আকাশে শকুনেরা উড়ছে। পেশীগুলোর আঠালো ভাব কমে যাচ্ছে। মাংসপিন্ড গুলো খুলে পড়ার অপেক্ষায়।
আজ, না হয় কাল।
কানের পর্দায় বেজে চলেছে ঠক ঠক ঠকা ঠক!!!
চর্মসারের জির-জিরে হাড়গুলো শিরশিরে কাঁপছে। শুকিয়ে যাওয়া পাকস্থলিতে টান ধরেছে। চোখ জোড়া খুঁজে বেড়াচ্ছে একটু পানি। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া মনটি ভুলে গেছে; দিন তিনেক ধরে বেঁচে থাকার সম্বল, কলসির তলানির পানিটুকু ছড়িয়ে পড়েছিল খুপড়িটিতে। সাথে সাথে এতদিনের সাথী নিঃসঙ্গ কাঁচা মাটি তা শুষে নিয়ে শরীরের আশ-পাশটা কাঁদায় স্যাঁতস্যাঁতে করে দিয়েছিল।
অস্পষ্ট শব্দের গোঙানি, গলা শুকিয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস কি!
হ্যাঁ, শোনা যাচ্ছে পূর্বাভাস - দুমকো বাতাসের। ফ্যারফ্যারে পলিথিনের মুড়া খুপড়ির ফাঁকগুলো দিয়ে ঢুকে শরীরে সূঁচ বিঁধিয়ে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়ে যাচ্ছে। কিছুই যে নেই আজ এই শরীরে। দেহ রূপের আকর্ষণ বিকিয়ে নেয়া সন্তান, আজ পাশে নেই।
সময়ের ঘড়ির হিসেব থেকে মুক্তি যে নেই।
আকাশে শকুনেরা উড়ছে। পেশীগুলোর আঠালো ভাব কমে যাচ্ছে। মাংসপিন্ডগুলো খুলে পড়ার অপেক্ষায়।
আজ, না হয় কাল।
আশেপাশে কেউ নেই। চোখ জোড়া কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এমন দিনে কে যেন বুকে জড়িয়ে ধরতো।
মা!!!
অস্পষ্ট এক চেহারা ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে......