পাঠাতে কি পারো আমায় সেটি
অনেক দিন হলো
আমি শানত্দির ঘুমই ঘুমাইনি"
একটা রেলগাড়ী আমায় জ্বালায়, প্রতিরাতে
সারাদিন আমি যদিও অপেৰায় থাকি তার
সন্ধ্যায়, যখন শুয়ে থাকা পুরুষের মতো দিনের ওপর
ঝুপ্ করে নামে কামিনী রাত, আমি টের পাই
দূর থেকে আসছে সেই রেলগাড়ি
পথের দু'পাশে তার পড়ে থাকে কতো শ্মশ্মান
শবদেহ, চটান মাঠের মাঝে খরগোশের তুলে রাখা
গোল মাটির ঢিঁপি, যেন ভ্থমির সত্দন, বোঁটাহীন
কখনও বালুর ওপর ঘষটে ঘষটে এসে থামে
রেলগাড়ি, আমার দরোজায়
ততোৰণে তৈরি আমি, ন্যাতানো পুঁইডাঁটা
উত্তর সাগর থেকে জল এলো বুঝি
একি জল কোথায়, চিহ্নই শুধু পড়ে আছে
শুকনো কাঁকড়ার খোল, মৃত তারামাছ
আমি এ কামরা ও কামরা ঘুরে শেষে
পেঁৗছে যাই সেখানে, যেখানে দাহ হচ্ছে প্রেম অপ্রেম সব
দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই আমার
একটা রেলগাড়ী আমায় জ্বালায়, প্রতিরাতে
বুকের ওপর ওম-এ বসা দু'টো পুরম্নষ্টু পাখির
খয়েরী ঠোঁট খুবলে খেতে চায় কারো চোখ
ভরা পোয়াতির পেটের সনত্দানের মতো
ঘাই মারে অবৈধ সুখ, আমারও তলপেটে
তখনও রেলগাড়ীটা তীক্ষ্ম হুইসেল বাজিয়ে. . . . .
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০