আসিফ নজরুলের সমস্যা টা কি?
ফেয়ার নির্বাচন হলে সবাই খুসি আনন্দিত হওয়ার কথা। কেয়ামত হবে কেন?
কিন্তু উনি বলছেন ফেয়ার নির্বাচন হলে ১৬ই আগষ্ট কাবুল বিমান বন্দরের মত পরিস্থিতি মানে দেশে কেয়ামত নেমে আসবে।
মানে মানুষ উদ্ভ্রান্তের মত পালাবে
তাহলে উনারা কি বিজিত দলকে কচুকাটা করতে চা্ন?
ওনার ইচ্ছা নিরব হুমকিতে যা বুঝি, কেয়ামতের মত নৃসংশ ভয়াবহ গনহত্যা চালানো হবে যে দেশবাসিকে প্রাণ ভয়ে বিমানের চাকায় ঝুলে ঝুলে পালিয়ে যেতে হবে!
এই হুমকি নতুন না। দু বছর আগে ওনার এক সাগরেদ আলবদর ছানা শহিদুল আলমও একই (নির্বাচনের পর কেটে টুকরা টুকরা করার) হুমকি দিয়েছিলেন আল-জাজিরায়।
এমন নৃসংশ ভয়াবহ নিরব হুমকি যে প্রাণ ভয়ে বিমানের চাকায় ঝুলে ঝুলে পালিয়ে যেতে হবে!
তাহলে এত এত নির্বাচনের পর উনি এখনো জীবিত থাকেন কিভাবে?
আসিফ নজরুলরা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করছে, প্রমোশন হচ্ছে, প্রকাস্য লাইভ টকশো করছে, টিভিতে প্রতিরাতে সরকারের মুন্ডুপাত করে চলছে। কেউ তাকে কিছু বলেছে, কেউ গ্রেনেড মেরেছে?
কাপুরুষরাই পালায়, খুনিরাই পালায়। মুক্তিযুদ্ধ করা বীরের জাতি কখনো পলায়ন করে না।
বাংলাদেশ থেকে পালানোর রেকর্ড একবারই ছিল, সেটা জেল হত্যার পর হত্যাকারিদের সে রাতেই পলায়ন।
সেটা খুনিদের দল ও খুনিদের চিফ ক্ষমতাসীন থাকাকালিন নিরাপদ পরিবেশ থাকা সত্তেও পলায়ন।
মুক্তিযুদ্ধ করা বীরের জাতি কখনো পলায়ন করে না। পালায় না, বরং ফিরে আসার রেকর্ড আছে।
শেখ হাসিনা যখন ফিরে আসে তার দল বিচ্ছিন্ন বিপর্যস্ত। পিতার খুনিদের চিফ ক্ষমতায়,
খুনির হাতের রক্ত তখনো শুকিয়ে যায় নি, ইতিমধ্যেই ২ হাজার সহকর্মি সামরিক অফিসারের গর্দান নিয়েছেন। কু পালটা কু এর নামে খতম করে যাচ্ছেন, সংক্ষিপ্ত বিচারের নামে একের পর এক ফাঁসিতে ঝুলাচ্ছেন, সেই কঠিন সময়টায় শেখ হাসিনা ফিরে আসেন, নেকড়ের খাচায় একাই ফিরে আসেন। ভয় পান নি।
সুতরাং আসিফ নজরুল। ভয় দেখাবেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:০৮