বিশাল মাঠ।সামনে বড় ব্যানার।ব্যানারে লেখাঃ
হাট! হাট !হাট ! ...... এক বিশাল আওয়ামী লীগ নেতাদের বেচাকেনার হাট। এখানে সুলভ মুল্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। পাইকারীদের থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা আছে।
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের পত্রিকায় সতর্কবানীঃ যত্র তত্র আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্রয়-বিক্রয় করবেন না।এতে পরিবেশ দূষিত হয়।
রাস্তায় বিলবোর্ড ঃএক ক্লিকেই কিনুন অথবা সহজে বেচুন আওয়ামী লীগ নেতাদের ।আওয়ামী লীগ নেতাদের বেচাকেনা হরদম, নেতা বিক্রয় ডট কম।
উপরের বিজ্ঞাপন দেখে অবাক হচ্ছেন।অবাক হবার কিছু নাই।কিছু দিন পরেই এসব বিজ্ঞাপন দেখবেন। কারন স্বয়ং আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ছাড়া আওয়ামী লীগের সব নেতাকে কেনা যায়।
হাসিনা ছাড়া আ.লীগের সব নেতাকে কেনা যায়: প্রধানমন্ত্রী
Click This Link
সুতরাং আওয়ামী লীগ নেতাদের ভবিষ্যতে এভাবে কেনা বেচা হলে অবাক হবার কিছু নাই।
মোটামুটি তিন ধরনের আওয়ামী লীগ নেতাদের কেনা যায়।
১)ইন্ডিয়ান বলদঃ এরা ইন্ডিয়ার থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়ে খুব ভাব ধরতেছে। এদের কোনো লজ্জা নাই।এরা ইন্ডিয়ার চামচামি তে সিদ্ধহস্ত।শত লাথি গুতাতেও এরা কিছু মনে করে না।
২)সংকর ঃএরা বাম-আওয়ামী লীগ মিক্সড।এখন আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশী সুবিধা ভোগী।
৩)ষাড়ঃ এরা হুদাই চিল্লায়।খামাখা গুতাগুতি করতে ওস্তাদ।
এখন প্রশ্ন হলো এদের দিয়ে আপনার কি কাজে লাগবে।
নতুন দল গঠনঃ আপনে যদি নতুন দল গঠন করতে চান, এরা আপনার ভালো সার্ভিস দিবে।আপনি যদি চোর বংশের সুপুত্রও হন,তাহলে চুরি পেশাকে এরা এমন ভাবে মহান করে তুলবে যে, যে চুরি করবে না,সেই রাজাকার।এদের দিয়ে আপনি যা কিছু ইচ্ছা বলাতে পারবেন,যা কিছু ইচ্ছা করাতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার পায়ে এদের চুমুও খাওয়াতে পারবেন।
প্রতিবেশীদের সাইজ করাঃ আপনার কি আপনার প্রতিবেশীদের সাথে সীমানা নিয়ে অথবা অন্য কিছু নিয়ে বিরোধ আছে? তাহলে ২/১ টা কিনে ফেলুন।তাহলেই কেল্লা ফতে।এদের হাতে আঙ্গুল আছে ১১ টা। বাড়তি আঙ্গুলটা সবসময় অন্যের পুটুতে দিয়ে ……… বের করতে ওস্তাদ। আপনার প্রতিবেশী পালিয়ে কুল পাবে না।
এছাড়া আরো এদের আরো অনেক ব্যবহার আছে যা এত কম কথায় বলা যায় না।যেমনঃ ইন্ডিয়ান বলদগুলারে দিয়ে হালচাষ করাতে পারেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে এর জন্য সুন্দর মজবুত একটা নীতিমালা দরকার। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সুন্দর মজবুত একটা নীতিমালা জোর দাবী জানাচ্ছি ।
বি দ্রঃ এটা একটি কাল্পনিক লেখা। এর সাথে জীবিত বা মরহুম কোনো আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বিন্দু মাত্র মিল খুজে পেলে লেখক দায়ী নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪১