শুক্রবার ঢাবির গ ইউনিটের পরীক্ষা চলাকালে হাইকোর্টের বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহর মেয়ে সানজানা বিনতে বশির জালিয়াতির সময় হাতে নাতে ধরা খাইছে।কিন্তু জেলের ভাত খাইতে হয় নাই।কারন বাপ বিচারপতি।কোনো থানাই স্বীকার করে না।
অথচ আটকের পর সানজানাকে পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া এবং এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে শাহবাগ থানায় পাঠানো হয়। এ সময় অন্তত ১২ জন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ওই সাংবাদিকেরা পরে শাহবাগ থানায় গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, সানজানা নামের কাউকে থানায় পাঠানো হয়নি।
পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, হয়তো তাঁকে চকবাজার কিংবা লালবাগ থানায় নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ওই দুই থানা কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের কাছে এমন কাউকে সোপর্দ করা হয়নি। বিষয়টি পুনরায় ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরকে জানালে তিনি এ নিয়ে আর কথা বলতে রাজি হননি।
Click This Link
অথচ বাকী ১৩ জনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।কারন তাদের কারো বাবা বিচারপতি না।তাই তাদের জন্য এই আইন আর বিচারপতির মেয়ের জন্য অন্য আইন। সেটা হতে পারে।এটা কোনো সমস্যা না।সমস্যা হলো, সানজানা লিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানান, ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের ইংরেজির শিক্ষক মো. আবদুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে উত্তর পাঠানোর জন্য তিন লাখ টাকায় চুক্তি করেন।
এখন কথা হলো,যেকোনো শিক্ষার্থী এ ধরনের জালিয়াতি করতে পারে।তবে এর সাথে যদি তার অভিভাবকরা জড়িত থাকে,তবেই বোঝা যায় অভিভাবকরা কত বড় দুই নম্বর।
যে কেউ ধারনা করতে পারে ওই বিচারপতি অথবা তার পরিবার জালিয়াতির সহায়তা করেছে।কারন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার্থীর কাছে তিন লাখ টাকা থাকা অসম্ভব ব্যাপার।যদি না তার অভিভাবকরা দেয়।
হায় !কোন দেশের বিচারপতি অথবা তার পরিবার নিজেরাই জালিয়াতির সহায়তা করেন?আবার তারা আমাদের বিচারও করন।কখনো আমাদের খালাস দেন আবার কখনো শাস্তি দেন।যারা এরকম জালিয়াতির সহায়তা করে তারা কিসের বিনিময়ে আমাদের বিচার করেন?আইন দিয়ে নাকি অন্য কিছুর বিনিময়ে।মেয়ের ভর্তি পরীক্ষার জালিয়াতির জন্য তিন লাখ টাকা দেন।এই টাকা আসে কোথা থেকে? শেষ বিচারে কি এদের আল্লাহ বিচার করবেন না?উল্লেখ্য বিচারপতি এ এন এম বশির উল্লাহ বর্তমানে হজ্বে ্মক্কায় আছেন।