somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লাইব্রেরী আর বই

২০ শে মার্চ, ২০০৬ দুপুর ১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রতি সোমবার আমার মনটা খুব ভালো থাকে । কারন এদিন মিরপুরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের "ভ্রাম্যমান লাইব্রেরী" আসে । পুরো একটি বাস ভর্তি বই আর বই । কোনটা ছেড়ে যে কোনটা আনব বুঝে উঠতে পারি না । আমি এ লাইব্রেরীর সদস্য হয়েছি প্রায় বছর দুয়েক আগে । এস.এস.সি. পরীক্ষার পর শুধু বায়না ধরতাম নতুন বইয়ের জন্য । শেষে আমার এক কাজিন আমাকে এই ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর সন্ধান দেয় ( এজন্য আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ ) । প্রথমদিন খুব ভয়ে ভয়ে বাসে উঠলাম । সাথে সদস্য হওয়ার জন্য নিয়েছিলাম প্রায় 500টাকার মত । কিন্তু পরে দিতে হয়েছিল মাত্র 120 টাকা । আর প্রতি বছরে চাঁদা হিসেবে 120 টাকা করে দিতে হয়। প্রতি সপ্তাহে একবার লাইব্রেরী নির্দিষ্ট এলাকায় আসে এবং 1 ঘন্টা থাকে । এ সময় অনেকেই বাসে দাঁড়িয়েই একটি বই পড়ে শেষ করে আর ফেরার সময় আরেকটি নিয়ে নেয় (আমিও প্রায়ই এ কাজ করি ) ।

বাসের কর্মরত লাইব্রেরীয়ানকে জিজ্ঞেস করে কিছু তথ্য পেলাম ( প্রথমে বলতে চায় নি, অনেক দেনদরবার করে অল্প-স্বল্প কিছু জানতে পেরেছি )। যেমন: এ রকম আরো 6/7টি বাস আছে , একটি গাড়ি প্রতিদিন 5/6টি এলাকায় যায়, প্রতি এলাকায় গড়ে দুইহাজার এর মত করে সদস্য আছে এবং এর সিংহভাহই ছাত্র-ছাত্রী, আবার একেকটি বাসে প্রায় 1200/1300 বই আছে ।

সদস্য হওয়ার পর থেকে আমার বই পড়ার পরিমান আরো বেড়েছে । পরীক্ষার মধ্যেও আমি নতুন বই নিয়ে আসতাম আর এজন্য রেজাল্ট খারাপ বৈ ভালো হত না কখনো । লাইব্রেরীতে অনুবাদগ্রন্থ থেকে শুরু করে শিশুতোষ বইও আছে অঢেল । আমার সাথে লাইব্রেরীতে যাওয়া আসা করতে করতে এখন আতিয়া নিজেও এ লাইব্রেরীর সর্বকনিষ্ঠ সদস্য । ও অবশ্য পড়তে পাড়ে না, আমাকেই পড়ে শুনাতে হয় । তারপরেও আতিয়াকে বইমুখী করতে পেরে আমি আনন্দিত ।

আজকে লাইব্রেরী থেকে 2টা বই এনেছি । হূমায়ুনের 'মে ফ্লাওয়ার' আর ' সালমান রুশদীর 'Harun & the sea of Stories' । দুষ্টুমির শাস্তি সরূপ আজ আতিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় নি
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পদযাত্রা যখন 'মার্চ টু গোপালগঞ্জ': ভাষা, অহংকার এবং রাজনৈতিক নির্বুদ্ধিতার ককটেল

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ২:০০


রাজনীতিতে সব জায়গা সমান নয়, কিছু জায়গা প্রতীকী - আর প্রতীক কখনোই নিরপেক্ষ থাকে না। গোপালগঞ্জ হলো তেমন একটি স্থান, যা শুধুমাত্র ভৌগোলিক নয়, বরং আওয়ামী লীগের ইতিহাস, আবেগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

গোপালগঞ্জের ঘটনায় জাতি আরেকদফা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:২০

জুলাই গনঅভ্যূত্থানের বর্ষপুর্তিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া রাজনৈ্তিক দল এনসিপি জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসাবে গতকাল গোপালগঞ্জ যায়। গতকাল গোপালগঞ্জে দিনব্যপী সংঘর্ষের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ধরনের বক্তব্য দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

গোপালগঞ্জে এটা দরকার ছিল!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৫৪


দফায় দফায় হামলা-সংঘর্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অ্যাকশনে উত্তপ্ত গোপালগঞ্জ। হামলা-সংঘর্ষের সময় অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রথমে জেলা শহরে ১৪৪ ধারা ও পরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

NCP'র গাড়ি বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ পদ যাত্রা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

NCP'র গাড়ি বহর নিয়ে গোপালগঞ্জ পদ যাত্রা....

সার্বিক অর্থে NCP তাদের পূর্ব ঘোষিত জেলায় জেলায় পদযাত্রা সফর হিসেবে (NCP নেতা সার্জিসের ভাষায় রোড মার্চ টু গোপালগঞ্জ) গোপালগঞ্জে সফল হতে পারেনি স্থানীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

জঙ্গির ভুক

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮


এই বার বুঝও রঙিন পাখির দল
জঙ্গি কারা- জঙ্গি কারা, বাঁচবে না
ঘর হারা- চিনেছে এই জলপাই
কিংবা আম কাঁঠাল পাঁকার গন্ধ-
শুনেছি ধুয়া তুলসীপাতার কথা;
তুলসী ভাষা এখন জঙ্গির আস্তানা
চলবে না আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×