somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নম্বর বাড়িয়ে পাসের হার ও গ্রেড বৃদ্ধি

৩০ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পাবলিক পরীক্ষায় নম্বর বাড়িয়ে পাসের হার ও জিপিএ-৫ বৃদ্ধির ভয়ঙ্কর তথ্য জানা গেছে। এইচএসসি পরীক্ষার আসন্ন ফলাফলের আগে পরীক্ষার্থীদের খাতায় ব্যাপক হারে নম্বর বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের একজন পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকের টেলিফোন কথোপকথনের সূত্র ধরে পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে ভয়ঙ্কর এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কোনো পরীক্ষার্থী ১০০ মার্কসের মধ্যে ১৮ থেকে ২২ পেলেই তাকে যাতে পাস করিয়ে দেয়া হয়, এ জাতীয় নির্দেশনায় পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকরা দিশেহারা। পরীক্ষকরা ১৮ কে বাড়িয়ে ২২-২৫ করছেন, বাকি কাজ সারছেন প্রধান পরীক্ষকরা। প্রধান পরীক্ষকের যে ১০ শতাংশ মার্কস কম বেশি করার সুযোগ রয়েছে, সেটাকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষকের মাধ্যমে ২৩ পর্যন্ত পাওয়া পরীক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেয়া এবং ৭০ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ৮০ করে দিয়ে জিপিএ-৫ বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, গত এসএসসি পরীক্ষায়ও ২৮ পাওয়া পরীক্ষার্থীদের ৩৩ দিয়ে দেয়া এবং প্রান্তিক নম্বরধারীদের নম্বর বাড়িয়ে গ্রেড চেঞ্জ করার লিখিত নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এছাড়া ২৫ পেলেও পাস করিয়ে দেয়া এবং সহজ ও উদার মনোভাব নিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে মৌখিকভাবে পরীক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা বলছেন, এভাবে নম্বর বাড়িয়ে পাসের হার বৃদ্ধি করে জাতিকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করছে সরকার। এর পরিণতি হবে নকলের চেয়েও ভয়াবহ।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের মোবাইলে গতকাল দু’দফায় আমার দেশ অফিস থেকে ফোন করা হলে তিনি প্রতিবারই তা রিসিভ করেন। তবে পরিচয় জানার পর কোনো প্রশ্ন না শুনেই বলেন, ‘আমি অনেক দূরে আছি। গ্রামে আছি। এখন কোনো কথা বলা যাবে না।’ এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমরা প্রশ্ন করতে চেয়েছিলাম যে, শিক্ষাবোর্ড বা পরীক্ষকদের ১৮, ১৯, ২০, ২২ নম্বরপ্রাপ্ত পরীক্ষার্থীদের পাস নম্বর ৩৩ এবং ৭০ পাওয়াদের ৮০ নম্বর করে দেয়ার কোনো নির্দেশনা বা পরামর্শ কেউ দিয়েছেন কিনা? যদি কেউ দিয়ে থাকেন তাহলে এ কারণেই কি পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বেড়ে গেছে? আর এভাবে পাসের হার বেড়ে গেলে শিক্ষা কোথায় যাবে? এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আলাউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার টেলিফোনে যোগযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিতে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মাসের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষার খাতা বিতরণকালে প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষকদের সঙ্গে সভায় রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এসএম আবু হুরায়রা প্রকাশ্যেই নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষক বলেন, তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আপনারা ১৮, ২০ ও ২২ বলে কোনো নম্বর রাখবেন না। সব ৩৩ করে দেবেন। অন্যদিকে কেউ ৪০ উত্তর করলে ৪০ দেবেন। ৭০ কে ৮০ করে দেবেন। যে কোনো মূল্যেই পাসের হার বাড়াতে হবে। তার এ ধরনের বক্তব্য উপস্থিত শিক্ষকদের হতভম্ব করে দেয়। কিন্তু এরপরও পরীক্ষকরা সঠিকভাবে খাতা দেখায় কয়েকদিন আগে তিনি প্রধান পরীক্ষকদের চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে চেম্বারে ডেকে ওই পদ্ধতিতে নম্বর বাড়ানোর নির্দেশ দেন বলে একাধিক প্রধান পরীক্ষক জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক বলেন, এগুলো শুধু রাজশাহী বোর্ডেই হচ্ছে না। সব বোর্ডেই হচ্ছে।

এমন অভিযোগের সত্যতার চিত্র ফুটে উঠেছে গত শুক্রবার দুপুরে এক প্রধান পরীক্ষকের সঙ্গে পরীক্ষকের মোবাইল ফোনের সংলাপের মাধ্যমে।

