সামনে চেয়ারে বসা ছেলেটা আজ দাঁড়িয়ে থাকে কেন, জানেন? অর্থ বিহীন এই সম্মান তার কোনো কাজে আসছে না। তাই সে আজ পিছনে বসে। একটি বাস্তব ইন্টারভিউ ঘটনা বলি - ছেলেটা জেনে বুঝে গিয়েছে। ইন্টারভিউ বোর্ড এক পর্যায় ছেলেটাকে বলে, আপনি এখন আমাদের সামনে বসেন চা পান করেন। একটা সম্মানিত চেয়ারে বসেন তখন তো পারবেন না। আমরা আপনাকে চা আনতে বলবো।
ছেলেটার উত্তর ছিল, আমি ক্ষুধার্ত স্যার, আমার পেঠে ভাত আসে না। এই চেয়ার , এই পেশা সৌখিনতায় করে থাকি , ছেড়ে দিলে কোনো সমস্যা হবে না । আমি এখন বাবা, মাস শেষে আমি টাকা না পাঠালে তারা ভালো থাকবে না।
লেখাটি লিখতে লিখতে মনে পড়েছে সাংবাদিক মুন্নি সাহা আপার একটি অনুষ্ঠান। প্রতি শুক্রবার লাইভ সম্প্রচার হতো। গ্রামের অসুস্থ মানুষ লাইভে যুক্ত থেকে সমস্যার কথা জানাতো। স্টুডিওতে বসা ডাক্তার শুনে - কি কি ওষুধ খেতে হবে নাম বলে দিতো। অনুষ্ঠানটি শেষের দিকে মুন্নি সাহা আপা বিদায় নিবে এমন সময় যে স্বাস্থ্য কর্মী পরিচালনা করেছিল সে কিছু শারীরিক সমস্যার কথা জানালো , ডাক্তার আপা তার কথা শুনে রুগি কে সে এখন কোথায় - স্বাস্থ্য কর্মী কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থেকে উত্তর দিল , আমারেই সমস্যা । ডাক্তার আপা অবাক হয়ে দ্রুত হাসপাতালে যেতে বললেন। মুন্নি সাহা আপা আরও দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করে যাওয়ার সময় চ্যানেলের প্রতিনিধি কে নির্দেশ দেন এটিএন নিউজের গাড়ি করে যেন তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় ।
যে মানুষটি পুরো এক ঘণ্টার অনুষ্ঠান পরিচালনা করলো সে যে কত বড় রোগ নিয়ে আছে, কেও বুঝলো না। আসলে আমরা মানুষের সুন্দর জামা অথবা চেহারা দেখি । কিন্তু প্রতিটি মানুষ কে কি সমস্যায় আছে আমরা কেও জানি না ।
ভালো থাকুক ,
সকল প্রবাসী ।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:৪৪