলগেট থেকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছিল স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার- আল বদর বাহিনীর দোসর যাদের কারণে ৭১ সালে প্রবীর শিকদারের পরিবারের ১৪ সদস্য প্রাণ দিয়েছিল সেই বিএনপি জামাত জোটের ফরিদপুর যুবদলের সভাপতি, ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপি,জামাতের নেতাকমীরা। ঐ দিন কি আপনারা আপনাদের চোখ হলুদ কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেেছিলেন। তাই গণজাগরণ মঞ্চ এর এক অংশের প্রধান ডঃ ইমরান এইচ সরকারের কাছে প্রশন আপনাদের ফরিদপুর শহরে কি একজন্যই কমীর্ ছিল না যে সাংবাদিক প্রবীর শিকদার কে মাল্যদানের জন্য। তাই তথাকথিত কিছু সরকারী সুবিধাভোগী মহল ও শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ এর প্রতি দৃষ্টি আকষর্ন করে বলছি আপনারা ফরিদপুরে সরজমিনে এসে বাসতবতা দেখে কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক সেটা বিচার করুন সেই নিরিখে সমালোচনা করুন। অহেতুক বাংলাদেশের মানুষ সামপদায়িকতায় উসকে দিবেন না। এটা দেশ ও জাতির জন্য মোটেই মঙ্গল বয়ে আনবে না।