somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিথিলা, মিথ, মিথিমন, মিথ্যা, নাকি দুই মিথ্যুকের যৌথ প্রযোজনা

১৬ ই জানুয়ারি, ২০০৭ রাত ১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পুরা একটা দিন সামহোয়ার ইন ব্লগ শোকে স্তব্ধ। মিথিলার শোক। হাহাকারে ভরপুর একেকটা পোস্ট। শোকাহতদের আমিও একজন। এলিজি আর শোকগাথায় ভরে গেছে। সেই সঙ্গে মিথিলার সঙ্গে শেষ কথোপকথনের রেশ। কেউ কেউ তো তার ওইলোকের জগত ঘুরে চাও খেয়ে এসেছেন!
কিন্তু এখন নিজেকে বড্ড প্রতারিত মনে হচ্ছে। ভীষণ প্রতারিত। মনে হচ্ছে আমার আবেগ নিয়ে দারুণ একটা খেলা খেলল কেউ বা কারা যেন! সঙ্গত কারণ আছে এই উপলব্ধির। মিথিলার পোস্ট, তার প্রেমিক রুবেলের পোস্ট এবং প্রাসঙ্গিক কিছু মন্তব্য আমাকে দ্বিধায় ফেলেছে।
কিছু ব্যাপার পরিষ্কার হওয়া দরকার। এইখানে কার মোটিভ কী? এর আগে পথিক নামে একজন ব্লগার রূপা নামে এক কাল্পনিক নারীকে সফলভাবেই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রূপা কবিতা লিখত। পরে পথিক নিজেই জানিয়েছেন তা। রুবেল হয়তো একই পথ ধরেছিল। ক্যান্সারাক্রান্ত একটা মেয়ে, তার কল্পনার নারী। এইখানে যেই সমস্যাটা হলো সেটা ব্লগীয় আবেগ। মিথিলাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বেশ কিছু মিথ্যাচার করতে হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্লগার তা সত্যি ভেবেছেন। আগ্রহী ও কৌতুহূলী হয়েছেন। তাদের কারণেই মিথিলাকে ব্লগাতে হয়েছে। মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করতে গিয়ে তাদের বুদ্ধিমত্তাকে এড়িয়ে গিয়েছেন রুবেল। যে কারণে মিথিলার পোস্টে বরফ পড়ে এমন সময় যখন নিউইয়র্কের ইতিহাসে ৯০ বছরে এই প্রথম বরফের চিহ্ন দেখা যায়নি। মিথিলা নিউইয়র্ক থেকে আনফেইথফুল গানের লিরিকস দেয়। পরের পোস্টে সে নিউইয়র্ক যায়।
তদন্ত এরপর সিলেট-ঢাকা হয়ে নিউইয়র্ক ঘুরে আসে। ঢাকার উত্তরায় সিলেমন রেস্ট হাউজে মিথিলা, তার বাবা কিংবা রুবেলের হদিস মেলেনা রেজিস্টার বুকে। এমনকি সিলেটের সেই পাড়াতেও না। নিউইয়র্কের কোনো হাসপাতালেই মিথিলা নামে ক্যান্সারাক্রান্ত কোনো বাঙালী মেয়ের লাশের খোজ পাওয়া যায় না।
অথচ মিথিমন কাব্য হয়। তৈরি হয় শিয়ামিজ টুইন। তাহলে রাগইমনের মোটিভ কী? তিনি একে উৎসাহ দিয়েছেন। একজন ক্যান্সারাক্রান্তের ডায়ালাইসিস হয় না। তার মতো ডাক্তারের তা জানার কথা। হলেও বা। কেমোথেরাপিই হলো না হয়। কিন্তু দুটোই খুব ব্যাথাতুর চিকিৎসা। সেখান থেকে উঠে এসে পরদিনই ব্লগিং-চ্যাটিং করা খুব কঠিন। ভার্চুয়ালিই সম্ভব। বাস্তবে না। ইমন চেপে গেছেন তা। কারণ? তার পাসওয়ার্ড অপব্যবহার ধামা চাপা। উনি মিথিলার সঙ্গে কথা বলেছেন দাবি করেছেন উল্টো।
হঠাৎই সুচিত্রা নামের এক ব্লগার তার গাত্রোদাহের কারণ হয়েছেন। সূচিত্রার একটা কবিতা থেকেই সংঘাত। সুচিত্রা তাকে ব্যান করার পর ইমন পোস্ট দিয়েছেন তা নিয়ে। তাতেও ঝাল মিটেনি। উনি মডারেটর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তার পোস্ট প্রথম পেজে ব্যান করে। অথচ সুচিত্রার এমন কোনো পোস্ট নেই যে কারণে তাকে প্রথম পেজে ব্যান করা যায়।
যে রাতে কৌশিকের পাসওয়ার্ড নিয়ে ঢুকলেন তিনি, তার উদ্দেশ্য ছিল স্রেফ সুচিত্রার কবিতায় কমেন্ট দেওয়া। সেটা তিনি করতে কৌশিকের আইডি ব্যবহার করেছেন। আলীপ্রাণেরটাও করতে পারতেন। করেননি। প্রথমে নিজের পোস্টে গিয়ে নিজেকে কমেন্ট দিলেন যে আপনার গদ্য আপনার কবিতার চেয়ে শক্তিশালী, তারপর সুচিত্রাকে। এরপর হিমু আর ধুসর গোধুলীর পোস্টে কমেন্ট দিতে গিয়ে ফাসলেন। কারণ উনি তার ছন্দ ছড়া দিয়ে কমেন্ট দিয়েছেন ওখানে। পরে কৌশিকের আইডিতে অআবার ঢুকে ইংরেজীতে কমেন্ট দিয়ে পাস ওয়ার্ড হ্যাক হয়েছিল বোঝাতে চেয়েছেন। বুদ্ধিমানরা ঠিকই বুঝেছে।
এই গুহ্য ব্যপারটা যখন প্রমাণাদিসহ ফাস হবার, তখন মিথিলা মরল। রাগইমন ঝাপিয়ে পড়লেন সেটা সত্য প্রমাণে। আবেগের খিচুরি পাকানো হলে ব্লগারদের। বেশ বেশ। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৫৮টি মন্তব্য ০টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×