মালিকের কূটকৌশলই পোষাক শিল্পে অসন্তোষের মূল কারণঃ
মালিক পক্ষের অন্যায় আচরণ এবং কূটকৌশলই পোষাক শিল্পে অসন্তোষের মূল কারণ। অথচ মালিকেরাই আগ বাড়িয়ে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। শিল্পের উন্নয়নের জন্য এহেন ভূমিকা মোটেই কাম্য নয়। এই শিল্পে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত এবং উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রাখতে শ্রমিকদের বেচে থাকার মতো মজুরী ও অন্যান্য অধিকারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।
শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবী মেনে না নিয়ে মালিকরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে, খেয়াল খুশি মতো মজুরী নির্ধারণ করছে। এর প্রতিবাদ করলে ভাড়াটে মাস্তান লেলিয়ে দিয়ে শ্রমিকদের নির্যাতন করছে। আর এ সব কারণেই শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ।
এখনো অজস্র কারখানায় ১২/১৪ ঘন্টা শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। বহু কারখানায় সময়মতো মজুরী ও ওভারটাইম ভাতা পরিশোধ করা হয় না। নারী শ্রমিকদের বেতন, মেটারনিটি ছুটি থেকে বঞ্চিত করা হয়। অধিকাংশ কারখানায় শিশু লালন কক্ষও নেই। অনেক ক্ষেত্রে মজুরী পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে বিনা নোটিশে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জাতীয় স্বার্থে গার্মেন্টস শিল্পে বিরাজমান অসন্তোষ দূর করার লক্ষ্যে শ্রমিকদের ভর্তুকিমূল্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সাপ্তাহিক ভিত্তিতে রেশনিং ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ, ৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরী নির্ধারণ করে মজুরী কাঠামো পুনঃবিন্যাস, ঈদুল ফিতরের ১০ দিন পূর্বে ১ মাসের বেতনের সমান উৎসব বোনাস, বকেয়া মজুরী, ওভারটাইম ভাতা প্রদান এবং ট্রেড ইউনিয়নের কার্যক্রমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।