প্রথমেই সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, কারণ আমি ধর্ম নিয়ে কখননো বিরোধ করি না, কিংবা পছন্দ করিনা। নিউজ পোর্টাল পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেকের সাথেই পরিচয় হয়ে যায়, তেমনি একজন সুজন মোহন্ত, কুড়িগ্রামের ছেলে। আমার পোর্টাল ছাড়াও বেশ কয়েকটি পোর্টাল এ কুড়িগ্রামের নিউজ পাঠায়। গত ২ জুলাই তার পাঠানো “কুড়িগ্রামে মন্দির ভেঙ্গে জায়গা দখল” শিরোনামে একটি নিউজ প্রকাশ করা হয়। [নিউজ লিঙ্ক>http://goo.gl/WcfF58] নিউজটি আমার পোর্টালে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এছাড়াও আরোও কয়েকটি পোর্টালে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল।
নিউজ প্রকাশের বেশ কিছুদিন সুজনের ওপর হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ভগবানের আর্শিবাদে প্রানে বেচেঁ গেছে সুজন। কিন্তু কেন এই হামলা? সে হিন্দু বলে নাকি তার পেশা সাংবাদিক বলে? ঘটনাটি জানার পর নিরুপায় হয়ে সুজনের সাথে যোগাযোগ করে আরোও একটি নিউজ করেছি অন্যায়ের এর বিরুদ্ধে। [“কুড়িগ্রামে শিশু সাংবাদিক সুজন মোহন্তকে হত্যার চেষ্টা”>নিউজ লিঙ্ক>http://goo.gl/5LHtyc]। তারপর থেকেই সমস্যার শুরু, প্রথমে পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ করা হয় এবং পরবর্তীতে তা তুলে নেওয়া হয়। এরপর কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সহযোগিতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোন গুরুত্ব দেয়নি বিষয়টি।
সুজনকে হাসপাতাল থেকে জোর করে বাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে সুজনের পাশে কেউ নেই, তার পরিবারও বলছে বাড়াবাড়ি না করার জন্য। নিরুপায় সুজন এখন আত্মহত্যা পথ বেছে নিচ্ছে..... আমি সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বেশ কয়েকবার কথা বলেছি ওর সাথে। কিন্তু সে মানসিক ভাবে অনেকটায় ভেঙ্গে পড়েছে। তার কথা আমাকে ছাড়া সমঝোতা কিভাবে হলো?
তার ফেসবুক ষ্ট্যাটাস থেকে হুবহু তুলে ধরা হলো......
-----------------------------------------------------------------------------
সংবাদ প্রকাশ করাই আমার অপরাধ
.
আমি ভীষন অসুস্থ
কষ্ট করে অন্যের ফোন থেকে চুপ করে স্টাটাস দিলাম
মন্দির ভাংচুরের রিপোটটি প্রকাশ হবার পর থেকে
ব্যাবসায়ী আমজাদ হোসেন এর ছেলে আকিব,তার বন্ধু বাঁধন সহ মোট ৫জন আমার উপর লাঠিসোঠা নিয়ে মারধর করে
ও আমাকে ফল কাটার ছুড়ি দিয়ে ভয় দেখিয়ো
মুখ চেপে মারার চেস্টা করে
আমি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায় ও স্থানীয়রা আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে
.
ডাক্তার না ছাড়লেও আমাকে জোড় করিয়ে বাসায় নিয়ে আসা হয়
আমার পরিবার থেকে থানায় অভিযোগ করলেও
পরে তা তুলে নেয়
জেলা প্রেসক্লাব থেকে আমাকে বলা হয় মামলা করা হয়েছে
কিন্তু ঘটনার ৫দিন হয়ে গেলোও কোন পুলিশ আমার কাছে আসেনি
ঘটনাটি কয়েকটি অনলাইনে প্রকাশিত হলে
আমার পরিবারকে গতকাল রাত ২টার দিকে এসে মোটা অংকের টাকা দিতে চান আমজাদ হোসেন
কিন্তু পরিবার নিয়েছি কি নেই নি
আমি জানি না
তবে পরিবার শুরুতে আমার পাশে থাকলেও
এখন নেই আমার পাশে
.
আমাকে না জানিয়ে ঘটনাটা আমার পরিবার ধামাচাপার চেষ্টা করছে
আমি চাই আকিবসহ অভিযুক্তরা মোট ৫জন
সবার সামনে জনসমুখ্যে আমাকে সরি বলবে
অথবা
আইনি ব্যবস্থা নিবে
.
.
আকিবরা অর্থনৈতিকভাবে বেশ প্রভাশালী হওয়ায়
কেউ কিছু বলছে না
.
.
খুব অবাক লাগছে
রেডক্রিসেন্ট,ছাত্রইউনিয়ন,আমার সম্পাদক ভাইয়েরা,সবাই বিষয়টি জানার পরো কেউ একবার খোজ নিলো না.....
.
আমাকে চুপ থাকার জন্য
আমার পরিবার ও আকিবের পরিবার মানসিকভাবে ভীষন চাপ দিচ্ছে
.
.
চাপ সহ্য করতে না পেরে আমি
আগামি ৫ দিন পরিবারে অনশন চালাবো
১ ফোটা পানিও খাবো না
এই ৪ দিনের মধ্যে কোন কিছু না হলে
আমি আত্মহত্যা করবো
আর এজন্য দায়ী থাকবে
আমার পরিবার ও আকিবসহ তার বন্ধুরা
.
.
আমার পরিবারে আমার মাকে কেউ কিছু বলবেন না
মা আমার পাশে
পুলিশকে ভরসা পাচ্ছি না
এখন ভরসা আমার fb সকল সাংবাদিক ভাইরা
ও
বন্ধুরা
.
.
আমার মৃত্যুর পর
আমার সম্পত্তি
শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন তাদেরকে
দিয়ে দেয়া হয় যেনো
.
.
আমি ন্যয্য বিচার চাই..........
.
আমি এগিয়ে এসেছি.............. এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপনিও এগিয়ে আসুন