গ্রীষ্মের বুক ফাটা, খাঁ-খাঁ করা খরতা আজ উঠে এসেছে চাকরির জমিনে।
চাকরির বাজারে শিক্ষা-দীক্ষা, দক্ষতা, ভাল আচরণ, সততা, নিরপেক্ষতা আর ভালোবাসার মূল্য ধরা হয়েছে শূণ্য। এগুলোর বিনিময়ে এখন আর কর্ম যোগাড় হয় না।
শুধু কি তাই! এখন একটি কর্ম নিয়োগের খবর পেয়ে আরামভোগী বন্ধু, কষ্টে দিনাতিপাত করা প্রাণপ্রিয় বন্ধুকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করে। কেননা, অভিশপ্তময় বেকারত্ব শব্দটি ভূতের ভয়ের চেয়ে বিভীষিকাময় হয়ে নেমে পড়ছে যে পারিবারিক জীবনে।
ঠাকুরমার ঝুলির রাজকুমার-রাজকুমারী, দেও-দৈত্য-পরীর খবর এখন আর কারো মনে নাই। তাদের জীবনের অভিজ্ঞতায় “সুখি জীবন” নামক স্বপ্নকথা হয়ে যাচ্ছে আধুনিক জীবনের রূপকথা।
এখানে আজ ‘নেতা মামা’ বা ‘টাকার ক্ষমতা’ যাদুকরের জাদুর কাঠি যাকে একমাত্র পৈতৃকসূত্রেই পাওয়া সম্ভব।
এহেন বিপদাসঙ্কুল সমাজে বসবাসকারীদের মধ্যে যখন দেখি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মত শাসকশ্রেণীর মানুষেরা উপার্জন করে বিলাসিতা করার জন্য আর শোষিত শ্রেণীর মানুষেরা সারা জীবন উপার্জন করে যায় শাসক শ্রেণীর প্রদত্ত একটি করে কষ্ট দূর করার জন্য; তখন আমার মত বেকারদের আত্নহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে কি?
নোটঃ হয়ত এই লেখাটিতে প্রকাশ পেয়েছে আমার মত কথকের কিছু ক্ষেদ। দোয়া করি, যেন না হয় এটি; একজন বেকারের আত্মহত্যা'র ছোট নোট।