নাস্তিকেরা সব সময় মুসলিমদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, হাসি ঠাট্টা,গালি গালাজ করে। মুসলমানদের গালি গালাজ করে মনে প্রশান্তি অনুভব করে। লংকা জয় করে ফেলছে এমন একটা ভাব দেখায়। কখনো মুসলমানরা সবাই হিপোক্রিট বলে, কখনো মুসলমানদের গোখরা সাপ বলে। দুনিয়ার সব আকাম কুকামের সাথে মুসলমানদের জড়িত করে। এরা আবার এ্যাডভান্টেজ নেওয়ার জন্যে বলে এরা মুসলমানদের ঘরে জন্ম নিয়েছে।
তাইলে ধরা যায়, উপরের মন্তব্যটা যে ভদ্র নাস্তিক করেছে এবং যে সব ভেক ধরা সুশীল নাস্তিক তার পক্ষে সাফাই গেয়েছে, উনারা সবাই জঙ্গলের খেক শিয়ালের মত হুক্কা হুয়ায় মেতে উঠে। এক শিয়াল হুক্কা হুয়া বললে বাকি শিয়ালগুলোও একই ভাবে মেতে উঠে।
সবাক নামে বিশিষ্ট লোকটা আগে ছিলো মুসলমান, পরে নাস্তিক হইছে। এখন ঐ কমেন্টটা যদি উনার উপর প্রয়োগ করি তাইলে দাড়াঁয়, উনি কিভাবে কি কি কথা বলার পর, কি রস ফেলার পর জন্মগ্রহন করেছেন। যেহেতু মুসলমানের ঘরে তার জন্ম হয়েছে।

মুসলমানরা গোখরা সাপ এবং হিপোক্রিট জাত সহ গালিগালাজ করেন চীফ। চীফ ও বলে সে মুসলমানদের ঘরে জন্মেছে। মুসলমানদের গালিগালাজ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে উনি অর্গাজম লাভ করেন। মুসলমানদের যত গালিগালাজ করা হয় তা উনার মুসলিম পিতা-মাতা ভাই-বোনের উপর পতিত হয়। নিজের ভাই বোন, পিতা মাতাকে হিপোক্রিট, গোখরা সাপ বানিয়ে ফেলেন। উনারা যেভাবে ব্লগে আল্লাহ, মোহাম্মদ (সঃ) ও মুসলিমদের গালিগালাজ করেন, একবার ও পারবেন আপনাদের মা-বাবার সামনে এসব বলতে?
যে নাস্তিকাড্ডায় রাতের বেলায় উনি মুসলমানদের গালিগালাজ করেন, তখনি তার মুসলিম মা তার জন্যে খাবার রেডী করে বসে থাকে কখন তার ছেলে আসবে। আল্লাহর কাছে পার্থনা করে (আল্লাহ নাই থাকুক, তার মা ওর কল্যানতো চায়) তার ছেলেটা যেন সহিহ সালামাতে ঘরে ফিরে আসে। নিজের মুসলিম বাবা-মা তার জন্যে এত কষ্ট করার পরও সে তার মুসলিম বাবা-মাকে গালি গালাজ করে তখন সেই ছেলেটা আল্লাহর রহমত, দয়া ও সাহায্য পেয়েও তাকে না দেখে কিভাবে তার ইবাদাত করবে?

কোন মুসলিমকে প্রশ্ন করুন সে বলবে, মুসলমানদের ভিতর ভালোও আছে এবং খারাপ ও আছে।
কোন হিন্দুকে প্রশ্ন করুন সে বলবে হিন্দুদের ভিতর ভালো ও আছে এবং খারাপ আছে।
কোন খ্রিষ্টানকে প্রশ্ন করুন সে বলবে, খ্রিষ্টানদের ভিতর ভালোও আছে এবং খারাপ ও আছে।

কিন্তু এই ব্লগের সো কলড নাস্তিকগুলো বলবে মুসলিমরাই খারাপ, ওরা গোখরা সাপ, ওরা হিপোক্রিট।
বিপরীতে, নাস্তিকদের সবাই ভালো, ওরা খারাপ হইতেই পারেনা, ওরা অমানবিক কিছুই করতে পারেন, ওরা যাহাই করে তাহাই মানবিক।
একটা নাস্তিক আকাম করলে সব নাস্তিকগুলা একসাথে আইসা তারে ডিফেন্ড করবো।

এই নাস্তিকগুলা চরম সাম্প্রদায়িকও। এই সব নাস্তিকগুলা চলে সম্প্রদায়ের মতো, একজনের উপর এ্যাটাক হলে সবাই বীর বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মুসলমানদের বিভিন্ননামে এবং বিভিন্নভাগে গালিগালাজ করেও এই সম্প্রদায়টা সাম্প্রদায়িক হয়না। তবে কেউ যদি কখনো কোন ব্লগারকে "মালাউন" বলে তখন উনারা স্ক্রীনশট নিয়ে পোষ্ট এবং কমেন্টে মায়া-কান্নার নহর বইয়ে দেন সাম্প্রদায়িক বলে। চালনী বলে সুঁইরে তোর ভিতরে ফুটা আছে।

এই ইন্টারনেটে মুসলিম বিদ্বেষী/ইসলাম বিরুধী ওয়েবসাইটগুলোর রকমবেধ আছে। কোনটা চালায় জায়োনিস্টরা, কোনটা চালায় খ্রিষ্টান ইভিন্জালিস্টরা, কোনটা চালায় অর্থডক্স ইহুদীরা, কোনটা চালায় আরব খ্রিষ্টানরা, কোনটা হয় ভ্যাটিকানের পরিচালনায়, কোন হয় হিন্দুদের দ্বারা, কোনটা হয় ভেকধরা নাস্তিকদের দ্বারা। উনারা সবাই মুসলমানদের আল্লাহ, মোহাম্মদ(সঃ), ইসলাম, কোরান, হাদিস নিয়ে কতো হাসি তামাসা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, গালি গালাজ করে। বিপরীতে মুসলমান কোথায় ইহুদী-নাসারা-মালাউন বলছে ব্যস ওরে ধইরা তুলা ধুনা করো। তবুও উনারা হিপোক্রিট না, মুসলিমরাই হিপোক্রিট।

তাই বলি, দুনিয়ার কাঠ নাস্তিক এক হও, মুসলিমদের গালি দাও।


আরো দেখুন, নাস্তিকদের গরুর রচনাঃ এরা পরিক্ষায় কম মার্ক্স পায় কেন?

ব্লগীয় কাঠ নাস্তিকদের সমাধান করবেন যেভাবে, টেস্ট দিস ফ্লেবার।