somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মৃত বোনের কবরে সেলফী এবং আমাদের ভাবনার জগত

১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



একটি ভাই তার মৃত বোনের কবর দেয়ার ছবি তুলেছে সেলফীর মাধ্যমে। পাশাপাশি সে সকলের দোয়া চেয়েছে। মাধ্যমটি একটি উত্তরাধুনিক মাধ্যম ফেইজবুক। সেখানে নেতিবাচক সমালোচনার ঝড় দেখে স্বাভাবিক ভাবে মনে হতেই পারে ভাইটি বড় ভুল করে ফেলেছে, তার কোন বিবেক নাই, এরকম অনেক কিছু।
কয়েকটি মিডিয়া এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে লিখেছে। রেডিও মুন্নাও দেখলাম খুব করে লিখেছে। রেডিও মুন্না একটি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক পেইজ। এখানে নারীদের, মানুষকে নানাভাবে পচিয়ে লাইক বাড়ানো হয়। বাস্তবিক পক্ষে এরা কিন্তু একটি অসহনশীল সমাজ তৈরিতে নেমেছে। কার জন্যে জানি না। মৃত বোনের জন্যে আধুনিক মাধ্যমে সেলফীর দ্বারা দোয়া চাওয়া কি খুব অপরাধ?

ছবির দিকে তাকালে ভাইয়ের বেদনাবোধটি কি আমাদের চোখে ধরা পড়ে না? শক্তভাবে পরিবারের বিপদের সময় স্বাভাবিক শক্ত আচরণ কি দোষের??? কবি নজরুল তাঁর ছেলে মারা গেলেও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলেন। তিনি অপরাধ করেছিলেন??? একটি ছেলে তার বোনের ছবি দিয়ে দোয়া চাওয়ায় আমাদের কথা এবং মন্তব্যগুলো ছিল , এমন।১। অংশীদার কমলো তো! , ২। অমানুষ, ৩। খুশি হয়েছে। যিনি সবচেয়ে ভালো মন্তব্যটি করেছেন , তিনি বলতে চেয়েছেন ওটি কবর ছিল না। মানে তারা নেতিবাচক কিছু বিশ্বাস করতে চান না। বাস্তবতাকে লুকিয়ে মন গড়া সত্য তৈরি করতে চান। কিন্তু ঘটে যাওয়া সত্যকে মোকাবিলা করতে চান না। কারণ এর ভেতর সত্যিকার কি ধরণের ইতিবাচক দিক থাকতে পারে তারা তা জানে না। ধারণার জগতের বাইরে।

একটি ঘটনাকে কে কত ইতিবাচকভাবে দেখতে পারেন এটি একটি যোগ্যতা। ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে। বাকি যা থাকে তা হলো ইতিবাচক সত্যের আশ্রয় করে নিজেকে এবং জাতিকে ভালো কিছু উপহার দেয়া। আমাদের এখানে যেন খুব অনিহা। এগুলো বাদ না দিলে দেশ এগুবে না। জাতি এগুবে না।

ভাইয়ের আবেগকে ছোট করে আমরা কি নিজেদের খুব বড় দেখাতে চাই ? সেটা কি একটি ভাইয়ের চেয়ে বেশি? না। তবে কেন সেই ভাইয়ের সমালোচনা? এগুলো বাদ দিয়ে এসো আমরা দেখি, তাকাতাকি বাদ।

সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০১
৪টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×