আমাদের তরুন প্রজন্মকে বাংলাভাষা ও সাহিত্যের সাথে পরিচয় করাতে হলে অবশ্যই রবীন্দ্র নজরুলকে প্রথমেই জানতে হবে।
আমার কাছে মনে হচ্ছে কেউ যদি প্রকৃত অর্থেই বাংলা শিখতে চায় তাহলে অবশ্যই সঠিক এবং প্রমিত রুপটাকে শিখতে হবে,কারন আমরা সবাই কিন্তু জন্ম থেকেই বাংলা ভাষা বলে আসছি,তবে সেটা কোন এক আঞ্চলিক রুপে। আপনি কলকাতার মুভিগুলোতে দেখবেন অনেক সুন্দর এবং শ্রুতিমধুর করে ওরা বাংলাটাকে বলে,তার মানে ওরা যে ইংরেজি জানে না তা কিন্তু নয়,বরং ওরা ইংরেজিতে আমাদের নায়ক-নায়িকাদের থেকে কয়েক আলোকবর্ষ গুন এগিয়ে রয়েছে।আর আমাদের নাটকগুলোতে বাংলা ভাষার দুইধরনের ব্যবহার পাবেন প্রথমত হচ্ছে ভয়ঙ্কর রকমের আঞ্চলিক আর পরেরটা হচ্ছে অতিরঞ্জন(over smart) যেখানে বাংলা এবং ইংরেজির মিশ্র ব্যবহার এমন পর্যায়ে পৌছেছে যে রীতিমত বাংলাকে ধর্ষনের পর্যায়ে চলে গেছে। এগুলো কিন্তু এই প্রজন্মকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।যাবেন কোথায় যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগন না সুন্দরভাবে ক্লাসে বাংলা বলে,না ভালোভাবে ইংরেজি বলে!!!!!! একসময় তো কবি আহসান হাবীব সহ আরো কয়েকজন সহী উর্দু চেতনা অর্থাৎ পাক সার জমিন সাদ বাদ চেতনার ঝান্ডাধারী কবিরা আমাদের বাংলা উর্দু মিক্স করে খাওয়াতো এমনকি ইন্টারমিডিয়েটে আমাদের যে পাঞ্জেরী নামে একটা কবিতা ছিল ঐটাতেই তো ডজন খানেক উর্দু হরফ পাওয়া যাবে!!!! আমাদেরকে আগে অবশ্যই শেকড় চিনতে হবে,আর আমাদের বাংলা ভাষার শেকড়ে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ,নজরুল,শরৎচন্দ্র,মাইকেল সহ আরো যারা রয়েছে তাদের,তাহলেই আমাদের মন ও মননে বিশুদ্ধ বাংলা প্রবেশ করবে অন্যথায় একসময় শংকর বাংলাটাই থেকে যাবে আর বিশুদ্ধ বাংলা সোজা ভাষায় মার্কেট আউট!!!
এটা না করলে একসময় বাংলাভাষার বিশুদ্ধতম রুপটা আর থাকবে না।