তাদের ফোন সংলাপটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো—
পরীক্ষক : আসসালামু আলাইকুম স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : ওয়ালাইকুম আসসালাম, কে?
পরীক্ষক : স্যার আপনার বাসায় গেছিলাম, খাতা দিয়ে আসলাম স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : আচ্ছা ঠিক আছে আমি খাতা পেয়ে যাব। স্ক্রুটিনাইজাররা ছিল তো।
পরীক্ষক : স্যার স্যার। আমি বলি এবার তো যে সিস্টেম করল তাতে আর কি- ২০ কে ৩৩ এবং ৭০ কে ৮০ করে দিতে হবে। এতে কি কোনো উন্নয়ন ঘটবে স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : না, এতে ধ্বংস হয়ে যাবে।
পরীক্ষক : একটি জেনারেশন তো শেষ হয়ে গেল স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : এতে শিক্ষার প্রতি আর কারও কোনো আগ্রহ থাকবে না। এটা জাতিকে ধ্বংস করার একটা পরিকল্পনা।
পরীক্ষক : আমি তো দেখলাম স্যার। ওখানে গিয়ে-যারা ৭০ পাচ্ছে তাদের গণহারে ৮০ করে দেয়া হচ্ছে। আর যারা ১৮-২০ পাচ্ছে তাদের ৩৩ করে দেয়া হচ্ছে। এতে রেজাল্ট প্রকাশের পর দেখা যাবে, একজন ছেলে বলবে আমি তো কিছুই লেখিনি, এমনিই পেয়ে গেলাম। তাহলে কি হবে।
প্রধান পরীক্ষক : এমনিই পেয়ে গেলাম, আর পড়ার দরকার নাই। এতে এক সময় জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।
পরীক্ষক : পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের এ ধরনের কাজ করাটা কি ঠিক হলো স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : এগুলো আমি মোটেই পছন্দ করি না। কিন্তু বাধ্য হয়েছি। দুইবার ডেকেছিল আমাকে। মানে কিছুদিন আমি এগুলো করেছিলাম না। তারপরে আমাকে বারবার ডেকে ইনসিস্ট করাতে বাধ্য হলাম। আমি বললাম আপনারা যখন চাচ্ছেন তাহলে আমরা আর কি করব। তাই আমি বাধ্য করে দেই।

পরীক্ষক : কে ডেকেছিল স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবু হুরায়রা। তিনি বললেন, ২০, ২২, ২৫ এগুলো নম্বর রাখবেন না।
পরীক্ষক : কি করতে হবে স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : ৩৩ করে দিতে হবে।
পরীক্ষক : ৭০ পেলে স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : ৭০ তো আছেই ৭২ পেলে আশি করে দেবেন।
পরীক্ষক : ৬০ এর কোনো ইনস্ট্রাকশন আছে স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : না।
পরীক্ষক : এটা তো জাতির জন্য প্লেগ হয়ে গেল স্যার, তাই না।
প্রধান পরীক্ষক : কারণ এটা একটা, কি বলব, এ ধরনের রেজাল্ট জাতির জন্য, ভবিষ্যত্ জেনারেশনের জন্য খুবই হার্মফুল।
পরীক্ষক: ধন্যবাদ স্যার।
প্রধান পরীক্ষক : আপনাকেও ধন্যবাদ, পরে কথা হবে।

এ বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সহযোগী অধ্যাপক এসএম আবু হুরায়রা এসব অভিযোগের কথা অস্বীকার করে বলেন, পূর্বের নিয়মেই খাতা দেখা হচ্ছে। তবে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, নম্বরে যাতে বড় ধরনের কোনো গরমিল না হয়। পাসের হার বাড়াতে উপরের কোনো নির্দেশ আছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা তাদের কাছে আসেনি। তিনি এসব অভিযোগ অপপ্রচার বলে উল্লেখ করেন।

শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিপেন্দ্রনাথ দাস বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই এবারও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ওপর থেকে নতুন কোনো নির্দেশনা নেই বলে তিনি জানান। নম্বর বাড়ানোর বিষয়টি নজরে আনলে তিনি বলেন, একজন প্রধান পরীক্ষক ১০ নম্বর পর্যন্ত বাড়াতে অথবা কমাতে পারেন। তবে কেউ এর কোনো ব্যত্যয় করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, এবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হারের দিক থেকে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড সবার সেরা হয়েছে। অন্যদিকে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর পাসের হার শতকরা ৮৫.৬১ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৫৬৮ জন। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল শতকরা ৫৮.৪১ ভাগ এবং মোট জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪৪৭৪। গত বছরের তুলনায় পাসের হার প্রায় শতকরা ২৭ ভাগ বেড়েছে এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও বেড়েছে ৬০৯৪ জন। ১৯৬২ সালের পর থেকে রাজশাহী বোর্ডের ইতিহাসে পাসের হারে এটাই রেকর্ড এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও এটাই সর্বোচ্চ। এসএসসি পরীক্ষা ২০১০-এর ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পরে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল সমগ্র দেশবাসীকে আন্দোলিত করেছিল। দেশের অনেক খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ এ ফলাফলকে শিক্ষাক্ষেত্রে বিশাল সফলতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। ডিজিটাল কারচুপির ফলে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলেও এমন রেকর্ড হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যে অভিযোগ উঠেছিল : ইংরেজি ও গণিতে ৫ নম্বর গ্রেসের (বাড়তি) কারণে এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফল সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন বোর্ড থেকে লিখিত যে নির্দেশিকা দেয়া হয়েছে তাতেই নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার নির্দেশ ছিল। এছাড়া পরীক্ষকদের মৌখিকভাবে সহজভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে বলা হয়। কোনো কোর্সে ২৫ নম্বর পেলেও পাস নম্বর দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয় মৌখিকভাবে। এছাড়া বোর্ড থেকে পরীক্ষকদের যে নির্দেশনা দেয়া হয় তাতে কোন শিক্ষার্থী গণিত ও ইংরেজিতে ২৮ পেলেও ওই উত্তরপত্র সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার নির্দেশ দেয়া হয়।
অভিযোগ অস্বীকার : ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার বিশেষ নির্দেশনার কথা অস্বীকার করেন। আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বোন বর্তমান সরকারের আমলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেও দীর্ঘদিন থেকে তিনি এ পেশায় আছেন। তিনি দাবি করেন, গত চার-পাঁচ বছরে একই রকমভাবে খাতা দেখা হচ্ছে। নির্দেশনা অনুযায়ী কেউ ২৮, ২৯ পেলে তাকে ৩৩ করে দেয়ার নিয়ম রয়েছে। প্রান্তিক নম্বরগুলোর ক্ষেত্রেও দুয়েক নম্বর বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ১৮, ১৯, ২০, ২২ নম্বর প্রাপ্তকে ৩৩ করে দেয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যদি কেউ এ রকম কোনো নির্দেশনা দিয়ে থাকেন এবং তার সুর্নিদিষ্ট লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে জানাব এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কুণ্ডু গোপী দাস বলেন, এ রকম কোনো নির্দেশনা লিখিত বা মৌখিক কোনোভাবেই আমরা পাইনি। সাধারণত পাস নম্বর ও প্রান্তিক নম্বরগুলোর ক্ষেত্রে দুই-তিন নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার নির্দেশনা আছে। তিনি বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার খাতা দেখার নীতিমালায় তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে প্রতিটি পরীক্ষার পরেই বিষয়ভিত্তিক কয়েকজন প্রধান পরীক্ষক ও পরীক্ষক মিলে প্রশ্নের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আলোচনার মাধ্যমে কিছু নির্দেশনা তৈরি করেন। এটারও খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। প্রশ্নপত্র কঠিন বা সহজ হলে নির্দেশনা কিছুটা এদিক-সেদিক করা হয়। যদি কোনো প্রশ্ন কঠিন হয় সেক্ষেত্রে কেউ ১০-এর মধ্যে ৬ পেলে সেটা ৮ করে দিতে বলা হয়। মূলত খাতা দেখাটা সম্পূর্ণই পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকের ওপর নির্ভর করে। নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো ছাত্র ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ পেলে সেগুলোকে ৩৩ করে দেয়ার কথা বলা আছে। এছাড়া ৪৭, ৪৮, ৪৯-এর ক্ষেত্রে ৫০ নম্বর করে দেয়া হয়। কারণ এতে সে ওপরের গ্রেডটা পায়। একইভাবে ৬০ ও ৭০ নম্বরের ক্ষেত্রেও বিবেচনা করা হয়।

তিনি আরও জানান, একজন প্রধান পরীক্ষক কোনো পরীক্ষকের দেখা খাতা মূল্যায়নের সময় সর্বোচ্চ ১০ নম্বর কমিয়ে বা বাড়িয়ে দিতে পারেন।

সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএম আবদুল খালেকও জানান, ১০, ১৫ নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার কোনো নির্দেশনা তিনি পাননি। তিনি বলেন, সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে আমরা চাই, যার যত নম্বর প্রাপ্য তাকে সেটাই দেয়া হবে। কারণ এরই মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, এ প্লাস পাওয়া অনেক শিক্ষার্থী পরবর্তী সময়ে তাদের মেধার পরিচয় দিতে পারে না।
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×