আমি বাংলালায়নের একজন নিয়মিত কাস্টোমার, আমার বাসা এবং অফিসে সব জায়গায়ই তাদের কানেকশন ব্যবহার করছি অনেকদিন ধরে। প্রতিমাসে বিল পেমেন্ট করি তাদের কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে, কখনো চেক করা হয় না যা বিল দিয়েছি পুরোটাই জমা হয়েছে কিনা। গত ১৩ তারিখে উত্তরা কাস্টোমার কেয়ার সেন্টারে বিল পেমেন্ট করার পর যখন আমার একাউন্ট চেক করি তখনই ধরা পড়ল গড়মিল। ঘটনা খুলে বলি।
আমার বিল এসেছিল ১৪৩৭ টাকা। ভাংতি না থাকায় বাংলালায়নের কাস্টোমার কেয়ার প্রতিনিধি আমাকে বলল স্যার আপনি ১৪৫০ টাকা পেমেন্ট করেন, পুরোটাই আপনার একাউন্টে জমা করে দিব ব্যালেন্স হিসেবে। আমিও পেমেন্ট করে আসলাম।
পরে আমি যখন আমার একাউন্ট চেক করি তখন দেখি একাউন্টে জমা হয়েছে ১৪৩৭ টাকা। নিচে স্ক্রীনশট দিলাম :
এখন প্রশ্ন হল বাকি ১৩ টাকা গেল কোথায় ? এই টাকা গেছে বাংলালায়ন প্রতিনিধির পকেটে। এরকমভাবে প্রতিদিন যদি ১০০ জনের কাছ থেকে টাকা মারে, তাহলে কত টাকা পকেটে ঢুকে একবার চিন্তু করে দেখুন। প্রতিদিনি ১২০০-১৩০০ টাকা মানে মাস শেষে বিশাল টাকা। অনেকে হয়তো বলতে পারে ভুল করে করেছে, কিন্তু কথা হল, আপনি যখন একটি বিশেষ দায়িত্বে থাকবেন তখন এরকম ভুল বারবার কেন হবে। আসল কথা হল এটা কোনো ভুল না, এটা চুরি।
বাংলালায়ন কর্তৃপক্ষকে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, এখন দেখার বিষয় তারা কি পদক্ষেপ নেয়, নাকি বাংলালায়ন কর্তৃপক্ষ্ও চোরের সাক্ষী মাতাল হয়ে বসে থাকে। বাংলালায়নের প্রতি অনুরোধ, কাস্টোমারদের কেয়ার করার ব্যাপারে আরো সচেতন হোন, আপনাদের কেয়ার সেন্টারগুলোর প্রতিনিধিদের আরো অনেক ভুল-ভ্রান্তি আছে, সেগুলোর কথা আরেকদিন বলব।