তিন চারদিন আগে টিউশন থেকে হলে ফেরার পথে চারুকলার গেটের ঠিক সামনে গাজাঁস্থানের(যেখানে রাতের বেলা ছেলে,বুড়ু,কপোত-কপোতী নির্বিশেষে সবাই নির্ভয়ে গান্জিকা সেবন করে) পাশেই দাড়িয়ে আছি ডাব খাব বলে,একটু পর চারুকলার ভিতর থেকে একজন অধ্যাপক গোছের লোককে বেড়িয়ে আসতে দেখে অনেকটা সরে দাড়ালাম যার কাঁদে গেরুয়া ব্যাগ,চোখে বুদ্ধিজীবি স্টাইলের চশমা,চুল বড় বড় বড়। বেড়িয়ে ডাবওয়ালার ভ্যানের সামনে দাড়িয়ে কাউকে খোজার ভঙ্গিতে এদিক সেদিক তাকাচ্ছে,এর মধ্যেই আমার ডাবের পানি খাওয়া শেষ এখন শুধু শ্বাস খাওয়া বাকি অর্থাৎ ইতোমধ্যে অনেকটুকু সময় পার হয়ে গেছে কিন্তু লোকটার এদিকওদিক তাকানো বন্ধ হচ্ছে না তাই লোকটাকর প্রতি আমার কিছুটা সন্দেহ তৈরি হল। তাই মনে মনে ভাবলাম শেষটা দেখেই যাই।একটু পর দেখলাম আমার বয়সী একটি ছেলেকে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে এসে অনেকটা আত্মতৃপ্তিরর ভঙ্গিতে ছালাম দিল " আসসালামু আালাইকুম স্যার" স্যার, "এনেছ?" আগন্তুক ছেলটি "অনেক....... কষ্টে পাইছি,স্যার সবগুলো স্পট বন্ধ করে দিছে পুলিশ অনেক ঘুরাঘুরি করে শহীদুল্লাহ হলের ঐদিকটাতে পাইছি" স্যার, "দেখি কতটুকু এনেছ??" এতক্ষন আমি যা ভাবছি বাস্তবে তাই হল।ছেলেটি তার প্যান্টের পকেট থেকে কাগজে মোড়ানো দলা জাততীয় দুইটি বস্তু ঐ লোকটার হাতে দিল আর সাথে সাথে মোড়ানো প্যাকেট খোলা মাত্র একনজর দেখেই চিনে ফেলি..............
অতঃপর মনে মনে "বাতাসে ভেসে আসে গাজার গন্ধ" দোয়াটি আওরাতে আওরাতে হলের দিকে পা বারালাম