প্রিয় নিলী,
জানিনা কোথায় আছ, এও জানিনা চিঠিটা তোমার কাছে পৌছবে কিনা, আজ এই সন্ধায় খুব মনে পড়ছে তোমায়, এখানে বৃষ্টি হচ্ছে খুব। মনে পড়ে, একদিব লুডু খেলে হেরে গিয়ে সেকি কান্না তোমার, মামি তোমাকে কত্ত বোঝালো, সারাটা সন্ধা তোমার সেকি কান্না! আমরা সবসময় একসাথে থাকতাম, কেউ আমাদের কখনো একা দেখেনি, ছোট নানা খুব ঠাট্টা করত, আমাদের দেখলেই বলত- বিয়ে দিয়ে দিব, বিয়ে দিয়ে দিব! তুমিতো বলেই বেরাতে আমাকে ছারা আর কাউকেই বিয়ে করবেনা তুমি, আজ সেই তুমি, মেলবর্নে খুব সুখে ঘর কন্না করছো, সেসব কথা এখন আর তোমার একটুও মনে নেই! ক্লাস ফোর থেকে যেবার ফাইবে উঠলাম, তুমি প্রথম হতে পারনি, সাত দিন কথা বলনি আমার সাথে, তারপর আর কোন প্রতিযোগিতা হয়নি আমার সাথে। ক্লাস নাইনে সুবধ নামের এক হিন্দু ছেলর প্রেমে পরলে তুমি, তার জন্যে বাসায় সেকি কান্ড, সেবার তোমাদের পিয়ন হতে হয়ে ছিল আমায়, স্কুল ছুটির সময় মোরের দোকানের সামনে দাড়িয়ে থাকতো, ক্লাসেই আমার কাছে চিঠি দেয়া থাকতো, দুলাভাইয়ের মত আচরন করত আমার সাথে, আমাকে সামান্য কিছু খাওয়ানের জন্য সেকি অবস্থা, কিছুই বুঝতামনা আমি!
বছর না ঘুরতেই সেলিম ভাইয়ের প্রেমে পড়লে, উনি বাসায় বিয়ের পস্তাব পর্যন্ত দিলেন। তোমার মতি গতি কিছু বুঝতামনা আমি! তোমার বাবা ছিলেন জাজ, তার উপর প্রধান বিচাপতি, আজো আমার কোন জাজের মেয়েকে দেখলে তোমার কথাই মনে হয়, তোমার মতই মনে হয়! সেবার ব্যাডমিনটনে চ্যানপিয়ান হলে তুমি, এমপি সাহেব এসেছিলেন, শেষে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন। অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পরার সময় তোমার বিয়ে ঠিক, ছেলে ডক্টরেট, অস্টেলিয়ায় এক বিস্ববিদ্যালে পড়ায়, বিয়েতে একটুও কান্না করনি তুমি, তোমার মত মেয়ে আমি আজো দেখিনা, তোমার পরে, আর কেউ আমার জন্য অমন করে কান্না করেনি, কেউ বলেনি, তোমাকে ছারা আর কাউকে বিয়ে করবনা আমি!
ইতি
তোমার বিয়ে না করা মানুষ
আমি