সাবমেরিন কেব্ল্ সি-মি-উই-৪-এর রিপিটার মেরামতকাজের জন্য আজ শনিবার রাত ২টা থেকে পরবর্তী তিন-চার দিন বাংলাদেশে ইন্টারনেট যোগাযোগ সাময়িক বিঘ্নিত হতে পারে। বাংলাদেশ ওই একটি মাত্র সাবমেরিন কেব্লের মাধ্যমেই টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত।
বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল্ কম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোয়ার হোসেন গতকাল শুক্রবার বিকেলে বিষয়টি সম্পর্কে জানান, রিপিটার মেরামতের কাজ ৯ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও পরে ওই সময় আরো এগিয়ে আনা হয়েছে। ৭ আগস্ট রাত ২টায় এ কাজ শুরু হচ্ছে। কাজ শুরু হওয়ায় পাওয়ার রিকনফিগারেশনের জন্য কিছুটা সমস্যা হতে পারে। এতে প্রথম দু-এক ঘণ্টা ইন্টারনেট যোগাযোগ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণেই রাত ২টায় কাজ শুরু হচ্ছে। ওই সময় ইন্টারনেট তেমন ব্যবহার করা হয় না। তবে বিকল্প ব্যবস্থাও এরই মধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। সাবমেরিন কেব্ল্ সিস্টেম প্রভাইডার ভারতীয় এয়ারটেলের মালিকাধীন 'আই-টু-আই'-এর কাছ থেকে বিকল্প ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও কয়েকবার সি-মি-উই-৪-এর রিপিটার মেরামতের কাজ হয়। সে সময়ও বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণে তেমন সমস্যা হয়নি।
মনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে বলেন, সি-মি-উই-৪-এর এ ধরনের রিপিটার মেরামত বা প্রতিস্থাপন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজেরই অংশ। এটি অস্বাভাবিক কোনো বিষয় নয়। মালয়েশিয়ার মালাক্কা ও সিঙ্গাপুরের টুয়াসের মাঝামাঝি এলাকার সাগরে এ রিপিটার মেরামতের কাজ চলবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছর অক্টোবরে সি-মি-উই-৪-এর মালয়েশিয়ার ল্যান্ডিং স্টেশন মালাক্কা থেকে ৩১৬ কিলোমিটার দূরে দুটি রিপিটার প্রতিস্থাপন করতে হয়। তখনও ওই মেরামতকাজ চলার সময় দেশের ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডাবি্লউ) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিকল্প পথ গ্রহণ করতে হয়। গত বছরের মে মাসেও সি-মি-উই-৪ রিপিটার মেরামতকাজের সময় বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট সব সার্কিট বিকল্প ব্যবস্থায় রি-রুটিং করা হয়। ওই পথ পরিবর্তনের সময় দেশে ইন্টারনেট সেবা প্রায় স্বাভাবিক থাকে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ একাধিক সাবমেরিন কেব্ল্রে সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলে এ ধরনের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে না।