আজ ১৪ জুন ২০১১ তারিখে জাতীয় তেল গ্যাস এবং বন্দররক্ষা কমিটি এক প্রতিবাদ সভা এবং জ্বালানী মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসুচি প্রদান করে।
যখন তারা ভবন ঘেরাও করতে যায় তখন পুলিশ তাদের উপর হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একটিভিস্ট রেহনুমা আহমেদও রয়েছেন।
বেশির ভাগ পত্রিকা এই তথ্য প্রদান করেছে যে রেহনুমা আহমেদ জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আসলে বর্তমানে তিনি আর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরীরত নন।
আমি পত্রিকায় প্রকাশিত রেহনুমা আহমেদের ছবি দেখেছি, যিনি আসলে এক সময় জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা ছিলেন। তার মাথা দিয়ে রক্ত পড়ছে এবং মুখ রক্তে ভেসে গিয়েছে। কেন সরকার এমনটা করল। এটা ছিল একটা শান্তিপুর্ণ প্রতিবাদ এবং তারা তো অন্য রাজনৈতিক দলগূলোর মত নয়, বহুজাতিক কোম্পানী এবং সরকার মনে হচ্ছে রক্ত চায়। কিসের জন্য, তেল আর গ্যাসের জন্য, সত্যিকারের রক্তের দাম কয়লা, তেল আর গ্যাসের চেয়ে কম।
কনকো ফিলিপস নামের কোম্পানীকে সরকার বঙ্গপাসগার ইজারা দিয়েছে। তেল গ্যাস রক্ষা কমিটি মনে করে যে এই চুক্তি রাষ্ট্রের স্বার্থ পরিপন্থী এবং তা সাগরের পরিবেশকে ধ্বংস করে ফেলবে।
রক্তের বিনিময়ে ফুলবাড়ি রক্ষা হয়েছে, রক্তের বিনিময়ে বঙ্গোপসাগরও রক্ষা হবে।
কিন্তু মনে হচ্ছে রাষ্ট্র নিজেই নিহত হয়ে গেছে বহুজাতিক কোম্পানীর হাতে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৮