সকাল অনেক হলো। এখনও রঙ মাখায়নি কেউ। বাবার এনে দেওয়া আবীর নিজেই নিজের গায়ে মাখতাম। রঙিন হয়ে উঠতে তর সইতো না। এ বাড়ি থেকে ওবাড়ি। সারাদিন শুধু ছোটাছুটি। একটু বড় দাদা দিদিরা হাত পা ধরে ভুত সাজিয়ে দিত। মায়ের পক্ষে চেনা হয়ে উঠত দুস্কর। একটু বেলা হলে বড়রা দল বেঁধে আমাদের বাড়ি আসতেন। বাবা মায়ের পায়ে আবীর দিয়ে প্রনাম করতেন। মা বলতেন, এবার হয়েছে, স্নান করতে যাও। বাবা বলতেন, আরে দাঁড়াও এখনো অমুকে আসেনি।
আশেপাশের বাড়ির দাদা-বৌদি, দিদি-জামাইবাবু ভাং গাছের পাতা দিয়ে সরবৎ বানাতেন। সেই খেয়ে তাদের কেউ হাসছেনতো হাসছেনই, কেউ বা শুধু গানই গেয়ে চলেছেন। আমাদের কারও পারমিশন ছিল না। এর পর সবাই মিলে পাশের নদীতে দাপাদাপি। মা বারন করলেও বাবা বলতেন, ধুর ছেড়ে দাও। আজকেইতো করবে।
আস্তে আস্তে বদলে গেছে সব। এখন বড়রা কেউ কোথাও যায়না। বেশীরভাগই এখন রঙ দিয়ে রঙিন হওয়ার চাইতে সুরাপানে রঙিন হতে বেশী ভালবাসে। শুধু ছোটরাই বদলায়নি। ওরা আগের মতই রয়ে গেছে। সেই ছুটোছুটি, টুকটাক ঝগড়া এখনও চলছে। জানালার এপাশে বসে আমিও ওপাশে হারিয়ে গেছি।
(সাম হোয়ারের সকল ব্লগার, সাম হোয়ার টিম এবং বাকী সবাইকেই এপার বাংলা থেকে রঙ মাখানো দোলের শুভেচ্ছা। হোলি হ্যায়..............)
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০০৮ সকাল ১১:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




