2য় সাময়িক পরীক্ষার সময় আমার সামনের মেয়েটার(মিশু) কাছে একটা শব্দের অর্থ জানতে চাইলাম।আমাকে মেয়েটা তো বললই না বরং মিসের কাছে বিচার দিল।মিস এসে আমাকে ধমক দিল তারপর উওর টাও বলে দিল।আমি ও লিখে ফেললাম।
তারপর পরীক্ষা শেষে ঠিক করলাম মেয়েটাকে একটু শায়েস্তা করব তাই নতুন করে ক্যাপ্টেন নির্বাচন করা দরকার।সবাইকে বললাম রাজি ও হল সবাই।তারপর ভোট হল আমি হলাম 1ম ক্যাপ্টেন আর মিশু হল 2য় ক্যাপ্টেন..............
মনটা গেল খারাপ হয়ে প্রতিশোধ যদি না নিতে পারি তাহলে সবই বৃথা।
একদিন হঠাৎ বাংলা ক্লাসে .......মিস আসল না তো আমি মিশুকে বললাম টিচার্স রুমে গিয়ে বল যে ক্লাসে কোন টিচার নেই।ও গেল তারপর এসে বলল স্যার বলছে তোমাকে বোর্ডে নাম লিখতে।আমি ও মনে মনে খুশি এইতো এটাই সুযোগ।আমি হঠাৎ করে বললাম আমি খাতায় নাম লিখব। মিশুর নাম লিখলাম সাথে আর ও 5 জনের।
পরের ক্লাসে স্যার এসেই নাম চাইল।আমি ও দিলাম।স্যার আমাকে বলল যাও বড় স্কেল টা নিয়ে আস।আমি ও আনলাম প্রথমেই আমাকে 2 টা মারল তারপর ওদের 5 জনের কাছে জানতে চাইল তোমরা কি করছ??মিশু বলল স্যার আমি কিছুই করি নাই।স্যার তারপর ও সবাইকে মারশ এরপর 100 বার করে কান ধরে .................
তারপর মিশু তো চোখ ভিজায়ে ফৈলছে।আমরা তো সবাই খুাশ।তারপর থেকে মিশু আর আমাদের সাথে কথাই বলত না।
তারপর একই কলেজে ভর্তি হলাম।একই সাথে ক্লাস করতাম ।খুবই মজার ছিল দিন গুলো।এক সাথে আড্ডা ও মারছি।এখন তো ও আমাকে তুই করেই ডাকে তবে আমি ডাকি তুমি করে।এখন তো ওর সাথে অনেক ভাল সম্পর্ক।প্রায় প্রতিদিনই এসএমএস আদান প্রদান হয়।মাঝে মধ্যে ফোনে ও কথা হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০