শেখ সাদি একটা গল্প লেখছিল, হেইটার নাম বাংলায় দেওয়া হইছিল পোশাকের গুণে। সাদিরে গরিবী পোশাক দেইখা অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেয় নাই। এরপর সাদি বাইত্যে গিয়ে সুন্দর পোশাক পাইরা ঢুকছে। তারপর হেয় নিজে না খাইয়া পোশাকের সব খাবার খাওয়াইতে শুরু করছে। ফরহাদ মাজাহার সাহেবের পরণে লুঙ্গি দেইখা তারে আর সাহেব বইলা মনে হয় নাই, তার ঢাকা ক্লাবের অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেয় নাই। পরে অবশ্যই নাম শুইনা তারে ফেবার করতে চাইছে, মাজাহার সাহেব কি করছে, হ্যায় প্রতিবাদ করছে, না খাইয়ে ফেরত চইলা আইছে।

বাংলাদেশে সোনারগা বইলা একটা হোটেল আছে, হেইখানে লুঙ্গি পরা কাউরে ঢুকতে দেয় না। অনেক বাঙ্গালী যাগো পরনে লুঙ্গি তাগো নাকি ঢুকতে দেয় নাই হোটেলের দারোয়ান, কারণ তারা তো সাহেব না, সাহেবগো চেনা যায় কেমনে, কোট টাই পরলে। এই বার হোজ্জার একটা গল্প শুনেন, গল্পটা কিন্তু সত্যি।

এক ব্রিটিশ সাহেব বাংলাদেশে আইছে, লগে তার মেম বউ।


লুঙ্গি দেইখা সাহেবের খুব মনে ধরছে। হেয় লুঙ্গি পইরা বাইর হইছে। সাহেবের এক দাওয়াত ছিল সোনারগা হোটেলে। দাওয়াত কবুল করার সময় হেই সাহেব লুঙ্গি পইরা বাইর হইছে। হেয় মনে হয় ভাবতে পারে নাই, বাংলাদেশের সবার পরেন যেই পোশাক হেইটা পইরা সোনারগা হোটেলে ঢোকা নিষেধ।

গেটে দারোয়ানরা কইলো খাড়ান। সাহেব কয় ক্যা। তারা কয়, লুঙ্গি পইরা এই হোটেল ঢোকা নিষেধ। সাহেব কয় কারণ কি। তারা কয় আমরা জানি না, তবে লুঙ্গি পাইরা এইখানে ঢুকতে কেউ পারে না। সাহেব বুঝতে পারে নাই, লুঙ্গি পইরা হেয়ও কালা চামড়ার নেটিভ হইয়া গেছে, সাহেব বইলা তারে 'আর খাতির পাইতাছে না।

কিন্তু তার গায়ের চামড়া তো সাদা। হে বাধাইছে তর্ক। লুঙ্গি পইরা কেউরে ঢুকতে দিবা না, হের পিছনে ব্যাখা কি। দারোয়ানরা কয়, অতশত বুঝি না, এইডা এইখানকার নিয়ম। এইখানে বাঙ্গালী হইয়া আয়োন যাইত না, প্যান্টশার্ট পইরা ঢুকতে হইবো।

কিন্তু সাহেব নাছোড়বান্দা। হেয় ঢুকবই। সাহেব কয় খাড়া তগো আইন বাইর করতাছি। হেরপর সাহেব আর মেমে যা করলো তা কেই কল্পনা করতা পারবো না। মেমে পড়ছিল সালোয়ার কামিজ। হেগো সামনেই সাহেব লুঙ্গি খুইলা হরে বউরে দিল, আর মেমে তার সালোয়ার খুইলা সাহেবের তে দিল। এরপর দারোয়ান গো আর মানা করনের কোন উপায় ছিল না। কারণ সাহেবের এইবার পরণে আর লুঙ্গি নাই, আর মেমের পরনের লুঙ্গি ততক্ষণে স্কার্ট হইয়া গ্যাছে।

ফরহাদ মাজাহারের লেখন বাদ দিয়ে সাহেব হওন উচিত। শেখ সাদির মরার ৫০০ বছর পরেও পৃথিবী হেই জায়গায় রইছে দেখতাছি।

উপরের তিনজনেই প্রতিবাদ করছে, নিজস্ব স্টাইলে

এখন আমার প্রশ্ন হইতাছে, সাহেবের কামডা কি ঠিক হইছে? এইডাই কি উপযুক্ত জবাব?