একটি ভাই তার মৃত বোনের কবর দেয়ার ছবি তুলেছে সেলফীর মাধ্যমে। পাশাপাশি সে সকলের দোয়া চেয়েছে। মাধ্যমটি একটি উত্তরাধুনিক মাধ্যম ফেইজবুক। সেখানে নেতিবাচক সমালোচনার ঝড় দেখে স্বাভাবিক ভাবে মনে হতেই পারে ভাইটি বড় ভুল করে ফেলেছে, তার কোন বিবেক নাই, এরকম অনেক কিছু।
কয়েকটি মিডিয়া এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে লিখেছে। রেডিও মুন্নাও দেখলাম খুব করে লিখেছে। রেডিও মুন্না একটি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক পেইজ। এখানে নারীদের, মানুষকে নানাভাবে পচিয়ে লাইক বাড়ানো হয়। বাস্তবিক পক্ষে এরা কিন্তু একটি অসহনশীল সমাজ তৈরিতে নেমেছে। কার জন্যে জানি না। মৃত বোনের জন্যে আধুনিক মাধ্যমে সেলফীর দ্বারা দোয়া চাওয়া কি খুব অপরাধ?
ছবির দিকে তাকালে ভাইয়ের বেদনাবোধটি কি আমাদের চোখে ধরা পড়ে না? শক্তভাবে পরিবারের বিপদের সময় স্বাভাবিক শক্ত আচরণ কি দোষের??? কবি নজরুল তাঁর ছেলে মারা গেলেও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলেন। তিনি অপরাধ করেছিলেন??? একটি ছেলে তার বোনের ছবি দিয়ে দোয়া চাওয়ায় আমাদের কথা এবং মন্তব্যগুলো ছিল , এমন।১। অংশীদার কমলো তো! , ২। অমানুষ, ৩। খুশি হয়েছে। যিনি সবচেয়ে ভালো মন্তব্যটি করেছেন , তিনি বলতে চেয়েছেন ওটি কবর ছিল না। মানে তারা নেতিবাচক কিছু বিশ্বাস করতে চান না। বাস্তবতাকে লুকিয়ে মন গড়া সত্য তৈরি করতে চান। কিন্তু ঘটে যাওয়া সত্যকে মোকাবিলা করতে চান না। কারণ এর ভেতর সত্যিকার কি ধরণের ইতিবাচক দিক থাকতে পারে তারা তা জানে না। ধারণার জগতের বাইরে।
একটি ঘটনাকে কে কত ইতিবাচকভাবে দেখতে পারেন এটি একটি যোগ্যতা। ঘটনা যা ঘটার ঘটে গেছে। বাকি যা থাকে তা হলো ইতিবাচক সত্যের আশ্রয় করে নিজেকে এবং জাতিকে ভালো কিছু উপহার দেয়া। আমাদের এখানে যেন খুব অনিহা। এগুলো বাদ না দিলে দেশ এগুবে না। জাতি এগুবে না।
ভাইয়ের আবেগকে ছোট করে আমরা কি নিজেদের খুব বড় দেখাতে চাই ? সেটা কি একটি ভাইয়ের চেয়ে বেশি? না। তবে কেন সেই ভাইয়ের সমালোচনা? এগুলো বাদ দিয়ে এসো আমরা দেখি, তাকাতাকি বাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৬:০১