বিভিন্ন ব্লগ এবং পেপার কার্টিং দেখে কয়েকদিন থেকে মনে হচ্ছিল নবাবগঞ্জের বান্দুরা থেকে ঘুরে আসি। জায়গাটা ঢাকা থেকে খুব একটা দূরে ও না। তাই কাল সকালে আম্মুকে বললাম পুরান ঢাকার জমিদার বাড়ী দেখেতে যাব। আর সাথে সাথেই একমাত্র ছেলের প্রতি পিতা-মাতার ভালবাসা দেখানো শুরু হলো। পুরানো বাসায় সাপ থাকবে..সাবধানে থাকবে…পানির কাছে যাবে না..বন্ধ ঘরে গ্যাস থাকতে পারে..আরো কত কি!
যেতে আমাদের বেশ সময় লাগে। ঘন্টা-দুয়ের কাছাকাছি বাস ভ্রমণ শেষে আমরা বান্দুরায় নামি।সাথে করে বেশ কিছু পেপার কার্টিং এবং ব্লগ এর লেখা প্রিন্ট করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেগুলা থেকেই দেখে হলিক্রশ স্কুল ও সংলগ্ন গির্জা দেখার জন্য রিকশা ভাড়া করি। জপমালা রানীর গির্জাটা বেশ সুন্দর। সামনে এটা পুকুর আছে। আর মাঠ সহ প্রার্থনার স্থানটাও নজর কাড়ে।
সেখান থেকে আবার রিক্সায় রওনা দিই। আমাদের রিক্সা চালক বলেন, সামনে গোল্লা নামক স্থানে নাকি আর একটি গির্জা আছে। আমরা সেটার উদ্দেশ্যে রওনা দিই। পথের রিক্সা ভ্রমণটা ছিল উল্লেখ করার মতো।


ইছামতি নদী ও গির্জা
অত:পর থেকে আমরা কালাকোপার কাছে জমিদার বাড়ী যা জজ বাড়ি নামে পরিচিত সেখানে আসি। সেটার দেখে কিছুটা আশাহত হই।


কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ি
কোকিলপেয়ারী জমিদার বাড়ির সামনেই আমরা পিকনিক হিসেবে সাথে নিয়ে আসা টিফিন সাবাড় করি।

আন্দরকোট্টা যাবার পথে
আন্দরকোট্টা জায়গাটা বেশ ভাল। তবে একা বা সংখ্যায় বেশি না হলে তার ভিতরে না যাওটাই ভাল। আমরাও আন্দরকোট্টার ভিতরে যাইনি।
সেখান থেকে রিক্সাযোগে ঢাকা-বান্দুরাগামী সড়কে এসে দাঁড়াই। কিছুক্ষণ দাড়াতেই বাস এসে পড়ে। এবার ফেরার পালা। আসতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি। সোয়া এক ঘন্টার মাঝেই ঢাকার নয়াবাজার চলে আসি।
বর্ষার সময়ে রাস্তার দুইপাশ, ইছামতি নদী, বান্দুরা থেকে কলাকোপা রিক্সা ভ্রমণ এবং সর্বোপরি সেখানকার পুরোনো স্থাপনা..সব মিলিয়ে ভ্রমণ টা বেশ চমৎকার হয়েছে বলা যায়। তবে বেশি মনোমুদ্ধকর প্রাচীণ স্থাপনা দেখার আশা নিয়ে সেখানে গেলে আশাহত হতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




