অনেক আগের কথা।তখন আমি ক্লাশ সেভেনে পড়তাম।1999 সালের কথা........
সে বছরই ছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেট।আমরা তখন কুমিল্লায় ছিলাম,এখনও আছি।আমার বাবা ছিল কুমিল্লা ক্রিকেট টিমের কোচ আর সোনালি ব্যাংকের ম্যানেজার।কুমিল্লা শাখার।অনেক আশা ছিল বাবার সাথে বসে ক্রিকেট বিশ্বকাপটা দেখব।কিন্তু হল না আমার আশা পূর্ণ।কারন মানুষের সব আশা তো আর পুরন হয় না।পাওয়া হয় না তার সব চাওয়া।
বাবার কাছেই ক্রিকেট খেলাটা লিখছিলাম।তো বাবার টিমেও লিগ ক্রিকেটে খেলতাম।এর আগের বছরই প্রথম ষ্টেডিয়ামে খেলি।তাও বাবার জন্যই।এছাড়াও দাবা খেলাটাও শিখেছিলাম বাবার কাছে।প্রতিদিন রাতে বাবা আসার পর এক গেম দাবা খেলাতামই জোর করে।মাঝে মাঝে বাবা খুব ক্লান্ত থাকত তারপরও হাসিমুখেই মেনে নিত আমার কথা।
আমাকে বাবা খুবই আদর করত।অসম্ভব সে আদর যা আমি কার ও কাছ থেকে ই পাই নাই ।মনে হয় পাবও না................।তবে আমার মাও আমাকে প্রচুর আদর করে।আমার জীবনে বাবার কাছ থেকে কখনও একটু ও কষ্ট পাই নাই।এমনকি ধমকও দেন নাই মারা তো দূরের কথা।কিছু ভুল হলে ডেকে বুঝিয়ে বলতেন বাবা এই কাজটা কি তোমার ঠিক হল?কাজটা না করলে হয় না তোমার................।ঠিক এভাবেই বুঝাতেন।
সেই বছরটাই শেষ এরপর আর কখনও,কোনদিনও আমি আর বাবার আদর পাব না।পারব না কখন ও ক্রিকেট শিখতে।রাতে ও হবে না দাবা খেলা।হবে না কাউকে বাবা বলে ডাকা।এসব ভাবতেই পারতাম না।এখন তাই বাবার কথা মনে পরলে আমার রুমে যাই তাকিয়ে থাকি বাবার সেই হাসি ভরা মুখটির দিকে।তখন খুবই খারাপ লাগে এই ভেবে যে আমার কপাল কেন আল্লাহ এত খারাপ করে দিলেন।আসলে অভাগারা এমনই হয়.........
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০