somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেন ইভটিজিং?

০৭ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সর্ব প্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে তিনি অধ্যাপক ডা. এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ স্যারকে এ রকম একটা মান সম্মত পত্রিকা প্রকাশ করার ক্ষমতা দিয়েছেন এবং আমাকে এ লিখাটি লিখার সুযোগ দিয়েছেন।

বর্তমান বাংলাদেশের সব থেকে আলোচিত বিষয় হচ্ছে ইভটিজিং। কিন্তু কেন মেয়েরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয় সেটা কি আমরা কখনো খোঁজ নিয়েছি? আমরা কি কখনো ভেবে দেখেছি কীভাবে সমাজ থেকে ইভটিজিং দূর করতে পারি? দোকান খোলা থাকলে ক্রেতা আসবেই, মিষ্টি দেখলে পিঁপড়া যাবে, টক দেখলে প্রতিটা মানুষের খেতে ইচ্ছা করবে এটা কি স্বাভাবিক ব্যাপার নয়? আমরা যদি দোকান বন্ধ রাখি তাহলে কি ক্রেতা আসবে? যদি মিষ্টি ঢেকে রাখি পিঁপড়া কি খেতে পারবে মিষ্টি? টক না দেখলে কেউ কি খেতে চাইবে? আমার এই প্রশ্ন বিশ্বের প্রতিটা বিবেক সম্পন্ন মানুষের কাছে। সৃষ্টিকর্তা নর এবং নারীকে সৃষ্টি করেছেন চুম্বকের দুইটা মেরুর মতো। মেয়েদের পুরো শরীরটা যে ছেলেদের কাছে চুম্বকের মতো আকর্ষণীয়। এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। মেয়েদের শরীরের সব থেকে আকর্ষণীয় অঙ্গ হলো তাদের ‘স্তন’। কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে ৯৬% মেয়েরা তাদের বুকের ওড়না গলায় পেচিয়ে বুক টানটান করে পথঘাটে চলাফেরা করে। অথচ ওড়নাটা কিন্তু বুক ঢেকে রাখার জন্য। আর কিছু মেয়েরা নাভি বের করে পাতলা জর্জেট বা সিল্কের শাড়ির সঙ্গে পিঠে ৩ ইঞ্চি ঘের দেয়া ব্লাউজ পরে বুক টানটান করে কোমর দোলাতে দোলাতে বাইরে চলাফেরা করেন। এই অবস্থা দেখলে ৬০ বছরের বুড়ো হাবড়ারও যৌবনে ধাক্কা দেবে। মন চাইবে...। যেন এটা উত্তপ্ত মরুভূমির দেশ। তাই মেয়েরা তাদের শরীর কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে বিরক্তিবোধ করে। আসলে আপুরা কিসের জন্য শরীরটা খোলামেলা রাখেন? পুরুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই কি? শ্রদ্ধেয় মা-বোনেরা একবারও কি ভেবে দেখেছেন আপনাদের শরীরটা খোলামেলা দেখার অধিকার একমাত্র আপনার স্বামীর, পর পুরুষের নয়। একটু চিন্তা করে দেখুন আপনারা খোলামেলা পোশাকে দেহটা যেভাবে অন্যকে দেখাচ্ছেন এতে আপনাদের মূল্য নৈতিক দিক থেকে কতটা মূল্যহীন হয়ে পড়ছে। আমি জানতাম ইজ্জতই নাকি মেয়েদের অমূল্য সম্পদ যা হারালে আর পাওয়া যায় না। আজ সেই অমূল্য সম্পদও অন্য দ্রব্যের মতো অন্যকে দেখাচ্ছেন। আপনাদের কি একটুও লজ্জা করে না এরকম চলতে? আপনারা না আমাদের মায়ের জাতি। একটু ভাবুন তো! আপনাদের কারণে আজ ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ। গোটা দেশ, সমগ্র জাতি। যাদের মধ্যে রয়েছে আপনাদেরই বাবা, ভাই এবং বন্ধু। ঘটছে অসংখ্য বিবাহ বিচ্ছেদ। যে মেয়েটি স্বামীর আদর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সে হতে পারে আপনার বা আমার বোন। শুধুমাত্র আপনাদের এই খোলামেলা দেহের জন্য। সমগ্র পুরুষ জাতীর প্রতি আমার অনুরোধ মেয়েদের সম্মান করে চলুন। আমাদের মনে রাখা উচিত আমরা যে মায়ের পেট থেকে ভুমিষ্ট হয়েছি সেও কিন্তু মেয়ে জাতি। অন্য মেয়েকে অসম্মান করা মানে নিজের মা-বোনকে অসম্মান করা। আমাদের মনে রাখা উচিত যে আমাদের মা -বোনরাও রাস্তায় চলাফেরা করে। স্কুল, কলেজে পড়ালেখা করে। মেয়েদের আমি অনুরোধ করছি প্লিজ আপনারা মানসম্মত পোশাক পরে চলাফেরা করুন। তাহলেই প্রকৃত সম্মান পাবেন। কোনো জায়গায় লাঞ্ছিত হবেন না। আমাদের সরকার বা কোনো আইন রক্ষকের একার পক্ষে ইভটিজিং দূর করা সম্ভব না। এজন্য প্রয়োজন প্রতিটা বাবা-মায়ের সচেতনতা। প্রতিটা বাবা-মায়ের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা সন্তানদের পোশাক পরিচ্ছেদ, চালচলন আচার-ব্যবহারের প্রতি খেয়াল রাখুন। আসুন আমরা ছেলেমেয়ে সবাই মিলে সমাজ থেকে ইভটিজিং নামক ভাইরাসকে চিরতরে দূর করি। আমরা সবাই একত্রে তৈরি করি আমাদের বসবাসের উপযোগী একটা সুষ্ঠ সমাজ ব্যবস্থা।
ধন্যবাদ সবাইকে
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×