নির্বাচনের আগে সিপিডি ঘটা করে একটি মিডিয়া ব্রিফিং করলো।
ওনারা ইসলামী ব্যাঙ্কের সব ঋনকেই খেলাপি বলছেন
সিপিডি ওনারা নিজেরা কোন ইনভেষ্টিগেশন করেন নি। বাংলাদেশেশ ব্যাঙ্ক এমনকি কোন ব্যাঙ্ক থেকেও তথ্য নেন নি
সুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন ২০০৯ থেকে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা অনলাইন পত্রিকা থেকে ভুয়া অর্ধসত্য খবর।
হলমার্ক ডেষ্টিনি পিকে হালদার এসব বহু পুরনো পাপ। কিন্তু পাকড়াও করে জেলে ঢুকাইছে এই সরকার সেটা বলছে না সিপিডি।
খেলাপি ঋন নিয়ে খুব বেশী উদবেগ দেখা যায়।
বাংলাদেশে অগ্রনি জনতা ইত্যাদি সরকারি ব্যাঙ্কের খেলাপি ঋন ২০-২২% মত যা উদ্বেগজনক।
এটা একদিনে হয় নি, সাইফুর রহমানের আমলের ঋনের বোঝা বর্তমানের সাথে যুক্ত হয়ে এখনো ঘানি টানতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। এই টাকা ফিয়ে আসবে না নিশ্চিতই বলা যায়, তবে খেলাপিদের বন্দকি জমি আছে কারখানা আছে, এলসি তে আনা পন্য বন্ডেড ওয়ার হাউসে নিলাম করে কিছু ক্ষতিপুরন হচ্ছ, যদিও সরকারি ব্যাঙ্কে অনিয়ম অনেক। তবে বিভিন্ন কারনে বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে বেসরকারি খাতে ঋন প্রদান প্রায় সম্পুর্ন বন্ধ আছে।
বর্তমানে দেশের ব্যাঙ্কিং খাতের সব ঋনই বেসরকারি খাতের। বেসরকারি খাতেও অনিয়ম থাকলে খেলাপি ঋন খুবই কম। ৫.৫% মাত্র। (আইএমেফের বিপদ সীমা ১০%) বিদেশী ব্যাঙ্কে খেলাপি ৪% মাত্র আর বহুল আলোচিত ইসলামী ব্যাঙ্কের খেলাপি ৪.৪%
ব্যাঙ্ক সব দেউলিয়া হয়ে গেছে বলছেন, আসলে ৭ বছর ধরে বলে যাচ্ছেন, কিন্তু একটি ব্যাঙ্কও দেউলিয়া হয় নি।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং অর্থনীতি বহুগুন বর্ধিত হয়েছে হিসেব করলে ৫০ গুন হবে
দেউলিয়া বা লস খাওয়ার লক্ষন হচ্ছে বেতন বন্ধ, কর্মচারি ছাটাই। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক বা দেশের কোন ব্যাঙ্কই কর্মচারি ছাটাই হয় নি, করছে না বরং উচ্চ বেতনে শত শত কর্মকর্তা নিয়োগ হচ্ছে। শেয়ারে ভাল ডিভিডেন্ট দিচ্ছে, স্টাফদের বেতন প্রতি বছর বৃদ্ধি হচ্ছে, একেক জন কর্মচারি বেতন লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আর মুলধন ঘাটতি একটি চরম বিভ্রান্তিমুলক কথা। ব্যাঙ্ক কোন টাকার গুদাম নহে। ব্যাঙ্ক মালিকরা কি মুলধন ট্রাঙ্কে তালামেরে রাখবে না কি যেখানে বিনিয়োগ করলে আয় বৃদ্ধি পাবে সেখানেই বিনিয়োগ করবে।
তারল্যসংকট মানে তাৎক্ষনিক ক্যাশ টাকার সংকট। অন্য ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক দিনের জন্য সর্ট লোন নিয়ে তাৎক্ষনিক মিটিয়ে ফেলা হয়। এর জন্য কোন টাকা ছাপানো লাগে না ইহা কোন আর্থিক সংকটই না।
ব্যাঙ্কিং খাতের মুল ভিত্তি হচ্ছে সম্পদের পরিমান (এসেট) আমানতের ও ঋণের ভারসাম্য, ঋণ কিস্তি রিটার্ন, কম খেলাপি ঋন। এবং মুনাফা। সব কিছুর ভিত্তিতে তৈরি হয় মুডিসের ক্রেডিট স্কোর।ইসলামী ব্যাঙ্কের সেই ক্রেডিট স্কোর এখনো সবচেয়ে ভাল।
এখনো ব্যাঙ্কটি লাভজনক,
বিদায়ী বছরে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিট মুনাফা হয়েছে ৬১৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
২০২১ সালে এ ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৮০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮.২৮%।
২০২২ সালের জন্য শেয়ারধারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের (ডিভিডেন্ট) সুপারিশ করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
শুধু শেয়ার বিনিয়োগ না, ব্যাঙ্কটি গ্রাহকদের জমা (ডিপোজিট)ও বেড়েছে যদিও প্রথম আলো-ডেইলিস্টার কোন প্রমান ছাড়াই বলছে দিন দিন কমছে।
২০০৮ সালে ইসলামী ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ছিল ২৫,০০০/- কোটি টাকা,
২০১৭ তে এস আলমের শেয়ার প্রাধান্যে আসে।
২০১৯ এ করোনার আগে মোট ডিপোজিট ছিল ৮২, ০০০/- কোটি টাকা প্রায়
বর্তমানে কথিত ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ প্রভাবে এত টাকা সরিয়ে নেয়ার পরও ২০২২ শেষে ব্যাংকের মোট ডিপোজিট ১,৪৭,০০০/ কোটি টাকা প্রায়।
ভুল হিসেব দেয়া সম্ভব নয় বিদেশী(ভারতীয়) অডিটিং ফার্ম।
এস আলম সমিট কে ইঙ্গিত করে বলছেন ঋন নিয়ে সিংগাপুরে জমা করছে, হোটেল বাড়ীঘর করছে একটা চুরিও তো প্রমান হইলো না।
সিংগাপুর মালয়েশীয়াতে মাত্র কয়েক মাস আগে এত এত পাচারকারি ধরলো, ভারতীও চাইনিজ রাঘব বোয়াল কম্পানীর পাচাররের বিলিয়ল ডলার জব্দ করলো, কিন্তু সেখানে বহুল আলোচিত এস আলম সমিট সহ ৩০-৪০ বাংলাদেশী কম্পানীর কিছুই হলোনা তো বলতে গেলে ক্লিন প্রমানিত হইলো।
সব মিথ্যা। এসব সাধারন ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম। অতচ ৩ বছর জাবত মিডিয়াগুলো প্যানিক ছড়াচ্ছে। কিন্তু মানুষ বিশ্বাস করে না। তেমন সিরিয়াস কিছু হলে বিশ্বব্যাঙ্ক আইএমেফ বলতো। রিসেন্ট ঋনের কিস্তি দেয়ার আগে অনিয়ম নিয়ে কিছু উপদেশ দিয়েছে পরে তাদের রিপোর্টে বলেছে এখনো এশিয়ার ভেতর বাংলাদেশের অর্থনীতি সবচেয়ে সঠিক পথে সবচেয়ে দ্রতগামি আছে, সব ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। মুল্যস্ফিতি কমা শুরু হয়েছে, ২০২৪ এ আরো কমবে।