প্রথমত: ধর্মপ্রচারকদের জন্য কিছু সুবিধা :
১. সাকার ঈশ্বরের প্রমাণ দেওয়ার দায়মুক্তি। ঈশ্বর এক, অদৃশ্য, অনাদী এবং অনন্ত হলে সে শুধুই বিশ্বাসের ব্যাপার। প্রমাণের প্রয়োজন থাকে না।
২. একভাবে প্রমাণের প্রয়োজন না থাকলেও ঈশ্বররের অনুপস্থিতিজনিত শূণ্যতার ভিতির সাথে আঞ্চলিক কুসংস্কার মিশিয়ে বড় আয়োজনের যাগযজ্ঞ ছাড়াই তাঁকে অদৃশ্য প্রশাসকে পরিণত করতে পারা যায়।
৩. আঞ্চলিক বিশ্বাসের লেজ ধরে আঞ্চলিক বিরোধ আসে। বিরোধ থেকে সংঘাত। সংঘাতে বিজয় থেকে নতুন বিশ্বাসের সমর্থকদের আবাসভুমি। পৌত্তলিকদের তুলনায় এক্ষেত্রে অদৃশ্য ঈশ্বর বিশ্বাস সংঘাতের ঘুঁটিদের উত্তেজিত করতে অনেক বেশী সফল।
৪. প্রচারকের বিশেষ ক্ষমতায় বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীর দন্দ্বকে অদৃশ্য ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে ধন্দে ফেলে দিয়ে তাকে রাজনীতির কাজে লাগানো। এবং এইভাবে ঐ বিশ্বাসগুলিকে ক্রমশ আইনে পরিণত করা।
তিন নম্বর পয়েন্টটাই পরে মাইক্রো থেকে ম্যাক্রোতে গিয়ে ধর্মমতের মুখোশে সাম্রাজ্যবাদের জন্ম দিয়েছে। যার জের এখনো চলছে।
বাংলাদেশসহ পৃথিবীর তাবৎ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র আপনাকে অবিশ্বাসের অধিকার দিয়েছে। শান্তিমত সেই অধিকার ভোগ করতে পারাটাই শুধু চ্যালেঞ্জের ব্যাপার থেকে যাচ্ছে।